somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রথম বাংলা
((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

জ্বিনের আসর বিষয়ক

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজি ভাই এর “আসুন জ্বিন সম্পর্কে জানি” শিরনামের পোস্টে করা আমার মন্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
==
এগুলো আসলে মানব মস্তিষ্কের জটিল ক্রিয়া কর্ম। মানুষের মস্তিষ্কগুলো পারষ্পরিক এক জটিল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে টেলিপেথি। ধরেন আপনি আপনার সামনে ভুত দেখছেন, তার সাথে কথা বলছেন, কিন্তু আপনার কাছে আমি বসা, অথছ আমি দেখছিনা।
কিন্তু আমরা দেখি কি? কোন বস্তুথেকে যদি আলো- ইলেক্ট্রন এসে আমাদের চোখে পড়ে তখনই আমরা কোন বস্তু দেখতে পাই। যদি সামনে কোন উৎসথেকে এমন আলো আসতো যাতে আপনি ভূত দেখছেন তাহলে সেই তেমনটা আমিও দেখতাম। কারণ আপনার আর আমার চোখ একই আলোক সংবেদনশিল।
তার মানে কী দাড়ালো?? আপনি আসলে চোখের বাইরের কোন বাস্তব বস্তু দেখছেন না। দেখছেন আপনার মগজে তৈরি হওয়া কোন ইমেজিনারি অব্জেক্ট। এই কারনেই আপনি দেখছেন অথচ আমি দেখছিনা।

এখন এই আজব ঘটনাটার কোন ব্যখ্যা যখন আপনার কাছে নাই তখন আপনি কী করবেন?? আপনি তখন এটিকে অলৌকিক বা জ্বিন বা ভূত বলেই শান্তনা নিবেন। ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী যতটুকু ভয় পাবার সেটিও আপনি পাবেন। তাইনা??

এখন কথা হলো একজন থেকে অন্যজনে এই বিষয়টি ছড়ায় কী ভাবে?? কী ভাবে একজনের জ্বিন অন্যজনরে ধরে?
সেটি হলো মগজের নেটওয়ার্ক। যাকে বিজ্ঞান বলে টেলিপ্যাথি।
একটা উদাহরণ দেই।
ধরেন আপনি হঠাত কারোর কথা ভাবছেন, আর এমনি সে চলে আসলো। অথবা আপনি এবং আপনার বন্ধু একই সাথে একই বিষয় ভাবলেন এবং বলে দিলেন। আবার এক সাথে হাঠছেন, হঠাত আপনি যে গানটি গুন গুন করে গাইতে শুরু করলে আপনার বন্ধুও একই গান গাইতে আরম্ব করল। এমনটি কি আপনার কখনো হয়েছে? অনেকেরই হয়।

এখন প্রশ্ন হলো , আপনি এই মূহুর্তে যার কথা ভাবছে সে যখন আপনার সামনে হঠাত চলে আসলো, তার মানে কি আপনি তাকে ভাবলেন বলে সে চলে আসলো? না সে কাছাকাছি আসলো বলে তার কথা আপনার মনে পড়লো?
বিশুদ্ধ সাইন্স হলো আপনার কাছাকাছি সে এসেছে বলেই আপনার মনে তার কথা উদয় হয়েছে।

এর কারন হলো মানুষে মগজে যখন চিন্তার তরঙ্গ চলে তখন একধরণের অতি সুক্ষ ইন্ডাকশন ইফেক্ট তৈরি হয়। বাংলায় বললে দাড়ায় আবেশ ক্রিয়া।
যাকে বলা হয় ব্রেইন ফ্রিকুয়েন্সি। মগজ যেমন তরঙ্গ ছাড়তে পারে তেমন তরঙ্গ ধরতেও পারে। এই ঘটনাটি ঘটে যখন একজনের চিন্তা তরঙ্গ অন্যজন তার মগজের রিসিভার দ্বার মনের অজান্তে রিসিভ করে ফেলে তখই তার মথা মনের পড়ে যায়। অথবা একই সাথে বন্ধু যেটি ভাবছে আমরাও সেটি ভেবে ফেলি।

এবার আসি ভুতের বা জ্বিনের আসর কিছাবে একজনের মাথা থেকে অন্য জনের মাথায় যায়। আপনি যখন মনের গভীরে জ্বিন বা ভূত কল্পনা করলেন এবং ভয় পেলেন। তখন আপনার মগজের চিন্তাতরঙ্গ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময়টায় যদি আশেপাশে কেউ বিষয়টি নিয়ে গভির ভাবে ভাবনার মগ্ন থাকে তখন সেই উর্বরতার সুযোগে আপনার মগজের এই ইমেজিনারি বেড অব্জেক্ট তার মগজে আবেশক্রিয়ার দ্বারা কপিপেষ্ট হয়। তখন সেও আপনার মত একি পরিস্থিতি সিকার হয়। এবং কোন কাল্পনিব বস্তু দেখে।
সম্পুর্ণ বিষয়টিই আসলে মনস্তাস্তিক।


সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×