খেয়ে দেয়ে আবার গেলাম। তখন প্রায় পৌনে এগারোটা , দেখিগাড়ি এসেছে। তবে এখনো বিক্রি শুরু করে নি। সামনে এত লোক দেখে অবাক হলাম, আগে যেখানে ২০-২৫জন লোক ছিল, এখন দেখি ৫০ জনেরও বেশী! কে ছিল আর কে ছিল না কিছুই বুঝতে পারছি না। লোকজন এক প্যাকেট করে নিচ্ছে আর যাচ্ছে(দু একজন একবার নিয়ে আবার নেবার পরিকল্পনা করছে)। এক পুলিশ দেখি এক প্যাকেট নিল, আরেকটা ছেলেকে দু প্যাকেট নিল।
এদিকে সাড়ে এগারোটা পেরিয়ে গেল কিন্তু লাইন তেমন আগায় না। সামনে জটলা করা অনেকেই পরিচিতদের পাশে গ্যাটিজ হিসেবে ঢুকে পড়েছে, অনেকে ঢুকে পড়ার সুযোগ খুজছে। পেছনের আমরা এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু করলাম, পুলিশ এসে জটলা সরিয়ে দিল, লাইন আগাতে থাকলো। অনেক আন্ডা ববাচ্চাকেও লাইনে দেখলাম। এক মুরুব্বী দুজনকে ভেতরে ঢুকালো। বিরক্তি লাগলেও আমি চুপ করে আছি, এক পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে কত হুড়ো হড়ি করবো! আমার পাসের জন প্রতিবাদ করলো(ওরা ৮-১০জন এক সাথে পেঁয়াজ নিতে এসেছে)। পুলিশ আসায় সামনের জটলা অনেকটাই কমে গেল। একটু পর আবার আরেকজন এসে ঢুকতে চাইলে আমি রেগে গেলাম, এক পুলিশ এসে তাকে জোর করে সরিয়ে দিল(এক পেঁয়াজ নিয়ে কত কান্ড!) লাইন ধরে পেঁয়াজের গাড়ির সামনে আসলাম। গাড়িতে একজন প্যাকেট করছে আরেকজন ওজন করে টাকা নিচ্ছে। একবার ছেলেদের দিচ্ছে আরেকবার মেয়েদের দিচ্ছে। দুই পাশে পুলিশ আছে, তার ফাঁকদিয়ে মাঝে মধ্যে দু-একজন সাইড থেকে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। আবশেষে আমি প্যাকেট পেলাম। প্রতি প্যাকেট ৫০ টাকায়।(৪৫টাকায় দিলে খুচরার একটা ঝামেলা হয় তাই ৫০টাকা নিচ্ছে আর ১কেজির একটু বেশী দিচ্ছে)। গুনে দেখলাম পাঁচ খানা পেঁয়াজ আছে। চেহারা দেখে বুঝলাম এটা সম্ভবত মিশরীয়/তুরস্কের পেঁয়াজ।
রুমে এসে দেখি বারোটা পেরিয়ে গিয়েছে। মনে মনে ভাবলাম, দাম যাই উঠুক এক কেজি পেঁয়াজের জন্য লাইনে আর দাঁড়াবো না। গুড বাই টিসিবি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯