নগর বসতী
==========
হে নাগরীক----
আমি নগর দেখিনি বেশি
দেখেছি যা কিছু তার সবি প্রায় গ্রাম।
ছোট ছোট অজপাড়া গাঁ।
খড়ের চালের নিছে মাটির দেয়াল ঘেরা কিছু
কিছু তার বাস আর টিন।
ক্ষেতকাম মাটি কাটা মাছ ধরা
এই সব রং তুলি দিয়ে ,
এইখানে মানব সমাজ বেতাল রঙ্গীন।
ছোট ছোট বৃত্তের বন্দী জীবনে
এইখানে মানুষের ভাবনারা বড়জোর
দুই মাইল নদীর খাঁরিতে ডুবে রোজ।
এই বেতাল রঙ্গের মাঝে তবু
মানুষেরা শান্তি করে খোঁজ।
শান্তি, সেতো এক বিরল রঙের সমাহার।
এখানে হয়না তা, সাত রং মিলে গিয়ে
এখানে আকাশে মেঘ- জমা হয় সাদা বেদনার।
তার পরও
কদাচিৎ এখানেও রংধনু জাগে-
কিশোর কিশোরী যুবক যুবতী মাতে সৃষ্টির খেলায়-
বয়ে যায় মিহি রং, সাদাকালো জীবনের ভাগে।
সে রঙ্গের কী অসীম শক্তি, দেখেছি আমি-
সভ্যতা টিকে থাকে যার ঘারে ভর করে
সে কৃষকচ্যুত, দুই মাইল কল্পনার বসতী-
ভোরের শিশির পথে নামি,
চলে যায় দুই মাইল পৃথিবীর শেষে।
মাটির গভীর থেকে তুলে আনে শস্যের শীষ
খড়ের চালের নিচে বসে থাকা পোয়াতি বউকে ভলোবেসে।
সেই শস্যের দানা অবশেষে চলে যায় তোমার নগরে,
কামলা মজুর চাষা পড়ে থাকে দুই মাইল মাঠে
শীলকুটা ফসলের মত, পরিকল্পনা থেকে পরী ঝরে-
দিন শেষে এইসব কামলার বউ শূণ্যহাড়িতে হাত চাটে।