নিস্তব্ধতার সংজ্ঞাঃ ..................................নিখিল ড্রাফট ১
নিস্তব্ধতা যেন ছিড়ে ফুঁড়ে বের করে দিচ্ছে সব কিছু
নিরবতার সংজ্ঞা বুঝতে শিখিনি কোনদিন
একাকীত্বের ও তবু একটা শেকড় থাকে
নিরবতার থাকে খান কয়েক কাঁটা-নিয়েছিল আমার পিছু
মৃত্যুর পর আবার জেগে উঠতে পারি ভেবে মরতে চাইনি
মৃত্যুর শীতলতা যৌনতার ঠিক বিপরীত ছিল বলে
আমি ভয় পেয়েছিলাম দুহাত ভরে গ্রহণ করতে
নিজের চাইতে কাউকে বিশেষ ভাবে কোনদিন যে ভালবাসিনি
জীবনের পংক্তিমালা দৃষ্টির সনির্বদ্ধ সমীকরণ........নিখিল ড্রাফট ২
আমার দু ঢেল দৃষ্টিক্ষেত
তলপেটে নিখাদ পেশীর মত
দেখা যায় হিংস্রতার অবমুখ হয়ে
আমি নিনাদ করি
কেঁপে কেঁপে ওঠে সবকিছু
ভালবাসার মত নিখাদ হয়না
আমার জীবন- শুধু তাই
আমি চিৎকার করে বেঁচে থাকি
হতাশার ভেতর ক্ষোভ জমে যায়
জমা হয় এক এক করে-
আমি মরনের পর ভেসে ওঠা- থলথলে
ফুলে ওঠা লাশ হব ভেবে
ঝাঁপ দেইনি জলের কাঁপনে।
বিষের পেয়ালা নিয়ে বুঝেছি
সেখানে ভেসেছিল একবুক জলের তলায়
ভালবাসার তলানি
আমি সেই বিষের কাছে
সুখ খুঁজতে গিয়ে নিজেকে হারাব ভেবে
আমার ফিরে ফিরে এসেছি এই পৃথিবীর বুকে।
এবং তারপর আমি দেখেছিলাম সাদা বকের সুদৃঢ জীবন প্রণালী
আমি দেখেছিলাম কি জন্য ওরা বেঁচে থাকে- জীবনকে ভোগ করে
আমি দেখেছিলাম নিতান্ত অনিচ্ছায় ও বেঁচে থাকে ক্ষীণপ্রান মানুষ
আমি দেখেছিলাম কিভাবে এক বেলা খেয়েও বড় হবার স্বপ্ন দেখে মানুষ গুলো-
আমি দেখেছিলাম কিভাবে সব আশা শেষ হয়ে গেলে মানুষ আবার ঘর বাঁধে নতুন আশায়
জীবনের নতুন মানে খুঁজে পাবার জন্য আমি আবার
এবং আবার আকাশের চেতনায় বিশুদ্ধতা খুঁজি
বৃষ্টির জলে খুঁজি চুমুক চুমুক ভালবাসার ভালোলাগায় ভিজে যাবার স্বাদ কিনবা একমুঠো রোদ্দুর
রোদের কাছে খুঁজি খুব মেঘলা বিকেলে ও একচিলতে ভালবাসার রেখা এবং
এই জন্যই আমি বেঁচে থাকি
আমি আবার বাঁচার স্বপ্ন দেখি
আমি আবার স্বপ্ন দেখি একটি বালিকা হয়ে বেঁচে থাকব আমি
স্বপ্ন দেখি একজন মানুষ হয়ে হেটে বেড়াব সমুদ্র তটে
স্বপ্ন দেখি আমি শুধুই স্বপ্ন দেখি
অবশেষে আমার শরীর গঠিত হয় মানুষের মত
এবং আমি সত্যিকারের মানুষ হব বলেই
কি ভেবে
নিজেকে সঁপে দেই মৃত্যুর কাছে।।
যন্ত্রনাঃ ....................................নিখিল ড্রাফট ৩
অনন্ত শীতের রাতে চাঁদ ঢেকে যায় কুয়াশার চাদরে
একা একা ঝিঁ ঝিঁ পোকা ও ডাক ভুলে যায় কোন এক সময়
আমি সেই একাকী শীতের ভেতর কুয়াশায় হারিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি
স্বপ্ন দেখি দূর নীল নিলীমার মাঝে একাকী হেটে যাব চলন্ত রেলের দিকে
হাত বাড়িয়ে টেনে আনব মৃত্যুকে
আমি কাল গুনি কখন আসবে মৃত্যু।
লেপের তলায় থেকে শীতের রাত কাটাতে ইচ্ছে মরে গেছে বহু আগে
বেঁচে থাকার ইচ্ছেরা ও পার হয়েছে অজানা গন্তব্যে
একাকী বেঁচে থেকে লাভ নেই বলে এক সময় থেমে যায় বটবৃক্ষের বাড়ন্ত জীবন
আমি ও সেই পথে এগিয়ে যাই- একা ছিলাম একাই আছি বলে
একবার চুমু খেতে চেয়েছি মৃত্যুর মুখে ।
আমার চুমুর ভেতর জমেছিল ছত্রাকের বাসা
সেখানে ছিল একরাশ গন্ধকের ছানা
খরা পড়েছিল অজানার মন্তব্যে
তারপর আমি যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে
ঝাপ দেই মৃত্যুর কোলে।।
শেষ ড্রাফটঃ নিখিল শুধুই নিখিল
মৃত্যু মানুষের নিঃশেষ গন্তব্য।মানুষ ভেবে ভেবে নিঃশেষ হয়ে গেছে মৃত্যুর পর কি আছে। কেউ কারো থেকে কম ছিলনা কোনকালেই। কিন্তু অবশেষে কি আছে কেউ কোনদিন বলে যেতে পারেনি। কারন মরনের পর কেউ ফিরে আসেনি- কেউ বলতে আসেনি কি ছিল মৃত্যুর মাঝে?কি ছিল মরে যাবার যন্ত্রণা- কি ছিল মৃত্যুর পরের অবস্থা....
জানি মৃত্যুই মানুষের শেষ গন্তব্য। একদিন আমি ও তাই মরে যাব- মিশে যাব এই পৃথিবীর মাঝে। মিশে যাব নিখিল সমুদ্রে। তাই আমার লেখা গুলো যে গুলো আমি অন্তরালে ছড়িয়ে দিয়েছি তোমাদের জন্য- এগুলোকে ভুলে যেও আমার সাথে। খুব খুশি হব আমাকে একদম চূর্ণ করে সাগরে ফেলে দিলে।।