অশনির মধ্যমায় বিস্তৃত বেহেশতি জেওর,
নরাধম অনুতাপে দগ্ধ; চেতনায় হুতাশন,
বিছানায় মাদুর বিছিয়ে শয্যারত মানুষের বেশে আমি এক না-মানুষ,
আঙুল দিয়ে মধ্যমার নাব্যতা মাপি;
দোয়া করি, অমর হও !
শয্যাসঙ্গিনী প্রিয় অশনি।
প্রস্ফুটনের অনুরণনে,
মৃতপ্রায় আমাকে জন্ম জাগরণের সুখ পেতে দাও।
কী নির্জলা তোমার অবগাহন !
অথচ, চারিদিকে এখন শিশির অফুরান।
জল চোখের অষ্টমীতে আদিম গ্রন্থ মেলে দেখো,
পরলোকেত অন্তর্বাসেরও প্রয়োজন পড়ে না !
যদি পারো বেহুলার মতো করে নেচে দেখাও,
সমুদ্রস্নানে নোনা বালুচর হও;
কখনও নিমজ্জিত,
কখনও রোঁদ বিধৌত।
দীঘল কালো এলোকেশী অমানিশা ছড়িয়ে আমার কুঠিতে,
প্রণয়ের প্রমোদবালা কণ্ঠে জিকির তোলে,
আর আমার ঠোঁটে বিতৃষ্ণা বিলাপ করে,
আমাকে তোমার এক পেয়ালা বিশুদ্ধ রক্ত দাও !
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪২