প্রথমেই আমি স্ন্যাপশটের ক্যাপশনের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারন পরিসংখ্যানে জীবনের ক্ষয়ক্ষতি একটা রাষ্ট্র মাপতে পারে.. কিন্তু যে ধর্ষীতা হয় কার কাছে পরিসংখ্যান শুধু নয় তার মানব জীবনটাই অর্থহীন হয়ে যেতে পারে। কারণ সবাই ফুলনদেবী নয়। এ স্ট্যাপটি আমি প্রথম আলো পত্রিকা খেকে কাট করেছি।
======== এবার মুদ্দা কথায় আসি।
ধর্ষণ এবং ধর্ষকদের বিরোদ্ধে সবাই এখন সজাক ও মারাত্বক ভাবে প্রতিবাদী। কিন্তু প্রতিবাদের এই ধারাটা অর্থহীন ও বিফল একটা পদ্ধতি। কারণ হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে প্রতিবাদ করলেই ধর্ষক কিংবা খারাপ মানুষের চরিত্র পাল্টে যাবেনা।
রাতারাতি তারা ভাল হয়ে যাবেনা। তারা আন্দোলনকে ভয় পায়না, কারণ তারা ক্ষমতার ছায়ায় নিরাপদ বসতী। আঘাত করতে হবে সেই ক্ষমতার পিঠে যে ক্ষমতা অপরাধীদের আসকারা দেয়। প্রশ্রয় দেয় । যে ক্ষমতা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ।
কিন্তু তার পরও মানুষ এই বিষয়ে ধর্ষকদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদে সুচ্চার। অথচ ধর্ষক যে তার পরিচয় সমাজ আগে থেকে জানেইনা । তাইলে ধর্ষণ রুখে দেবার প্রত্যয়ে করে লাভ কি।
এভাবে ধর্ষণ রোখে দেয়া যাবেনা। ধর্ষণ রুখে দেবার একমাত্র পদ্ধতি আইনের শাসন বাস্তবায়ন।
আন্দোলনের লক্ষ একমাত্র তারাই হতে পারে যারা আইনের শাসন বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অথবা নিজের স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে করছেনা বা পারছেনা।
যারা সন্ত্রাসী ও অর্থপাচারকারী, জালিয়াত ও ধর্ষকদের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিকে অপশক্তিতের রূপান্তরিত করেছে অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে থাকার জন্য।
পালটাতে হবে জীনব্যবস্থা । ধর্মীয় মূল্যবোধকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
ধর্ষকদের রুখে দেবার একমাত্র পথ হলো যুগ যুগ ধরে ধর্ষক ও সন্ত্রাসী প্রতিপালনের যে রাজনৈতিক সিস্টেম এই দেশে আরম্ব হয়েছে তা বন্ধ করা। আন্দোলন করতে হবে এই সিস্টেমের বিরোদ্ধে। আন্দোলন করতে হবে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে ।
আন্দোলন করতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্দ্রের দাবীতে।
আন্দোলন করতে হবে রাষ্ট ক্ষমতা দলীয় লেঞ্জামী থেকে তুলে এনে জনগনের হাতে পূনপ্রতিষ্টা করার দাবীতে।
এই সব শর্ত যে দিন আমরা পূরণ করতে পারবো সেদিন ধর্ষণ খুন, আর লুটপাট আপনা আপনি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।
সাবাই এই বিষয়টা বুঝে। কিন্ত একমাত্র নুরু ছাড়া কেউ আসল যায়গায় কথা বলেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০২