নিখিল সমীকরণ- ড্রাফট নং –অজানা .....
নিজেকে খুঁজে ফেরা পাখির দল জানেনা কোথায় ছিল অজানা
নির্বোধ স্থর,
আমি সেখান থেকে নিজেকে খুঁজে ফিরেছি।
একদিন শুধু তোমার দেখা পাবো ভেবে আমি একাকী হেটেছি
নির্জলা জলাকার পথে প্রান্তরে।
আমার শিরা গুলো অস্থির ছিল বলে খুঁজে পাইনি কোন
বালুকনা- কিনবা আঠালো আস্তরণ,
এবং তারপর তুমি এলে জীবনে
আমি আন্দোলিত হলাম শুধু তোমার তোতলা উচ্চারনে
আমার শরীরের বিবমিষা শৃঙ্গার
আমার নিরামিষ চিহ্ন চেতনাকে ঘীরে গড়ে তুলে মহলা অট্টালিকা
আমি সেখানে লুকিয়ে রেখে নিশ্চিন্ত হতে পারিনি কোনভাবে
তাকিয়ে দেখি হৃদয়ের গহীনে তুমি- শুধু তুমি।
তোমাকে হারাব ভেবে আমি কেঁদেছিলাম রাত্রি দ্বিপ্রহরে
তোমাকে হারাব ভেবে আমি লুকোতে চেয়েছিলাম অলিন্দের প্রকোষ্টে
সেখানে শুধু রক্তের শ্রাব ধারা ছিল- এবং
রক্তের লাল বড় লালচে ছিল বলে
আমার বুকের বাম পাশে বয়ে যাওয়া শিরা গুলোকে সরিয়ে
আমি তোমাকে রেখেছিলাম সেখানে
তুমি তার চেয়েও অধিক রঙ্গিন হয়েছিলে সেকারনে
তোমাকে রাঙ্গাতে গিয়ে আমার হৃদপিন্ড বামপাশে সরে গিয়েছিল
এবং আমি হয়েছিলাম তোমার আরো বেশি আপন
সেই থেকে আমি এখন তোমাকে বহন করে চলেছি
জানি মৃত্যুও কেড়ে নিতে পারবেনা আমাকে
বুকের পাঁজর ভেদ করে হৃদপিণ্ড চিড়ে ফেল্লেও পাবেন কেউ
কারন আমি এখন তোমাকে লুকিয়েছি আরো গোপনে-
সেখানে আমার নিজের ও প্রবেশাধিকার নেই।।
সামু ছেড়ে দিচ্ছি। এটা আমার শেষ কবিতা পোষ্ট- এবং হয়ত শেষ পোষ্ট। কাউকে কমেন্টের জন্য আঘাত দিয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
ভাল থাকবেন সবাই।
উৎসর্গঃ নিশাত সারিকা কে- অনেক কষ্ট করে আমার অনেক গুলো কবিতা রেডিও আহাতে পড়েছে মেয়েটা। এই জন্য এই অধ্ম চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।