আমার কাছে সার্বজনীন অনুষ্ঠান সমাবর্তন স্বীকৃতি প্রদান ও দায়িত্ব অর্পনের একটি অনুষ্ঠান বলে বোধ হয়। একাডেমিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবর্তন উপলক্ষে এক সাথে মিলিত হওয়ার অন্যরকম একটি আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করে। নতুন রূপে সাজানো প্রিয় ক্যাম্পাসে থাকে উৎসবের আমেজ, সাজ সাজ রব, আনন্দঘন পরিবেশ। রং-বেরংয়ের ব্যনারের সৌন্দর্য বর্ধন আর গ্রাজুয়েটদের পদভারে মুখরিত নানা আঙ্গিকে সাজানো ক্যাম্পাসটি ভালোলাগার সুখ স্মৃতি হিসেবে অনেকের হৃদয়েই থাকে । বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উপাধিদানের এই উৎসবটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান শুধু নয়; অর্জিত জ্ঞান ও মেধাকে মানবতার কল্যাণে লাগানোর দায়িত্বও গ্রাজুয়েটদের ওপর অর্পিত হয় স্বীকৃতির মাধ্যমে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো দিনগুলোতে অনেকেই হয়ে উঠে উচ্ছ্বাস-আনন্দে মাতোয়ারা। যাদের জীবনে কিছু কঠিন ও নির্মম বাস্তবতা থাকে তাদেরকে খুব বেশি আনন্দে বিগলিত দেখে না সহপাঠিরা। আনন্দ ও খুশির বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে ভেসেও যেতে পারে না সবাই। তবে মুক্তপ্রাণের উচ্ছ্বাস, স্বতস্ফূর্ততা ও অনাবিল আনন্দে মুখর চেহারাগুলো সবার কাছেই ভাললাগার একেকটি উজ্ঝল উপমা হয়ে থাকে। ছাত্রজীবন শেষে নতুন জীবনের পথে পা বাড়াতে প্রিয় ক্যাম্পাস আর প্রিয়মানুষদের ছেড়ে যাওয়ার বিচ্ছেদ–বেদনার সুতীব্র অনুভূতিটা থাকে অনেকেরই।
তারুণ্যের স্বতস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস আর নির্মল আনন্দ উল্লাসে উদযাপিত এই বর্ণিল উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তের স্থির চিত্র অনেকের ক্যামেরায় বন্দি থাকে। পরবর্তী জীবনেও অনেকেই খুব মিস করে- সম্মানিত শিক্ষকদের, সহপাঠীদের, হলের ও বিভাগের বন্ধু- ছোটভাই-বড়ভাইদের। আসলে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়েই আনন্দের উৎসব পরিপূর্ণতা পায়। নির্মল আনন্দের ধারা ধরে রাখতে পারে কেবলই সচেতনতা ও আন্তরিকতা। উদ্যম-উচ্ছ্বাস-উৎসাহ যাতে কারো দায়িত্বকে না ভুলায়। নতুন আশা, কর্মোদ্দীপনা, স্বপ্ন, প্রত্যয় ও প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত থাকে যেন সবসময়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬