(আপডেটেড, কিছু ছবি যোগ করা হলো)
কাকডাকা শীতের ভোর। ভেঙে গেছে ঘুম। এমন সাত সকালে আমার ঘুম ভাঙার অভ্যেস নেই। অন্যান্য সময় ঘড়িতেব এলার্ম টাইম বাজলেও ওঠতে পারি না। ঘুম থেকে জাগি এগারোটার খানিক পরে বা আগে।
আমার সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে বিশেষ কিছু। বিশেষ কাজের জন্য সকালে, ব্যাপারটা মোটেই এমন না। পরীক্ষার সময়েও অনেক সময় নয়টার দিকে ওঠা হয়।
সকালে ওঠা মানে কোন একটা কিছুর জন্য আমার অতিরিক্ত আগ্রহ। সেই আগ্রহের কারণে উত্তেজনা বোধ হয়। তখন ঘড়িতে এলার্ম বাজতে হয় না। মস্তিষ্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলার্ম বাজে বোধ করি।
বইপোকাদের একটি গ্রুপ আছে আমাদের জেলায়। কেবল একটি অনলাইন গ্রুপ নয়, সংঘটনও। ১০০ টাকা দিয়ে রেজিঃ করে সেই গ্রুপে থাকা বই পড়া যায়। বর্তমানে ৭০০ এর অধিক বই আছে সংঘটনটিতে। আগামীতে সংখ্যাটা আরো অনেক বাড়বে সেই প্রত্যাশা রাখি। অনেকগুলো সংঘটন আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কিন্তু এটিই একমাত্র সংঘটন যেটি মানুষকে বই পড়তে উৎসাহিত করে। প্রতি মাসে দুবার অথবা চারবার পাঠকদের আড্ডার আয়োজন করা হয়। প্রিয় গ্রুপটির নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠক মেলা। দুই বছর আগে আজকের এই দিনে(২০ তারিখে) গ্রুপটি তৈরি হয়। শুভ জন্মদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠক মেলা।
বর্ষপূর্তি উদযাপনের বিশাল আয়োজন। বর্তমানের খুব জনপ্রিয় একজন লেখক, হুমায়ূন সাহিত্য পুরষ্কার পাওয়া লেখক সাদাত হোসাইন এসেছেন। ওনি আমার একজন প্রিয় লেখক।
ঢাকার বাইরে বলে বইমেলায় যাওয়া হয় না বলে এই লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ নেই। দেখা সাক্ষাতের তো প্রশ্নই ওঠে না। ওনি আসছেন বলেই আমার মধ্যে উত্তেজনা, এলার্ম ছাড়াই খুব সকালে জেগে ওঠা।
আমার খারাপ গুণের মধ্যে একটি হল একা একা কিছু করতে পারি না। ফলে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হতে হয় আমায়। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সকাল ৯ টায় দুইজন বন্ধুকে ফোন দিলাম। দুজনের সাথেই গতকাল কথা বলি পাঠক মেলার প্রোগ্রামের বিষয়ে। ওরা যেতে রাজিও হয়। কেউ-ই ফোন রিসিভ করেনি। ফলে আমার আর পাঠকমেলার প্রোগ্রামে যাওয়া হয়নি। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো।
বেরিয়ে পড়ি রাস্তায়। একাকি কিছু সময় পার করি। এদিক ওদিক ঘুরি। মনের বিষন্নতা কাটে না তবু।
তারপর ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আক্ষেপ তবু যায়নি। রাতেও ক্রিকেট খেলি। যতক্ষণ খেলেছি ততক্ষণই মন ভালো ছিল। বাড়ি ফেরা মাত্রই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত এর কথা আবারো মনে পড়ে যায়...
নাহ। মন খারাপের দিনে আনন্দ পাবার হাতছানির মিথ্যে আয়োজন। হয়তো খারাপ লাগা একটু দূর হল। কিন্তু আফসোস আক্ষেপ দূর হবার নয়।
একা চলতে শিখতে হবে। নাহলে খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।
এবার পাঠকমেলার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করা যাক।
মঞ্চে সাদাত ভাই...
মঞ্চে পাঠক মেলা সংঘের সদ্যসদের ফটোশট...
চলছে পাঠকমেলার আড্ডা(এইটা অনুষ্ঠানের নয়, মাসিক আড্ডার)
সেলফি
ওহ, অটোগ্রাফ মজার গল্প করছেন হয়তো... হাসিমুখ...
আমাদের ক্রিকেট খেলার ছবি বাদ যাবে কেন...
বড় ভাইয়েরা ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করে। আমরা স্বাগতিক টিম। চ্যাম্পিয়ন হব বলে চিল্লাইছিলাম। কিন্ত চিল্লাইয়া কি মার্কেট পাওয়া যায়? প্রথম রাউন্ডেই আমরা বাদ...
১। আমাদের টিম এক সাথে...
২। ব্যাটিং এর সময় না কিন্তু.... এমনিই
৩।
ভাবটা এমন যেন সেঞ্চুরি করছি....
৪। সফল আয়োজন শেষে ভাই ব্রাদার্সরা এক ফ্রেমে বন্দি হলাম...
পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ.....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০