somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ The Archetypes

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অক্টোবরের শেষের দিকে যেই হালকা হালকা কুয়াশা পড়া রাত গুলো হয়, এমন রাত গুলোতে ট্রেন ভ্রমণের মজাটা একটু অন্যরকম। দিনের বেলা গরম থাকলেও রাতের দিকে একটু একটু ঠান্ডা লাগার যে অনুভূতিটা ট্রেনে বসে সেটা বেশ উপভোগ করার মতো। আর সেজন্যে অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে যাওয়ার সুযোগটা যখন এলো তখন রাতের ট্রেন ভ্রমণের সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে ইচ্ছে হলোনা। যদিও শহর ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রীতিমতো হাসফাস লেগে গিয়েছিল, কিন্তু শহর ছেড়ে আসার পর পরেই বাইরে থেকে এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস লেগে মনটা মুহূর্তেই ভাল হয়ে গেল। ভাগ্যিস জানালার পাশের সিটটা পেয়েছিলাম! যাহোক, শরীর একটু ঠান্ডা হতেই ট্রেনের ভেতর মনোযোগ দিলাম। আজ ছুটির দিন না বলেই ট্রেনের ভেতরে যথেষ্ট ফাঁকা ছিল। অনেক সিটও ফাঁকা ছিল। আমার সিটটা ছিল দুই সিটের সারিতে। বগির একেবারে মাঝের সিট হওয়াতে আমার সামনের সারির সিটগুলো আমার দিকে মুখ করা, মাঝে একটা টেবিল। পাশের সিটটা এখনো ফাঁকা আছে। এবং অদ্ভুতভাবে আমার সামনের সারি সহ পাশের সারির সব সিট ফাঁকা এখনো। মনেপ্রাণে চাইছিলাম আমার পাশের সীটটা পুরোটা রাস্তা ফাঁকাই থাকুক। অন্য কেউ এলে এমনিতেই গাদাগাদি করে বসা লাগবে, আবার রোগশোক থাকলে ঠান্ডার ভয়ে জানালা লাগাতে বলারও সম্ভাবনা থাকে। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরেও যখন কেউ এলোনা, তখন পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে নোটপ্যাডটা ওপেন করলাম। মাঝেমধ্যে টুকটাক গল্প লেখার একটা অভ্যাস আছে আমার। সেসব গল্প ফেসবুকে পোস্ট দেয়া পর্যন্তই থাকে। কেউ কেউ মন চাইলে পড়ে, তবে বেশিরভাগই পড়েনা। কাছের মানুষ আত্মীয়স্বজন যারা আছে তারা কেউ কেউ পড়ে। যাহোক, নিজের ভাল লাগা থেকেই লিখালিখি করি। একটা শখ আর কি! ট্রেনের দুলুনিতে কিছু লিখবো কি ঠান্ডা বাতাসে ঘুম ঘুম চলে এলো। মোবাইলটা তাই পকেটে রেখে সিটে হেলান দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলাম। অন্ধকার ভেদ করে ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। অনেক দূরে মাঠের উপর দিয়ে খুব হালকা কুয়াশার রেখা ভাসতে দেখা যাচ্ছে একটা আবছা অলৌকিক আলোতে। মাথার মধ্যে গল্পের টপিক খুঁজাখুঁজি চলছে। হুট করেই পাশে এক ভদ্রলোক এসে হাজির। হাতের টিকিট মিলিয়ে সিট নাম্বার দেখে পাশে ধপাস করে বসে পড়লো। মনে মনে একটু বিরক্ত হলেও নিয়তি মেনে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকলাম। একবার ভাল করে তাকিয়ে দেখে নিলাম লোকটাকে। বড় সুন্নতি দাঁড়ি মুখে, সুঠাম শরীর স্বাস্থ্য, মুখে একটা হালকা হাসির রেখা। প্রাক্টিসিং মুসলিম দেখলেই বুঝা যায়। তবে তার কাছে কোনো রকম ব্যাগ ছিলনা। খালি হাতেই কোথাও যাচ্ছেন। আমাকে তাকাতে দেখে একটু হালকা হাসি দিয়ে সালাম দিলেন। আমিও আস্তে করে সালামের উত্তর দিয়ে আবার নিজের মতো বাইরের দিকে তাকিয়ে অন্ধকার প্রকৃতি উপভোগ করতে থাকলাম।

একটু পর আমার সামনের সারির সিটে একজন এসে বসল। আমাদের দিকে মুখ করে। প্রায় আমার মতো বয়স মনে হল লোকটার। উচ্চতা স্বাস্থ্যও প্রায় আমার মতোই। উনার কাছেও কোনো ব্যাগ দেখলাম না। যেটা অদ্ভুত লাগলো তা হল লোকটা আমার মুখোমুখি বসে আমার দিকে কেমন যেন রাগ হয়ে তাকালো একবার। তারপর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলো। কিন্তু চোখে মুখে কেমন একটা গম্ভীর ভাব। আমি ভাবলাম মনে হয় উনার চেহারাটাই এমন। দেখলে মনে হবে সবসময় রেগে আছে। মনে মনে একটু হেসে আবার আমি আমার মতো বাইরে তাকালাম। একটু তন্দ্রা মতো আসতেই ট্রেনটা আস্তে আস্তে থেমে যেতে লাগলো। কোনো স্টেশনে দাঁড়াবে হয়তো। বগি থেকে দুই একজন নেমে গেল। প্রায় সাথে সাথেই কয়েকজন উঠলো ট্রেনে। এর মধ্যে একজন আমার সামনের জনের পাশের সিটে বসলো, আরেকজন বসল আমার পাশের সারির উল্টো দিকের সিটে, মানে আমার দিকে মুখ করে। সবথেকে অদ্ভুত যেটা লাগলো তা হল এরা সবাই প্রায় আমার বয়সী দেখলেই বুঝা যায়। শরীর স্বাস্থ্যও প্রায় আমার মতো, এবং সবথেকে অবাক ব্যাপার এদের কারোর কাছেই ব্যাগ নেই। হঠাৎ করে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, এরা কোনো ছিনতাইকারী গ্রুপ নাতো? আমাকে একা দেখে কি টার্গেট করে বসেছে? একটু উঁকি দিয়ে দেখলাম আমার সামনে পিছনে অল্প যে কয়জন যাত্রী আছে তারা সবাই ঘুম। ট্রেন ইতোমধ্যে আবার চলা শুরু করে দিয়েছে। চিন্তায় জানালা দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসেও ঘামতে লাগলাম। ভাবলাম ট্রেন ফুল স্পীডে চলতে শুরু করার আগে আমি অন্য কোথাও ফাঁকা সিট দেখে বসে পড়বো কিনা। এই ভেবে যেই উঠতে যাবো তখনি সামনের লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, “কি মোঃ আরিফুজ্জামান সাহেব! ভয় পাচ্ছেন নাকি?”

লোকটার গম্ভীর কন্ঠ শুনে বুকে দিড়ীম করে একটা বাড়ি খেলাম। লোকটা আমার নাম জানলো কি করে! তাহলে কি এরা সবাই অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকে ফলো করে এখানে এসেছে? আমাকে আগে থেকেই নজরে রেখেছিল? হাজারটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে এখন। আমি তোতলাতে তোতলাতে লোকটাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ক-কে আপনি? আমার নাম জানলেন কি-ইভাবে?”

“আরে আরে ভাই ভয় পাচ্ছেন কেন? আপনি শান্ত হয়ে বসেন তো!” বললো সামনের লোকটা। “আমাকে চিনবেন আপনি। আমি আপনার খুব কাছের লোক। ইনফ্যাক্ট আপনিই তো আমাকে বানিয়েছেন!”

“আমি আপনাকে বানিয়েছি মানে?” অবাক হলাম আমি। “কিসব বলেন?!”

“বলবো বলবো, সবই বলবো। আমরা সবাই ই বলবো। কি বলেন?” এবার সে তার পাশের জনের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো। সেদিকে তাকিয়ে দেখি সে সহ পাশের সারিতে আরো যে একজন বসেছিল সেই লোকও আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। আমি আমার পাশের জনের দিকে তাকালাম একবার। দাঁড়িওয়ালা ভদ্রলোক নিশ্চিন্ত মনে মাথা সিটের সাথে হেলান দিয়ে দুই হাত বুকের উপর ভাঁজ করে রেখে চোখ বুজে ঘুমিয়ে আছেন। আমি বুঝতে পারছিনা আমার সামনের লোকগুলোর উদ্দেশ্য কি। আমার কাছে তারা কি চায়! সাধারণ ছিনতাইকারী হলে আমার নাম জানার কথা না, আমার সাথে এভাবে কথা বলারও কথা না। এরা আরো অন্য কিছু চায়।

“দেখুন আপনারা কারা কি চান প্লিজ আমাকে বলুন। আমার নাম যেহেতু জানেন তার মানে আপনারা আমাকে জাস্ট ছিনতাই করতে এখানে আসেননি সেটা বুঝতে পারছি আমি।” ভয় যতোটা সম্ভব চেপে রেখে বললাম।

“ঠিক বলেছেন। আপনার বুদ্ধি আছে। তার জন্যেই এমন অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প লিখেন আপনি।” বললো আমার সামনে বসা অপর ব্যক্তি। “এখন দেখেন তো এই নামগুলো চিনেন কিনা? আরিফ, আরাফ এবং শুভ।”

“আরিফ, আরাফ, শুভ এইগুলা আমার একেকটা গল্পের একেকটা ক্যারেক্টার।” একইসাথে অবাক এবং কিছুটা উত্তেজিত আমি। বুঝলাম ইনারা আমার গল্প পড়েন এবং কোনোভাবে আমাকে আইডেন্টিফাইও করতে পেরেছেন। “কিন্তু এইগুলা নিয়ে কি হয়েছে?”

“কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করছেন? আপনার জন্যে আমরা কেউ শান্তিতে নেই। আমি আরাফ, আর ও আরিফ এবং ঐপাশে উনি শুভ।” নিজের পাশের জন আর পাশের সারির লোকটাকে দেখিয়ে বললো একজন। “এখন বুঝতে পারছেন কি হয়েছে? আপনার জন্যে আমাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।” প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে বললেন তিনি।

অবাক হওয়ার চরম পর্যায়ে চলে গেলাম। আমার গল্পের ক্যারেক্টার গুলোর সাথে মিলিয়ে তাদের নাম। কিন্তু তাদের জীবন কিভাবে আমি ধ্বংস করলাম! “দেখুন, আমি খুবই ছোটখাট কিছু সাধারণ গল্প লিখি। কাকতালীয় ভাবে আপনাদের নামের সাথে গল্পের চরিত্র গুলোর নামে মিলে গিয়েছে। কিন্তু আমার গল্পের জন্যে আপনাদের জীবন কেন ধ্বংস হবে?”

“তার কারণ হল আমরাই আপনার গল্পের সেই চরিত্র।” আমার সোজাসুজি যিনি বসে ছিলেন তিনি বললেন। “আমি আরাফ। আপনার লেখার জন্যে আজ আমার স্ত্রী অন্য কারোর সাথে আছে আমাকে ভেবে।” প্রচন্ড রাগে দাঁত খিঁচিয়ে কথাটা বললেন তিনি।

“আর আপনার জন্যে আজ আমাকে ছাঁদ থেকে পড়ে মরে যেতে হল।” বললো শুভ নামের লোকটা। “কি হতো যদি শেষে আমাকে বাঁচিয়ে রাখা যেতো? আপনার জন্যে আজ আমার মা একা হয়ে গিয়েছে একদম। যদি ঐ অশুভ শক্তিটা আমার মায়ের কোনো ক্ষতি করে?!”

“অন্য ডাইমেনশন থেকে আমার ডপেলগেঙ্গারকে এনে আমাকে মেরে তাকে দিয়ে রিপ্লেস করে দিলেন।” বললো আরিফ নামের লোকটা। “কি হতো যদি আমাকে একটু লড়াই করতে দিতেন? জিতেও তো যেতে পারতাম। কিন্তু না! আপনার তো স্যাড এন্ডিং ছাড়া গল্প জমেনা! কি হবে যদি আজ আমরাই আপনার স্যাড এন্ডিং করে দেই?”

সবকিছু আমার কাছে কেমন যেন স্বপ্নের মতো লাগছে। বিশ্বাস করতে পারছিনা এইটা হচ্ছে আমার সামনে। আমার গল্পের হেরে যাওয়া, মারা যাওয়া চরিত্র গুলো আজ আমার মুখোমুখি। গল্পে ওদের বিপরীত নেগেটিভ চরিত্রগুলো যারা দেখতে ওদের মতোই ছিল তারা জিতে যায়। কিন্তু এখন এরা কি চায়? এদের গল্পের শেষটা পরিবর্তন করতে? নাকি আমার ক্ষতি করে প্রতিশোধ নিতে চায়? আমি দেখলাম ওরা আস্তে আস্তে তিনজনেই তাদের সিট ছেড়ে উঠে এসেছে। আমার দিকে এগিয়ে আসছে তারা। আমি একবার শেষ চেষ্টা করার জন্যে ওদেরকে বললাম, “আপনারা কি চান? আমি আপনাদের গল্পের শেষটা পরিবর্তন করে দিব? তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে?”

“এখন আর কিছুই ঠিক হওয়ার নেই।” প্রচণ্ড রাগ নিয়ে বলে উঠলো শুভ। “সবাই গল্প পড়ে ফেলেছে। আপনার পাঠকেরা মেনে নিয়েছে আমাদের পরিণতি। এখন পরিবর্তন করে দিলেও আমাদের জীবনের কিছু পরিবর্তন হবেনা। আপনার পুরনো গল্প এখন কেউ আর পড়বেনা। আমরা শুধুমাত্র আমাদের প্রতিশোধ নিতে চাই।” এই বলতে বলতে তিনজনেই আমার দুই হাত দূরত্বের মধ্যে চলে এসেছে। আমি প্রচন্ডভাবে চাইছিলাম উঠে দৌঁড় দিতে। কিন্তু কেন যেন পারছিলাম না। ঠিক সেই সময়ে খুব অবাক করা একটা ব্যাপার ঘটলো।

আমার পাশের সিটে ঘুমিয়ে থাকা দাঁড়ি ওয়ালা ভদ্রলোক হঠাৎ করে চোখ খুলে তাকিয়ে পড়লেন। এবং সোজা হয়ে বসে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “সবার সাথে পরিচয় হলেও আমার সাথে এখনো পরিচয় হয়নি। আমি মুনিম। আশা করি আমি কে তা আর বলে দেয়া লাগবেনা।” এই বলে লোকটা ঝট করে উঠে দাঁড়ালেন। সামনের তিনজন এগিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো। তাদের চোখেমুখে কেমন একটা ভয় কাজ করছে। তারপর মুনিম নামের ভদ্রলোকটি তাদের দিকে দুই হাত এগিয়ে দিয়ে তাদের তিনজনকে একসাথে জড়িয়ে ধরে কেমন ভোজবাজীর মতো গায়েব হয়ে গেলেন। আমার সামনে এখন আর কেউ নেই। যেন এতোক্ষণ কেউই ছিলনা। যেন সবকিছুই একটা স্বপ্ন ছিল। আমি কেমন যেন কাহিল হয়ে সিটে এলিয়ে পড়লাম।

*** ঘুম ভাঙল কারোর ডাকে। আমার কাঁধ ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে কেউ একজন আমাকে ডাকছে। চোখ খুলে দেখি সামনে দাঁড়ানো সেই দাঁড়ি ওয়ালা লোকটা, যে নিজেকে মুনিম বলে পরিচয় দিয়েছিল। ঘুম ভেঙে হঠাৎ তাকে দেখে কেমন হতভম্ব হয়ে গেলাম। “লাস্ট স্টেশনে এসে পড়েছে ট্রেন। আপনি নামবেন না ভাই?” হালকা একটা হাসি মুখে নিয়ে ভদ্রলোকটি বললেন। বাইরে তাকিয়ে দেখি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে একটি স্টেশনে। সকালও হয়ে গেছে। বুঝলাম এক ঘুমে গন্তব্যে চলে এসেছি। তার মানে যা কিছু ঘটেছিল সবই স্বপ্ন ছিল! কি একটা ব্যাপার! পাশে বসা লোকটাকে গল্পের সেই জ্বিন বন্ধু বানিয়ে ফেলেছিলাম! অদ্ভুত স্বপ্ন! সিট থেকে উঠে নিজের ব্যাগটা নিয়ে লোকটার দিকে আবার তাকালাম। তিনি বললেন, “আপনি ঠিক আছেন? কেমন যেন লাগছে আপনাকে দেখে! কোনো হেল্প লাগবে?” আমি মাথা নেড়ে না বলে একটা থ্যাংকস দিলাম। তারপর ভদ্রলোক ট্রেন থেকে নেমে যেতে লাগলে তাকে অনুসরণ করে আমিও নেমে গেলাম। নামার পর হঠাৎ উনি পিছন ফিরে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে বললেন, “আসি মোঃ আরিফুজ্জামান সাহেব। ভাল থাকবেন। আর চেষ্টা করবেন হ্যাপি এন্ডিং গল্প লিখতে।” এই বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘুরে স্টেশনের ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলেন উনি। আর আমি হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম।

---------------------------------------------------------
সমাপ্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি জাতির কান্না......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

একটি জাতির কান্না......

স্বাধীন সিকিম রাষ্ট্রের ভারত ভুক্তির নেপথ্য!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় উপমহাদেশে ৫৬৫ টি "Princely States" বা "সতন্ত্র দেশিয় রাজ্য" ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব কিসের ইঙ্গিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯


ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার দাবিতে হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল! সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্দেশ আছে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার’ - হুমায়ুন কবির

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

(মানব জমিনে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের গুম নির্যাতনের কথা পড়ে মনোকষ্ট নিয়ে বসে আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনাদের আত্মত্যাগেই এই জাতি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এখন কাজ হচ্ছে তাদের বিচার করা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার জন্য কোটার দরকার আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬



**** চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না বাংগালী জাতি, কিন্তু চাকুরী থেকে তাড়াতে জানে; কিছু কিছু ব্লগার মানুষকে তাদের কাজের যায়গা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ব্লগে চীৎকার করছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫


এখানে কী আছে বলো তো, এখানে কী আছে আর
কেন যে সময়ের পিঠে হলাম সওয়ার;
সময় আমায় নিয়ে এ কোথায় এলো
স্বপ্ন সব হয়ে গেল এলোমেলো।

সেই প্রাথমিকের গন্ডি, পা রাখি ইচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×