অনেকগুলো পত্রিকায় এরই মাঝে এসেছে পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিওলজি তাদের সংসদে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে, স্বামীরা প্রয়োজন মনে করলে স্ত্রীকে হালকা মারধোর করতে পারে! সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা থেকেই এমনটা হচ্ছে।
https://www.washingtonpost.com/news/worldviews/wp/2016/05/26/pakistani-husbands-can-lightly-beat-their-wives-islamic-council-says/
আমাদের স্কলারগণ সব ব্যাপারেই সুন্নত মানে, কিন্তু এই স্ত্রী প্রহারের ব্যাপারেই সুন্নত ইগনোর করে। রাসূল (সঃ) জীবদ্দশায় উনি কখনো উনার স্ত্রীদের গায়ে হাত তুলেছেন এরকম নজির নেই। বরং বিছানা থেকে আলাদা করেছিলেন, বা কোন স্ত্রীর ঘরে যাননি, এমনটা ঘটেছে।
সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে 'দ্বারাবা' র অর্থ খুব সহজেই অনেক আলেম 'মৃদু প্রহার' হিসেবে ধরে নেয়। অথচ ক্লাসিক্যাল আরবী ভাষা নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে এই 'দোয়া', 'রা' এবং 'বা' মূল ধাতু নিয়ে ১৭ রকমের অর্থ হয়, যার কয়েকটি কুরআনের আরো কয়েকটি আয়াতে আছে, যেখানে এই শব্দটির মানে 'পৃথক হয়ে যাওয়া'। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কিত কুরআনের অন্যান্য আয়াতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতেও এর অর্থ হতে পারে 'পৃথক হয়ে যাওয়া।' দয়া করে নিচের লিঙ্কটি পড়ুন, আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন,
http://www.wisemuslimwomen.org/pdfs/Jihad_against_Violence_Digest_(ASMA).pdf
ইতিমধ্যে জনাব শাহ আবদুল হান্নান এ ব্যাপারে ই-মেইল করেছেন কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিওলজিকে। তবে আমার মনে হয় আমাদের সবাইকেই এ ব্যাপারে আলোচনা করা উচিত, প্রতিবাদ জানানো উচিত। বিশেষ করে ইসলামের জ্ঞান্সম্পন্ন নারীদের তো অবশ্যই!