জীবন যাত্রী
=================
ক্ষিদের পেটে রাস্তা থেকে নেমে
জাত ভাগাড়ে কুড়োতে গিয়ে শিশু,
খাবার কিছু পায়নি অবশেষ-
পেয়েছে সে আধগলা এক যিশু।
তাকিয়ে দেখে শিশু, যিশু নয় সে
বিমূর্ত এক মূর্তি ভগবান।
একচোখ তার কখ--ন গেছে খসে-
আর এক চোখে হয়তো ধরা’ দেখে অর্ধখান।
অবহেলে ছুড়েই ফেলে মাটির পুত্তলি
এই বিধাতার নেই কোন তার জরুরী দরকার,
এই বিধাতা তাদেরই থাক তবে-
যাদের খেয়ালপনা কেড়ে নিলো ক্ষিদের অন্ন তার।
আজকে ভাগাড় শূণ্য পড়ে আছে,
কপালে তার জুটেছে আজ একটি কেবল ডাব।
আজকে শহর জন শূন্য তাই-
ভাগাড়ে আজ দেশের মতই নিদারুন অভাব।
পথের শিশু ফিরে এলো পথে
পথের সকল অঙ্গ জোড়ে বসেছে হরতাল
এ হরতালের বক্ষবেধি ময়লা নুংড়া পায়ে
হাঠছে শিশু, পা দুটি তার ক্ষুধার্ত বৈতাল।
হরতাল ঠিক বুঝেনা সে, তবু
বোঝতে পারে এ নিদারুণ পেটের অন্তরায়।
শহর জুড়ে জনতা নেই কোনো-
নেতার বড় বাড় বেড়েছে, শহর ভরা তাই।
হাতে নিয়ে ডাবের খোসা শিশু
হাঠছে পথে পাথে।
ঐ নেতারাই আজ এ দেশের যিশু,
অন্ন যে তার আটকে আছে ঐ যিশুদের হাতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৭