বাসায় কারেন্ট নাই। দোকানে গেলাম। বসে আছি। একটা কাষ্টমার আসল। কয়, ভাই ইন্টারনেট আছে?
আমি কইলাম, জ্বি আছে। (যদিও দোকানে ইন্টারনেট নাই, তবে আমি বাসায় মোবাইল দিয়ে নেট চালাই। আর মোবাইল সেসময় আমার কাছেই ছিল। তাই বললাম আছে।)
লোকটা কয়, আমি একটা ফাইল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করব। কত নিবেন?
আমি কইলাম, ডাউনলোড ২০ টাকা আর প্রতিটি পেইজ প্রিন্ট ১০টাকা করে।
উনার মাথায় মনেহয় আকাশ ফেটে পড়ল !!
কয়, অ্যা পাইছেন টা কি? আপনারা কি ডাকাত? একটা পেইজ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা ৩০ টাকা?? আমার নিজেরই তো ইন্টারনেট আছে। এখনই প্রয়োজন বলে আপনার এখানে প্রিন্ট করতে চাচ্ছিলাম। "আপনাদের ব্যবসার তো কোন সিস্টেমই নাই"
কার না মেজাজ উঠে বলেন?
কয়, ইন্টারনেটে ডাউনলোড করতে এত খরচ হয়?
দিলাম ঝাড়ি,
আরে মিয়া দাম বেশি বলছি আপনার পোষাবে না করবেন না। এত চিল্লাচিল্লি করতেছেন ক্যান? আমি যেহেতু ব্যবস্যা করি সেহেতু আমি আপনার থেকে ভাল ব্যবসার সিস্টেম জানি। আর আমার ব্যবস্যা আমি ক্যামনে চালামু এইটা আপনার কাছ শিখতে হবে নাকি? আমি বেশি দাম চাইতেই পারি তাতে অবাক হওয়ার তো কিছু নাই,
আপনি বলেন, যে, ভাই আমি ১০টাকা দিব কিংবা ২০টাকা দিব। কিন্তু আপনি সেটা না করে চিল্লাচিল্লি শুরু করছেন। আমার ইন্টারনেট থেকে একটা ফাইল ডাউনলোড করতে নাহয় ১পয়সা কাটুক তাতে আপনার কি? আমি এখানে ব্যবসা করতে বসছি।
তারপর বললাম,
আপনার এই ফাইল ডাউনলোড করতে আমার ১পয়সাও লাগবে না। ডাউনলোড ছাড়াও আমার ইন্টারনেট আলাদা কাজ আছে সেহেতু আমার মাসিক বিল ঠিকই আসবে।
লোকটা কয়, কি ডোল্যান্সারে কাজ করেন নাকি?
আমিতো ব্যপকভাবে অবাকিত হলাম। সাথে আরো চরমভাবে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।
আরে মিয়া ! ইন্টারনেট মানেই কি ডোল্যান্সার নাকি? ডোল্যান্সার ছাড়া ইন্টারনেটে আর কোন কাম নাই??
-------------------------------------------
ভাবছিলাম ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং করুম । চাকরী বাকরীর ক্ষেতা পুরি। কিন্তু সে আশা পূরণ করে মনেহয় লাভ নাই। বিয়ার সময় শ্বশুরে যদি জিগায় কি কর? আর উত্তরে যদি কই "ফ্রিল্যান্সিং করি" তাইলে আমার কি হইব?