মাথার উপর নবমী তিথির চাঁদ
জমিনে রূপার আলো’
ঘাসের উপরে শিশিরের প্রেম
সে যেন এ এক অনন্ত হেম-
অলকে তোমার ক’ফুটা শিশির করছিলো ঝলোমলো।
কেবল দুজন, বসার নিচেতে কাটা ধানের ঢের.
ভালবাসা নয়, আলোচনা ছিলো ঈশ্বর কণিকের।
শুনালে কাহানি, টানেল হয়েছে মাটির দুকিলো নিছে.
অনেক লেগেছে বিজ্ঞানি-টানি গডকণাটার পিছে..।
তখন আমার হৃদয আকাশে তুমি তারা হয়ে জ্বলে
হেলালী আলোয় ভালোবাসা হয় বিজ্ঞান নাহি চলে।
আমি কহিলাম এই কনাখানি নারীর প্রেমকি বোঝে?
আমায় কহিলে, “তুমি বড় বুকা”
জ্ঞানেরা যুক্তি, প্রেম একরোখা,
জ্ঞানের জগতে ভালোবাসা কেউ খুঁজে?
তুমি অপলেকে চেয়েছিলে
তোমার দুচোখে তাকিয়ে ছিলাম
দেখিনি বোসন কনা,
চাঁদের আলোকে ঝিলিক খেলিছে
ভালোবাসা আনগুণা।
চেয়ে দেখিলাম--।
বুঝিলাম আমি গডকনাটাও
ভালোবাসা নিয়ে খেলে-
যেভাবে সেদিন মধ্য নিশিতে
তবচোখে গেলো খেলে।
আবারও সে রাত এসেছে আমার
নিঝুম ঘাসের বেলা।
মাথার উপরে মেঘ আর চাঁদ
লোকোচুরি করে খেলা।
তুমি নাই পাশে আমি বসে ঘাসে দেখি একা ইশ্বর,
ঘাসেরা আমায় আপন করেছে তুমি করে দিলে পর।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৩