নিজেকে আর দেখতে ইচ্ছে করছেনা রঙ্গ মঞ্চে
বেমানান আমি সকল প্রক্ষেলিত দিক থেকে
পায়ের নিচের মাটি ও আমাকে দেখতে দেয়নি
কোন সূর্যের বিস্মৃত রশ্মি
তাই আমি আজ সঁপেছি নিজেকে মৃত্যুর কাছে।
হতাশা আমার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে আজ
সেখানে প্রবেশাধিকার হারিয়েছে সকল আশার আলো
নিজেকে হারিয়ে ফেলছি চাঁদের কালচে আলোর মাঝে।
পায়ে পায়ে ছায়ার দল এসে ভীড় করে
আমি সেই ছায়ার মাঝে হারাব বলেই
আবার হাটা শুরু করি মেঘের পানে
সেই মেঘ আমাকে আপন করে নেয়নি কোন কালেই।
আমার মৃত্যু কিনবা আত্মহত্যার ইচ্ছা জেঁকে বসেছে মাথায়
ফ্যানে ঝোলানো রশির মাঝে খুঁজে পেতে চেষ্টা করি নিজেকে
নিনাদ শোনেনি আমার আত্মা
নিজেকে মারতে পারিনি আমি দড়ির কাছে মৃত্যুর ভাড় দিয়ে।
আমার হাতের কাছে ছিল ধারালো ছোড়া
পুরুষ ছিলাম আমি - কিন্তু নিজেকে কাপুরুষ
মনে করতে শুরু করেছি যখন থেকে-
তখন থেকেই ছুড়ির ফলার ধার বাড়তে শুরু করেছে
বলেই আমি মরে যেতে পারিনি জুগুলার ভেইন কেটে ফেলে।
বিষের পেয়ালা আমার কাছে অনেক ভারী মনে হয়েছিল
তখন থেকে আমি শুধু তাকিয়ে আমি বিষের দিকে
কালচে বিষের প্রাণ হরন কারী শক্তি দেখে আমি
নিরুপায় হয়ে বসে ছিলাম অনেক ক্ষন।
সেই ক্ষন আমার কাছে ফেরত আসেনি কোন কালেই।
নিজেকে মেরে ফেলার ইচ্ছেরা পালাতে শুরু করেছে একে একে। মাটির ভেতর প্রবেশের ইচ্ছা আমার। সেখানে দেখার ইচ্ছা কিভাবে আমাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে মৃত্যু পোকা। আমার দেহের ভেতর কাম গুলোকে ছিড়ে ছিড়ে খাবে বলেই আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছে।ইচ্ছে করছে মিশে যাই বৃষ্টির জলে।
তার পর কাপুরুষতা ভর করেছে আমার উপর
পুরুষ ছিলাম এক কালে- এখন সুপুরুষ হবার চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
জীবনের কাছে জানার ইচ্ছে শেষ হয়েছে শেষ হিংসার পর।
জীবন কিনবা মৃত্যুর সমীকরণ জান্তে ইচ্ছে করছে শুধুই।
এই শেষ কবিতা লিখে আমি পান করতে চলেছি শেষ জন্মসুধা
এই কবিতা লিখে আমি নাশ করতে চলেছি ধারালো ব্লেড এর খোঁচায়
এই কবিতা লিখে আমি ঝুলে পড়তে চলেছি দেয়ালের ক্যালেন্ডারের মত।
জানি এর পর আমি কারো চোখের বালি হবোনা
কেউ আমাকে মনে রেখে দেবেনা চিরকালের মত।
আমি এই রঙ্গমঞ্চে আর কোন অভিনয়ের পাট নিয়ে আসব না।
বাতাসে মিশে গিয়ে শুধু তোমাদের আমোদ দেখব
আকাশ থেকে তোমাদের আনন্দ দেখব
দেয়ালের ওপার থেকে তোমাদের বিদ্রোহ দেখব বলেই
এই আমি সপে দিলাম নিজেকে মৃত্যুর কাছে। জানি মৃত্যুর ছায়া ও আমাকে আর বাঁচাতে পারবেনা।।