(১)
শেষ মুহুর্তটুকু আঁকড়ে ধরে আছো তুমি,
হাত ছিনিয়ে নিয়েছে অচেনা কোনো হাত
স্পর্শগুলো গা ঘিনঘিন করে ওঠার আগেই
ঘুম ভেঙে গেছিলো তোমার।
এখানে কিন্তু ঘুম ভাঙেনি আজও কারো,
বেঁচে থাকার অভ্যাসে ভর করে
মাথা তুলেছে এক-একটা বাড়ি
দুঃস্বপ্নের আস্তাকুঁড়ে।
যার উচ্চতা আকাশ ছোঁবে না কোনোদিন
সে ইমারতের প্রতিটা ইঁট রাতে চোখ বুজে থাকে,
প্লাস্টারখসা উলঙ্গ দেওয়াল থেকে
ঝরে পড়তে চায় লজ্জায়,
এই নড়বড়ে কাঠামো বেঁচে যাবে তবু
যুগযুগ ধরে,
সভ্যতার শক্ত ভিতের ওপর।
(২)
সন্ধ্যে শেষে অফিসফেরত বাসে এখন তুমুল ভিড়।
ভিড় এখানেও আছে,
এক্কেবারে মেলার মতো ভিড়।
কচি-কাঁচার ভিড়, বুড়োবুড়ির ভিড়,
কিছু উৎসুক চোখের ভিড়,
আর বাকিটা সব সে চোখ চিনে নেবার ভিড়।
রকমারি দোকান পাবে কিছু
খেলনাবাটির পাশে যেখানে
বিক্রি হয় নিষিদ্ধ আগাছা।
হাওয়াতে আমেজ আছে, উৎসবের মেজাজ আছে,
ভয় নেই, শৃঙ্খল নেই,
বৈধতার বালাই নেই, সভ্যতার রীতি নেই।
একবার রাস্তায় কান পেতে শোনো,
চাপা পড়া গল্পেরা আছে।
(বিঃদ্রঃ প্রেমচাঁদ বড়াল লেন কোলকাতার দ্বিতীয় বৃহত্তম বেশ্যাপল্লী, যা 'হাড়কাটা গলি' নামে বেশি পরিচিত।)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯