বিএনপি"র নয়াপল্টন অফিসে রমরমা অবস্থা দেখে অনেকে শিহরিত । আওয়ামীলীগের অতি আত্মবিশ্বাস দেখে সুশীল সমাজ রোমাঞ্চিত । ১৯৯১ এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে তারা মনে করছেন। সেবার অপ্রত্যাশিতভাবে বিএনপি মেজরিটি পায় সংসদে। নির্বাচনে তাদের প্রার্থী সংকট ছিল চোখে পড়ার মত। ২৯২ সিটে তারা প্রার্থী দিতে পেরেছিল। সামরিক স্বৈরাচারের সহযোগী এম কে আনোয়ারের এমপি হবার জন্য মনস্থির করলেন। আওয়ামীলীগের সাথে যোগাযোগ করলে, আওয়ামীলীগ অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি বিএনপির সাথে যোগাযোগ করেন। প্রার্থী সংকটে ভুগতে থাকা বিএনপি তাকে সুযোগ দেয় এবং তিনি এমপি নির্বাচিত হন।
সেসময় বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় ছিল পশ্চিমা শক্তি । তারা কখনোই আওয়ামীলীগকে পছন্দ করতো না। ভারতও আওয়ামীলীগকে ইঙ্গিত দিয়েছিল , খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসছেন । নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণে শেখ হাসিনা এবং কামাল হোসেনের বিরোধ চরমে উঠে । পরবর্তীতে কামাল হসেন দল ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন গণতান্ত্রিক ফোরাম যা এখন গণ ফোরাম নামে পরিচিত।
এখন ২০১৮ বাংলাদেশে পশ্চিমা শক্তির প্রভাব খুব কম। ভারতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে শুধু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর নয় বরং একমাত্র ফ্যাক্টর । আমেরিকা ভারত নাখোশ হবে এমন কাজ বাংলাদেশের মাটিতে এখন করবে না। আমেরিকার চীনকে দমনের জন্য ভারতকে দরকার।
এবারের নির্বাচন আবারো হেসে খেলে শেখ হাসিনা জিতবেন। বিএনপি আর কখনোই বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে না এটা নিশ্চিত আর ভারত এটা সুনিশ্চিত করেছে ১/১১ এর সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬