৭১'এর পৈশাচিকতার কথা শুনলে তাদের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠে। নিশ্বাস ভারী হয়ে উঠে।
৭১'এর সাহসিকতার কথাগুলো শুনলে তাদের চোখে ছলছল করে উঠে। গর্বে তাদের বুক ব্যথাতুর হয়ে উঠে।
দেশের জন্য তাদের ভালবাসার কোন কমতি নেই। দেশকে ভালবেসে তারা লিখে চলেছে। একটু একটু করে তারা সাহস সঞ্চয় করেছে। ছোট ছোট খণ্ড খণ্ড প্রতিবাদ থেকে উঠে আসা নতুন প্রজন্ম আজ এক বিশাল প্রতিবাদের ইতিহাস রচনা করতে চলেছে। তাদের কিছুতেই দমানো যাবে না। কিছুতেই না। দিনের সব আয়োজন ফেলে, রাতের সব আয়োজন ফেলে আজ তারা শুধু প্রতিবাদ করার জন্য সমবেত হয়েছে। শুধু প্রতিবাদ করার জন্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অন্যায়, যে অন্যায় তারা কিছুতেই মেনে নেবে না। আমরা পৃথিবীর অন্যতম সভ্য জাতিগুলোর একটি, আমাদের নতুন প্রজন্ম আজ শুধু প্রতিবাদ করার জন্য ঘর ছেড়েছে। একি ভাবা যায়, একটি প্রজন্মের সারা দিবস কাটছে প্রতিবাদে, সারা নিশি কাটছে প্রতিবাদে। সব আয়োজন ফেলে আজ তারা শুধু প্রতিবাদ করার জন্য ছুটে এসেছে। এ যেন সেই ঐতিহাসিক কালজয়ী কোন নেতাকে অনুসরণ করা। তারা অলস নয়, তারা হতাশ নয়, তারা বিশ্বাস করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। আর কোন কোন জাতি এতো দীর্ঘ সময় একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে এসেছে আমার জানা নেই। আমি এখন জানি, আমাদের নতুন প্রজন্ম ৭১'এ শুরু হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজো প্রতিবাদ করে চলেছে। তারা লিখে চলেছে, গেয়ে চলেছে, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছে তারা ৭১'এর পৈশাচিকতার বিচার চায়। তারা বলতে জানে, 'তুই রাজাকার'। তারা চিৎকার করে গাইতে জানে, 'তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে'। তারা প্রতিদিনই লিখে চলেছে 'একাত্তুরের দিনগুলি'।
আর কিছু হোক বা না হোক, বিচার হোক বা না হোক, আমি বলতে পারব নিঃসংকোচে, আমরা দেশের জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো করেছি। আমিও এ প্রজন্মের একজন, বুক ফুলিয়ে বলতে পাড়ি ৭১'এ শুরু হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ আজও শেষ হয়ে যায়নি। আজো শেষ হয়ে যায়নি। প্রতিদিনই নতুন করে শুরু হচ্ছে। শুরু হচ্ছে কেবল।
আরিফ হোসেন সাঈদ,
৭ই ফেব্রুয়ারি ১৩
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩