একজন বিশাল কৃষক নেতার অফিসে বইসা আছি! তিনি অনেক কথা কইতাছেন! ধব-ধবে পাঞ্জাবীতে দেবতার মতো থুক্কু ফেরেশতার মতো লাগতেছে। তিনি আমাকে রাজনীতির কথা বুঝাইতেছেন। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে আসছি বাংলাদেশের কৃষকদের অবস্থা জানতে। কারন আমার বাবাও ছিলেন মোটামুটি একজন কৃষক। তিনি নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতেই গর্ববোধ করতেন। তিনি বলে যাচ্ছেন জাতীয় রাজনীতির কথা। এইডা ওইডা।
-কাক্কু আমি কৃষকদের অবস্থা জানতে চাইতাছি!
-শূনো তুমি কদম আলীর সাথে কথা বলো-সে তোমারে ভালোভাবে ব্যাখ্যা কইরে দেবানি-দেশের কৃষকের কি অবস্থা!
-তিনি কি আপনাদের কেন্দ্রীয় নেতা?
-হ' তা কইতেই পারো! কদম আলী মীরপুর থানা সভাপতি!
-ঢাকার মীরপুর?
-হ' ঢাকার মীরপুর!
-কাক্কু মীরপুরে কৃষক আছে নাকি?

-আরে ধুর তোমাকে নিয়া হইলো জালা। না জাইনে কথা বলো।
-মীরপুরে কৃষক আছে ! আমি তদবা!
-ধুর মিয়া নাই কিডা কইছে?
-আসলেই আছে কাক্কু?
-আরে পোলা শুন আমার কুতা কালশী কিংবা আলোকদিতে দুনিয়ার জমি-দুনিয়ার কৃষক! আমরা তো তাগো ভালো মন্দ নিয়া কাজ করি!
আমি মোটামুটি আলোকিত হইতে হইতে আরেকজন মানুষ আইসা খাড়াইলেন। সালাম বিনিময় শেষে কৃষক নেতা আলোকিত মুখে তাকাইলেন।
-কি সাহায্য করতারি?
-জ্বী একটু সাহায্য দরকার।
-বলেন কি দরকার? কে পাঠাইছে?
-আপনাদের সংগঠনের রমনা থানা সভাপতি শমরু মিয়া আমারে পাঠাইছে।
আমার মাথায় আবারো ঘুরতে থাকলো-রমনা থানা এলাকায় কি কুনু কৃষক আছে? নিদেনপক্ষে কুনু পাটগাছ কিংবা ধইঞ্চা গাছ!
বড়ৈ চিন্তায় পইড়া গেলাম।





