ছোট্ট একটি নদী ছেউটি! গ্রামের লোকজন অবশ্য ছেউটি বলে না। তারা আরো আপন করে ডাকে নদীটিকে- আঙ্গারীঘাট! যেন একান্ত আপন। এই নদীর পাড়েই একদল মানুষের জীবনকাহিনী আঙ্গারীঘাট। নদী কাউকে দূরে ঠেলে দেয় না। সে আপন গতিকে চলতে থাকে। নদীর মধ্যে থাকে না কোনও কলুষতা! কিন্তু মানুষ? সে কখনো কাছে আছে, কখনো দূরে যায়। তার মধ্যে থাকে আপন পর বোধ। তার মধ্যে থাকে প্রেম-ভালোবাসা, কাম-ক্রোধ, অন্যায়-অপরাধ।
এই সবকিছু নিয়েই আঙ্গারীঘাট। প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখিকা কামরুন্নাহার দিপার প্রথম উপন্যাস।
উপন্যাসটি একটি সামাজিক উপন্যাস। একদল লোকের হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনার কাব্য এ উপন্যাস। আর সেই মানুষগুলোকে একও সূত্রে গেঁথেছে এই নদীটি। মনিরা তার প্রিয় নদীকে ছেড়ে বহুকাল প্রবাস জীবন কাটিয়েছে। কিন্তু সেই গ্রামের টান আর নদীর টান সে কি ভুলতে পেরেছে?
নদীর টান আর আত্মার টান কি ভোলা যায়? মনিরাও তাই ভুলতে পারেনি। সে তাই ফিরে এসেছে প্রিয় আঙ্গারীঘাটের কাছে। কিন্তু আঙ্গারীঘাট কি আগের মতো আছে? স্বার্থান্বেষী মানুষেরা কি তাদের কালো থাবা থেকে দূরে রেখেছে আঙ্গারীঘাট কে?
আর বাশেরা? সে ত নদীকে ভালোবসে দূরে কোথাও যেতেই পারলো না। বাবুলের সাথে টোনাটুনি সংসার পাতিয়ে থেকে গেলো আঙ্গারীঘাটের তীরেই!
আরো কিছু চরিত্র আছে উপন্যাসটিতে, যারা সহায়ক হিসেবে কাহিনীর বুননকে মজবুত করেছেন। তবে দিনশেষে ই গল্পটা সবার! সবাই এই গল্পের সমান ভাগীদার। আপনি যখন বইটি পড়বেন, নিজেকেও তাদেরই একজন মনে হবে।
যাওয়ার আগে লেখিকা সম্পর্কে কিছু বলে যাই-
লেখক পরিচিতি:
কামরুন্নাহার দিপার জন্ম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম মোহাম্মদপুর। বাবা মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস ব্যবসায়ী এবং মা মাকসুদা আক্তার কল্পনা গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে বড়।
বই পড়তে প্রচন্ড ভালোবাসেন তিনি। আর গ্রামীণ জীবনের গল্প বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই তাঁর গল্পে বারবার গ্রামীণ জীবনের কথা উঠে আসে। উঠে আসে গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ হাসি কান্নার গল্প।
বর্তমানে কন্যা আরিয়েত্তি ইসলাম এবং স্বামী মোহাম্মদ শামীম রেজাকে নিয়ে তাঁর সংসার। কন্যার সাথে গল্প করাও তার অন্যতম আনন্দের কাজ।
লেখালেখিটা শখের বশে শুরু হলেও এখন এটাকে খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। ভালো কিছু লেখা লিখতে চান মানুষের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১