উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই ভিনদেশে পাড়ি জমাতে চান। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে জাপানকে বেছে নিতে পারেন। এশিয়ার এই দেশটিতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনার অনেক সুযোগ।
কেমন খরচ পড়বে
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কোর্স ফি কম-বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ভর্তি ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি বাদে বার্ষিক টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ টাকারও বেশি লাগে। গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য এ ফি দুই লক্ষাধিক টাকা। থাকা-খাওয়া খরচ বাবদ প্রতি মাসে গুণতে হয় প্রায় ৪০,০০০ টাকা। এছাড়া যাতায়াত, শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য খরচ তো রয়েছেই।
পড়াশোনার মাধ্যম
জাপানের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানি ভাষায় শিক্ষাদান করা হয়। কিছু প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভাষাতেও শিক্ষাদান করে। জাপানি ভাষায় দক্ষতা ভিসা ও খন্ডকালীন কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষা শিক্ষার ওপর কোর্স করা যায়। আবেদনের আগে জাপানি ভাষা শিখে নেয়াটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ
জাপানে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খণ্ডকালীন কাজ করার সুযোগ পায়। তবে এজন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ফাস্ট ফুড ক্যাটারিং, স্টোর, কম্পিউটার, অনুবাদ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে দেশটিতে।
ভর্তির যোগ্যতা
নূ্যনতম ডিপ্লোমা, এ-লেভেল, এইচএসসি, ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন কোর্সে কৃতকার্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিকভাবে অবশ্যই স্বচ্ছল হতে হবে। তাছাড়া জাপানি ভাষা জানলে সেটাকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভর্তি প্রক্রিয়া
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন। টিউশন ফিসহ আনুষঙ্গিক ফি ও ভর্তির শর্তাবলি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আবেদন করতে হবে।
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত বছরে দুটি সেশনে ভর্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন সেমিস্টার শুরু হয় যথাক্রমে প্রতি বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন। তবে ভর্তি নিশ্চিত হলে ভিসা জটিলতা খুব বেশি থাকে না। তাই ভর্তির আবেদনের সময় নির্ভুল ও সঠিক তথ্য দিতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস বাংলাদেশে আছে। সেসব প্রতিষ্ঠান ভর্তির ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া শিক্ষার্থী নিজেও ইন্টারনেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।
ভিসার আবেদন
ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে ভর্তির কাগজপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, পাসপোর্টের কপি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র, সদ্য তোলা ছবি প্রভৃতি জমা দিতে হবে। জাপানি দূতাবাসের ওয়েব ঠিকানায় (িি.িনফ.বসন-লধঢ়ধহ.মড়.লঢ়) অনেক তথ্য পেতে পারেন। ভিসার আবেদন ও প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য দূতাবাসে সরাসরিও যোগাযোগ করতে পারেন। ঠিকানা: প্লট-৫ ও ৭, দূতাবাস রোড, বারিধারা, ঢাকা। ফোন: ৮৮১০০৮৭
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি
জাপান সরকার ও সে দেশের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি বছরই বৃত্তি দিয়ে থাকে। জাপান ফাউন্ডেশন ২০১০ সালে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে ভর্তিচ্ছু এশিয়ার শিক্ষার্থীদের 'এশিয়ান ইয়ুথ ফেলোশিপ'-এর আওতায় বৃত্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও ঢাকার জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে বৃত্তির আবেদন করতে পারবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে িি.িধংরধংববফ.পড়স এই ওয়েবসাইটে।
জাপানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়
1. University of Tokyo
Web: http://www.u-tokya.ac.jp
2. Kyoto University
Web: http://www.kyoto-u.ac.jp
3. Osaka University
Web: http://www.osaka-u.ac.jp
4. Tokyo Institute of Technology
Web: http://www.titech.ac.jp
5. Tohoku University
Web: http://www.tohoku.ac.jp
6. Keio University
Web: http://www.keio.ac.jp
7. Kyushu University
Web: http://www.kyushu-u.ac.jp
8. Nagoya University
Web: http://www.nagoya.ac.jp
9. Hokkaido University
Web: http://www.hokudai.ac.jp
10. Tsukuba University
Web: http://www.tsukubba.ac.jp
Click This Link
..........