নীরস দিবস, অতঃপর নির্ঘুম রাত্রি,
মনের মাঝে উপচেপড়া স্মৃতির খাম;
হঠাৎ দুয়েকটা খুলে পড়া হয়,
সিংহভাগই না খোলা, অপ্রাপ্তই থাকে তোমার ঘ্রাণ।
অপ্রাপ্তি বরং ভালো,
প্রাপ্তিতে থাকে ছুটে বেড়ানো, হারিয়ে যাওয়ার তাড়না;
তারচে বরং সরে যাওয়া, হুট করে ভুলে যাওয়া,
জাগিয়ে রাখে বেঁচে থাকার প্রেরণা।
তোমাকে একবার বলেছিলাম, ঘুমিয়ে গেলেও খুলে রেখো দরজার কপাট,
ইচ্ছে হলেই যাতে ছুয়ে দেয়া যায় হাত;
নিষ্প্রয়োজন আজ, তবুও খুলে রেখো,
নতুন প্রেমিকেরা দেখবে তোমায়, শুধু ছুয়ে দেওয়াটা নাহয় আমার জন্যই বরাদ্দ থাক।
নানান কাজে জড়িয়ে থাকি, দেশান্তরি আমি,
তবু কোথাও যেন একটা তোমাকে না পাওয়ার ব্যথা বাজে;
পাজরভাঙ্গা চিৎকারে এখনো মাঝেমাঝে অবাক হই জানো?
তোমাকে তো ভুলেছি প্রায় বছর চারেক আগে।
চার বছর কি যথেষ্ট নয় তোমাকে ভোলার জন্য?
নতুন করে ভালোবাসলেই কেন আমার ভিতরের তুমি হয়ে পড়ো আজও বন্য,
নাকি চাও আরো বছর দশেক ভালোবাসি তোমায় নিজের থেকে পালিয়ে,
তবে তাই হোক, তুমি জিতে যাও, বছর কুড়ি পরেই নাহয় জড়াবো নতুন কোনো প্রণয়ে।
[কি কবিতা লিখছি, নিজেও জানি না। আদৌ কবিতা হইছে কি না, সে সম্পর্কেও সন্দিহান]