আমি যদি রমণী হোতাম;
দীঘল ঘন চুলেতে-যুগল ভ্রুর দ্বৈরথে,
চোখের পাতাতে-পাপড়িতে,
অধরের ভাঁজেতে-চিবুকের পরতে,
আঙুলের নখেতে-রেশমি চুড়িতে,
নাকের নোলকে-কানের দুলকে,
আলতা পায়েতে-নূপুরের সুরেতে,
প্রকৃতির সব রঙে রাঙিয়ে- নিজেতে সাজতাম।
বেলী ফুলেতে খোঁপা বাঁধতাম,
শাড়ীর আঁচলে মায়া ছড়াতাম,
অশূর বধেতে অর্ঘ্য দেয়াতাম;
আমি যদি রমণী হোতাম!
আমি যদি রমণী হোতাম;
আমার গর্ভে- আমার সন্তানের জন্ম দেয়াতাম,
আমার বুকের দুধে- তাঁর তৃষ্ণা মেটাতাম;
বিশ্বের সকল মানবের গর্ভধারিণী হোতাম।
জরায়ূর কোষ প্রাচীরে আদিম হতে অনন্তের অজস্র আঁচড়ের ইতিহাস ধারণ করতাম;
আমি যদি রমণী হোতাম!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫