এই পৃথিবীতে যত স্থাপত্য কলা আছে তার মধ্যে যদি পাঁচটি স্থাপত্য কলাকে প্রথম সারিতে রাখতে বলা হয় শুধুমাত্র এদের মান এবং সৌন্দর্যের কারনে তাহলে তাদের মধ্যে একটা হবে পারিসের লু্ভ মিউজিয়াম যাতে আছে পৃথিবীর সব চাইতে বিস্ময়কর ও মহামুল্যবান অনেক চিত্রকলা এবং ভাষ্কর্য।

প্যারিসের সিন নদীর তীরে অবস্থিত এই বিশাল স্থাপনা আজকের সমকালে এক মহাকালের ধারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে।
প্যারিস শহরটা গড়ে উঠেছে সিন নদীর তীর ঘেষে ।অনেকটা উত্তর দক্ষিনে আড়াআড়ি ভাবে অবস্থিত এই নদীর তীরে ই গড়ে উঠেছে লুভ।

লুভ মিউজিয়ামকে আমরা আকাশ থেকে এরকম দেখতে পাই।কিছুটা ঝাপসা ভাবে হলেও পুরো লুভ কেই এখানে দেখা যাচ্ছে।


এখানে বিমান থেকে দেখা যাচ্ছে স্বপ্ন ময় লুভ।

এই লুভ মিউজিয়াম এক দিনে গড়ে ওঠেনি-সেই ১১৮০ সালে প্রতিষ্টার পর এই ভবন ব্যাবহৃত হয়েছে অনেক কাজে।
১১৮০ সালে ফিলিপ অগাস্টে লুভ বানানো শুরু করেন।১৩৬৪ সালে ৫ম চার্স এটাকে নিজের বাসগৃহ হিসেবে ব্যাবহার করতে শুরু করেন।
১৫৪৬ সালে স্থপতি পিয়েরে লেক্কো কে লুভ সংস্কার করতে বলেন ৫ম ফ্রান্সিস।
১৫৬৩ সালে ফিলবার্ট ডা লাওয়েরিন ত্যুলেরিস তৈরি করেন।
১৬১০ সালে লুভ এর সাথে ত্যুলেরিস যুক্ত হয়।
১৬৬৩ সালে ক্যুরে ক্যারারে বানানো শুরু হয়।
১৭৯১ সালে প্রথম এখানে বৈজ্ঞানিক আর চিত্রকলা প্রদর্শন করা হয়।
১৭৯৩ সালে এটা জনগনের জন্য খুলে দেয়া হয়।
১৮১০ সালে লু ডা রিভ্যরি বানানো হয়
১৮৫৩ সালে ৩য় নেপোলিয়ন স্থপতি ভিসচালি কে লুভ নতুন ভাবে সংস্কার করার নির্দেশ দেন।
১৮৬১ সালে রিফু্যেল গ্রান্ড গ্যালারি তৈরি করেন।
১৯৮১ সালে স্থপতি আই এম পেই পিড়ামিডিক প্রবেশদ্বার তৈরি করেন।এবং লুভ কে চুড়ান্ত রুপ দান করেন।


এখানে প্রাচীন কালের লুভ কে দেখা যাচ্ছে।

১৮০০ শতকের লুভ।

বর্তমানে লুভ।

বিভিন্ন লেভেলের নকশা দেখা যাচ্ছে।

সেকশানে লুভ মিউজিয়াম

বর্তমানে লুভ-এখানে কোথায় কি অবস্থিত তা দেয়া আছে।


আই এম পেই এই সিড়ি বানিয়েছেন।রিসেরিল্ড এর মাঝে প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট লাইটের সংযোগ করেছেন।

কাঁচের পিড়ামিডের মাঝে এই গোলাকার সিঁড়ি বানিয়েছেন-যেটা অদ্ভু্ত সুন্দর।


লুভ এ তিনটা প্রধান কোর্টিয়াড আছে-এটা হল খোরসাবাদ কোর্টিয়াড-এতে আছে অদ্ভু্ত সুন্দর সব ভাষ্কর্য।


মরলি কোর্টিয়াডে আছে বৃটিশ শিল্প গুলো।






ইনটেরিয়র প্যাসেজ গুলো দিয়ে এভাবে একটা কোর্টিয়াড থেকে একটা কোর্টিয়াড কে সংযোগ করা হয়েছে।



এই স্থানে গেলে পুরোনো আমলের দেয়াল দেখা যায়-এখনো দাড়িয়ে আছে।


কাঁচের এই পিড়ামিড স্থপতি নিজে উপস্থিত থেকে বানিয়েছেন।

পিড়ামিডের নিচে আরেকটা উল্টো পিড়ামিড বসিয়েছেন-বানিয়েছেন এক গোলক ধাঁধা।



রাতের বেলা য় পিড়ামিড

লুভ এ কিছু চারু ও কারু কলা ও শিল্প কলা যে গুলো পৃথিবী বিখ্যাত।ঝ




অবশেষে অতী্তকে জানতে -মানুষকে জানাতে যে লুভএর জুড়ি নেই সেই লুভ এ জীবনে অন্তত একবার ঘুরে আসবেন-দেখে আসবেন মানুষের এক অদ্ভুত সুন্দর কীর্তি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
{ছবি গুলো আমার ই একটা প্রেজেনটেশন থেকে নেয়া}