বাসে করে যখন ঝুলতে ঝুলতে বালকটি ঘরে ফিরছিল,
তীব্র গরম আর চাপাচাপিতে মাথায় অনেকগুলো শব্দ ঘুরপাক খাচ্ছিল,
তারা একের পর এক বাক্য হয়ে কবিতা লিখছিল,
বালকটি শুধু সময় গুনতে লাগলো, কখন সে ঘরে ফিরবে ;
কখন সে কথাগুলো খাতায় লিখবে ! কখন একটা কবিতা হবে !
সারা গা ঘেমে জব জব করছে , খেয়াল নেই;
সে শব্দদের সাথে গল্প করছে, কবিতা লেখছে !
ক্লান্ত শরীরে খাতা হাতে ছেলেটি ঘরের দাওয়ায় বসল,
মনে মনে ভীষণ খুশি! অনেকগুলো কবিতা হবে আজ !
সাদা কাগজে কালোর চিত্র আঁকবে একের পর এক !
কিন্তু
বলপেনের মাথা কাগজে পড়তেই সব শব্দ হাওয়ায় মিশে গেল;
সে মনে করতে চাইল, মনে পড়ে না !
নতুন করে লিখতে চাইল, হচ্ছে না, দুই এক লাইন-
যদিওবা এলো কাটাকাটিতে তা হারিয়ে গেল !
সে আবার লেখতে চাইল, কলমের মাথা খাতায় ঠেকাল,
খাতা থেকে তুলে নিল, আবার লিখতে চাইল ............
সময় গড়িয়ে চলল ! তার আর কবিতা লেখা হল না !
খাতাটা ভাঁজ করতেই চোখে পড়ল , সেখানে বড় করে-
‘রা ফ খা তা’ লেখা !
দীর্ঘশ্বাসে বেরিয়ে এল ব্যর্থতা আর জীবনে-
একটিবার কবিতা লেখতে না পাড়ার আক্ষেপ !
একটি সাদা কাগজে কালোর রুপ না দেয়ার বেদনা !
কেউ তার কথাটা শুনলো কি না কে জানে !
শুধু রাফখাতাটা বালকটির চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল !!!