সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি আসে আর সকাল আসে খুব পরে লেপ মুরি দিয়ে, মনে হয় প্রকৃতি অলস হয়েছে আমাকে অলসতা উপভোগ করার সুযোগ দিতে, কিন্তু জগত-সংসার দেখবে কে আমি যদি অলসতাকে উপভোগ করতে থাকি? কিছুদিন ধরেই এমন শীত আর কুয়াশা, ভেবেছিলাম সারাটা শীতকাল শীত -নিদ্রায় কাটিয়ে দেয়া গেলে মন্দ হতোনা কিন্তু আমার এই ভাবনার ছন্দ পতন ঘটাল আমাদের ফ্যামিলিতে স্পেশাল এক জমায়েতের কারনে। সবাই গ্রামের বাড়িতে একসাথে হলাম মাইজ-মাস্তি ভালই হল, পরের দিন সবাই মিলে উঠানে রোধে বসে ফ্যামিলি আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাৎ করে ২জন মহিলা আমাদের সামনে এসে হাজির, জানলাম একজন মেয়ে আর তার মা, মেয়েটা দেখতে আহামরি কিছু না কিন্তু এক যায়গায় গিয়ে চোখ আটকে যায়, তার সুন্দর ফিগার, আমি চিরকালই সুন্দর ফিগারের কাছে সুন্দর চেহারা কিছুটা ছার দিতে রাজি......
কোথা থেকে কার কাছে কি শুনেছে যে, ছোট মামার সাথে মিডিয়ার অনেক লোকের নাকি জানাশোনা –এসেছে-- মামা যদি মিডিয়াতে কোন ব্যবস্থা করে দিতে পারেন,. সেটা অভিনয় অথবা মডেলিং, সবাই নাকি বলে যারা মিডিয়া তে কাজ করে তাদের অনেকের চেয়ে সে নাকি অনেক ভাল করতে পারবে, আমি বললাম যারা বলে তারা তার ভাল চায় না, আর সে নিজের ইচ্ছাতে দোযখ দেখে আসতে চাচ্ছে মনে হয়.........অনেক কথা বলার পর এবং মামা যে ওই রকমের কেউ না সেটা বোঝানোর পর তারা বুঝতে পারল।
আপ্যায়ন আর সন্ধ্যা গুটিসুটি পায়ে এগিয়ে আসায় আমরা ঘরে গিয়ে বসলাম, হঠাত করে মেয়েটি যে কাজটি করল তা সকলকে অবাক করে দিল কিন্তু আমার মনে লাল কৃষ্ণচূড়া ডালে বশে কোকিল ডাকার আওয়াজ শুনতে পেলাম/............।। মেয়েটি হাতের কাছে থাকে চিরুনি দিয়ে আমার চুলটা সুন্দর করে পরিপাটি করে দিল আর বলল আপনার চুলটা বিছরি রকম এলোমেলো হয়ে আছে...ঠিক তখনি আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেলে......আর ভাবলাম ইদানীং কি তাহলে বিয়ের কথা ভাবছি?