কুরবানির ইদের পর থেকে দামের এমন অবস্থার সূচনা হয়েছে। যদিও তখন ৩০-৪০টাকা ভেতরেই ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় এর দাম লাগাম ছাড়া হয়ে যায়। কোন দিন ৯০, কোনদিন ১০০। তারপর মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকে পেয়াজ আনা হয়। ভারতও কয়েক হাজার টন রপ্তানি করে। পুজোর মধ্যে দাম কিছুটা কমে(৬০টাকা কেজিতে কিনেছি), কিন্তু এরপর আর কমেনি। বরং দিনকে দিন বাড়ছে। এমন লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি দেখে হতবাক হচ্ছি, এমন না যে দোকানে পেঁয়াজের খুবই সংকট। বরং প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত মজুদ আছে তারপরও একে অন্যের দেখাদেখি দাম বাড়িয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময়মত পদক্ষেপ নিলে, নিয়মিত মনিটরিং করলে এমন পরিস্থিতি হয়তো তৈরী হতো না।
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি দিনগুলো সেই, আজ আর নেই:
নরমালি পেঁয়াজের দাম দেখেছি ২০-৩০টাকা করে। গত রমজানে ১০-১২টাকাতেও কিনেছি(একদিন তো ৪০টাকায় পাঁচ কেজি পেয়েছি), সেদিন ভেবেছিলাম এত কমদাম হলে কৃষক লাভ করবে কী করে! দাম আরেকটু বাড়া দরকার। তখন কী ভেবেছি, এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে!
শীতের মৌসুমে আমাদেরও অল্প কিছু পেঁয়াজের আবাদ করে। এসব পেয়াজের ফলন কম, আবার বেশীদিন রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফসল তোলার পরপরই বিক্রি করে দিতে হয়। ঐ সময় দাম কম থাকায় লাভ কিন্তু তেমন হয় না(বাজারে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ থাকায়)। অথচ মৌসুমের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না। দেশে যেহেতু পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে, উৎপাদন বাড়িয়ে, সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে উন্নত করে এর চাহিদা মেটানো সম্ভব। ইচ্ছা থাকলেই সম্ভব।
[আজ আঠাশ চাল নিলাম ৪০টাকা করে। ডিম ৩০টাকা হালি, মুরগি(পোল্ট্রি) ১২৫টাকা। ডাল, তেল, আলুর দামও স্বাভাবিক। তবে মাছ ও সবজির দাম বেশ চড়া]
পেঁয়াজের কেজি দেড়শ, মন্ত্রী বললেন ‘নিয়ন্ত্রণে’
পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে
পেঁয়াজের কেজি ২৫০!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭