: ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তান কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) পিছনে ছিলেন পারভেজ মুশারফ ও তাঁর সঙ্গীরা। তাঁরা পাক সেনাকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন। খাদ্য, অস্ত্র ছাড়াই পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে বাধ্য করা হয়েছিল দেশের সেনাবাহিনীকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। লন্ডন থেকে ভিডিওর মাধ্যমে সরকার বিরোধী জোটের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সমাবেশেই তাঁর দাবি, কার্গিল যুদ্ধে বিশ্বের সামনে ছোট হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। প্রাণ গিয়েছিল বহু পাক সৈনিকের। অথচ তার বিনিময়ে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাঁর আরও দাবি, এই যুদ্ধের পিছনে ছিলেন পাকিস্তানের কয়েক জন জেনারেল, গোটা সেনাবাহিনী নয়।
নওয়াজ শরিফ বলেন, ‘‘যখন জানতে পেরেছিলাম আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের খাবার ছাড়াই পাহাড়চূড়ায় উঠতে হয়েছিল, সেই মুহূর্তটা আমার জন্য যে কী যন্ত্রণাদায়ক ছিল! ওদের কাছে অস্ত্রও ছিল না। নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিল ওরা। কিন্তু আমাদের দেশ তা থেকে কী পেল?’’ তিনি আরও বলেন, যে জেনারেলরা কার্গিল সংঘর্ষ শুরু করেছিলেন, পরে তাঁরাই ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পাকিস্তানের সেনা অভ্যুত্থানের হোতা ছিলেন। আসলে সামরিক আইন জারি করে তাঁরা নিজেদের ক্রিয়াকলাপ আড়াল করতে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল শাস্তির হাত থেকে বাঁচা
শরিফের দাবি, পাকিস্তানকে ভিতর ও বাইরে থেকে যারা ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে সেই অসাংবিধানিক শক্তির বিরুদ্ধে তাঁরা গর্জে উঠেছেন। পাকিস্তানের ১১টি বিরোধী দল মিলে সরকার বিরোধী যে জোট করেছে তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর দাবি, চারপাশে যে উদ্দীপনা তাঁর চোখে পড়ছে তা থেকে পরিষ্কার এবার আর কেউ ভোটের সম্মান লঙ্ঘন করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি গুজরানওয়ালা ও করাচিতে এই উদ্দীপনা লক্ষ করেছি। এখন সেটাই দেখছি কোয়েত্তাতেও।’’ উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে এবং পরিনামে ভারতের কাছে পাকিস্থানকে লজ্জাজনক হার স্বীকার করতে হয়।
সৌজন্য--সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৩