সিজারে বাচ্চা ডেলিভারি এবং বাংলাদেশের সিজার সংস্কৃতি
----------------------------------------------------------
বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারত পাকিস্থান নেপাল বার্মা থাইল্যান্ড মত দেশ গুলোয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিজার করে বাচ্চা নেই, আজ কাল তা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। ভাবুন আজ থেকে তিরিশ বছর আগের কথা।
আমাদের বাবা মায়েরা পাচ সাতটি সন্তান জম্ম দিয়েছেন খুব স্বাভাবিক ভাবে এবং এদেরকে সঠিক ভাবে লালন পালন করেছেন, তাদের থেকে কত জ্ঞানি গুনি মানুষ জম্ম নিয়েছে,মানুষের কল্যানে দেশের কল্যানে আবদান রেখেছেন।
অথচ আজ অল্প কয় বছরের ব্যবধানে এই দেশ গুলোর নারীদের কি করুন পরিণতি।তারা প্রয়োজনেও একটি অধিক বাচ্চা নিতে ভয় করে।
আপনারা কখনো শুনেছেন হলিউড বলিউডের কোন নায়িকার সিজারে বাচ্চা হয়েছে? শুনেছেন বাংলাদেশের কোন সুনাম ধন্য নায়িকা বা সেলিব্রিটির মধ্যে কেউ সিজারে বাচ্চা হয়েছে? না তা শুনেন নি।
আপনি খোজ নেন আপনার পরিচিত এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে যারা ইউরোপের দেশে থাকে বা নর্থ আমেরিকার দেশ আমেরিকা বা কানাডা থাকে। তারাও বলতে পারবেনা এই রকম ঘটনা শুনেছে।
আমাদের দেশের পাশ্ববর্তী দেশ গুলোয় শুনবেন এই সব কথা কারণ আমাদের দেশের অনেক ডাক্তার বলেন আপনার বাচ্চাতো উলটে গেছে আপনার শরীর দুর্বল, পানি শুকিয়ে গেছে ইত্যাদি। অনেক ডাক্তার সরাসরি বলেন আমি সিজার ছাড়া নরমাল ডেলিভারি করিনা।এতে করে নারীরা দুর্বল হচ্ছে ধবংস হচ্ছে ছেলেমেয়ের প্রতি মায়ামমতা।শারীরিক ভাবে বাচ্চারা হচ্ছে দুর্বল পাশাপাশি মা ঝুকিতে থাকেন বেশি।
গর্ভাবস্থায় কোন জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো।
শুধু ডাক্তারের দোষ দিয়ে কি লাভ আমাদের এই যুগের দাম্পত্য যুগল ফ্যাশন করে এখন সিজার করায়। এই রকম ঘটনা হাজারো আছে। এতে করে সংসার জীবনে হাজারো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
যেমন-সিজার করার পর সিজার হওয়া মা বলে আমি চাপের কাজ করতে পারবো না ডাক্তার বারণ করেছে। তার কাজ কে করবে! তা বৃদ্ধ বয়সে মাকে করতে হয়,ছেলের রোজগার খায় বলে। বৃদ্ধ মা জীবনের পুরো অংশ কাজের বুয়া হয়ে অনাদরে কাটে।
...
পদটিকাঃ নর্মাল সব কিছু সব সময় সুন্দর,নিজেকে কেটে গর্ভ করার কিছু নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮