সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা নেমে এসেছে পৃথিবীজুড়ে। স্থবির হয়ে গেছে জনজীবন। হৃদয়ের গহীন হতে আমরা যাকে ভালোবাসি সেই প্রিয়তমের সাথে হাত মেলাতে পারছি না। কোলাকুলি করতে পারছি না।চুমু সে তো কোনভাবেই না। এ যে কষ্টের। ভীষণ বেশিই কষ্টের।
প্রিয় মানুষের প্রাণহীন নিথর দেহ চোখের সামনে অথচ একটুখানি ছুঁয়ে দিতে পারছি না। শুধু দেখেই যেতে হয়। কষ্টের নোনাজল গাল বেয়ে পড়ে।
প্রিয় মানুষকে সব সময় সবারই ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়.... কিন্ত এখন এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়ায়েছে মানুষ, প্রিয় মানুষটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। অথচ তাঁকে ছুঁয়ে পারছে না। কেউ কেউ তো শেষ দেখাও দেখতে পারছে না.... এরচেয়ে কষ্টের আর কি থাকতে পারে? এরচেয়ে নিজের মৃত্যুই কি শ্রেয় নয়?
এজন্যেই হয়তো আর্টসেলের রুম্মন ভাই স্পর্শের অনুভূতি গানে লিখেছে-
"অনেক প্রিয় মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার কষ্ট পাই'
এই কষ্ট, এই অপ্রিয় বিষাদময় স্মৃতি দেখতে দেখতেও ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। জীবনের গতি শ্লথ হয়ে গেছে, নগরের যত কোলাহল যত উৎসব থেমে গেছে সব। আজকের ভুবনের করুণ চিত্র ভুলে নূতন একটা চিত্র দেখতে চাই। ঠিক শিরোনামহীন এর গানের মতন একটা চিত্র। দেখতে চাই,
"প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা"
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৮