জাপান শাসন করেছে কোরীয়াকে, যেমন আমাদের শোষণ করেছে ইংরেজরা সে অ-নে-ক যুগ ধরে, এখনও কি শোষিত হচ্ছেনা আমরা নিজেদেরই শাসকশ্রেণী দ্বারা ? জাপানীজরা সবচেয়ে সভ্য জাতি সবাই জানি, কিন্তু সেই সময়ে তারা কোরীয়ান যুবতীদের অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। সে যাই হোক আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সুড়সুড়ি দেওয়া নয় যদিও কিছুটা থেকে যাচ্ছে...তার জন্য আমি আগেই দুঃখিত বলে নিচ্ছি...।।
এমন একটা স ময় ছিল যখন---মেয়েদের দ্বিতীয় বিয়ের প্রচলন ছিল না, এমনকি সে যদি টগবগে তরুণীও হতো। আর এদেরকে শয্যা সঙ্গী করতো সেই এলাকার প্রভাবশালী বা শাসক শ্রেণীরা...শুধু তাই নয় অবিবাহিত সুন্দরী মেয়েদেরকেও অপহরণ করে শয্যা সঙ্গী বানাতো...
১...এই যুবতি শুধু অতীব সুন্দরিই ছিলেন না...তিনি ছিলেন অনেক বুদ্ধিমতী...কিন্তু একা বাস করতেন।।এটা সেই অঞ্চলের শাসক জানতে পারলেন আর চিরায়ত ভক্ষক পুরুষের ন্যায় তাকে কিডন্যাপ করে শয্যা সঙ্গী করার সকল পরিকল্পনা সাজালেন...।।
সেই যুবতি এটা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা চিন্তা করতে লাগলেন----
সেই মোতাবেক যেদিন তাকে কিডন্যাপ করতে আসবে সেদিন সন্ধ্যায় তার এক প্রতিবেশী যুবককে নিমন্ত্রণ করলেন, তাকে প্রচুর সুস্বাদু খাবার ও সরাব খাওয়ালেন। এতে করে তার সেই প্রতিবেশী কিছুটা নেশাগ্রস্থ হল এবং তন্দ্রা অনুভব করল............
ইয়ংলেডী তাকে সেই রাতে তার সাথে থেকে যাবার... তার সাথে ঘুমানর আমন্ত্রণ জানালো। এই বলে যুবকটিকে তার বেডে যেতে বলল............। যুবকটি প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হলেও একটি সম্ভাব্য সুদীর্ঘ রোমাঞ্চ ও ভালবাসায় পূর্ণ রাতের কথা চিন্তা করে কাপড়-চোপর খুলে কম্বল এর নিচে অপেক্ষা করতে লাগলো...............।আর মেয়েটি কাপড় বদলিয়ে আসছে এই বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল...।ছেলেটি অপেক্ষা করতে ...করতে...ঘুমিয়ে পড়লো.........রাত বাড়তে লাগল ......গভীর রাতে শাসকের লোকজন আসলো --অন্ধকারে যুবতিকে কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে দেখে তারা ওভাবেই কম্বল পেঁচিয়ে তাকে নিয়ে গেল এবং শাসকের বেডরুমে রেখে আসলো...............
তারা এই সাফল্য উৎযাপন করতে চাইলো---শাসক হরেকরকম খাবার ও প্রচুর মদ-পানীয়ের ব্যবস্থা করলেন এবং তিনি নিজেও যোগ দিলেন......প্রচুর খাবার আর পানীয় পান করলেন...
এরপর যুবতির সাথে মিলিত হতে চাইলেন কিন্তু দেখলেন পার্টির ফলে আর প্রচুর মদ খাওয়ার কারনে কিছুটা নোংরা ও মাতাল হয়েছেন , ভাবলেন প্রথম দিনে ইম্প্রেশন খারাপ হবে এই ভেবে তিনি ওই রুমে গেলেন না......এর বদলে সুন্দরী যুবতী একা থাকবে এই ভেবে তার নিজের অবিবাহিত বোন কে ওই রুমে তার সাথে শয্যা সাথী হিসাবে থাকতে বললেন...। যুবতিটিও প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হলেও একটি অতিসম্ভব্ সুদীর্ঘ রোমাঞ্চ ও ভালবাসায় পূর্ণ রাত তারা উপভোগ করলো............।
যদিও যুবতি তার বুদ্ধি দিয়ে বেঁচে গেলেন এই যাত্রা......।।কিন্তু আসলেই কি বাঁচতে পেরেছিলেন ? অথবা এইটাই কি সবচেয়ে উত্তম পন্থা ছিল? তিনি অন্য সব প্রতিবেশীর কাছে সাহায্য চাইতে পারতেন না? আর চাইলেই কি তিনি পেতেন?
পুরুষের এই নগ্ন আদিমতা আগের মতই আছে একটু ভদ্র রূপ পেয়েছে এই যা.........।কিন্তু নারী আপনিই ঠিক করেন ভেসে যাবেন না প্রতিবাদী হবেন.........।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১