দাদা, পরাণ ডোমকে চেনেন তো? আরে ঐযে পরাণ ডোম মানে লাশ কাটে আর মাল টেনে বুদ হয়ে পড়ে থাকে যে! হুম, ঠিক ধরেছেন। ওর কথাই বলছি। কি করছে সে জানেন? ব্যাটা এতদিন তো মালতীকে নিয়েই বেশ ছিল। এখন তাকে ঘোড়ারোগে পেয়েছে। স্নেহা ম্যাডামের প্রেমে পড়েছে বাছাধন।
স্নেহা ম্যাডাম মানে ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার স্নেহা কাজী; প্রফেসর খান মারা যাওয়ার পরে যে বদলী হয়ে এই কয়দিন হল আসছেন। বোঝেন অবস্থা! আরে মালতী কি তোকে কম ভালোবাসে! তাহলে তুই ডোম হয়ে ক্যান ডাক্তারের প্রেমে পড়তে যাবি? যার আবার একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিয়ে পাকা হয়ে রইছে!
নাহ, কোনও কথাই তার মাথায় ঢোকে না। শ্বাপদের মতো নিঃশব্দে স্নেহা ম্যাডামের পিছে ছায়ার মতো সেটে থাকে পরাণ। কি লক্ষ্য ওর, জানেন? নাহ! এটুকু এখনই বলব না।
কিংবা ধরুন তরী আর শৌনকের কথা! বাইরে থেকে দেখলে ভারী সুখী দম্পতি ওরা! শৌনকের খুব খেয়াল রাখে তরী! আর শৌনক? সেতো তরীর রূপে রীতিমত অবসেসড। কিন্তু আসলে কি তাই? তাহলে শৌনক কেনো খুন করার পরিকল্পনা করে তার স্ত্রীকে? কোন ভয়ানক অতীত তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত?
আচ্ছা, আপনি কোনও কিশোরকে চেনেন যে ছোটবেলায় বাড়িঘর, বন্ধুবান্ধব, প্রিয় পুকুর ফেলে পাড়ি জমিয়েছিল ভিন গায়ে? আমি চিনি একজনকে! তার নাম সমীরণ। নিজের জন্মভিটে ছেড়ে যাওয়ার বহুকাল পরে ফিরে এসে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সমীরণের? একদা প্রাণের বন্ধুরা কি আদৌ মনে রেখেছিলো তাকে? কৈশোরে যে মেয়েকে যে বিয়ে করতে চেয়েছিল, সে কি আদৌ চিনতে পেরেছিল তাকে?
ওদিকে নিজের স্ত্রীকে ক্রমাগত প্রতারণা করে যাওয়া ইশতিয়াক কি ভুল বুঝতে পেরেছিল? প্লেবয় মুহাইমিন কিভাবে হয়ে উঠলো আদর্শ স্বামী? আর ইশতিয়াক কি ফিরে এসেছিলো তার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া স্ত্রীর কাছে? নাকি সামিরার সাথেই সে তার গোপন লীলা-খেলা চালিয়ে গিয়েছিলো শেষতক?
আর ভোলা ময়রার রান্নাঘরের ভেতর কি এমন মহার্ঘ বস্তু আছে, যার লোভে কেউ একজন নিঃশব্দে ঘুরঘুর করে সেখানে? সেয়ানা ভোলা ময়রা কি টের পেয়েছিলো শত্রু এগিয়ে আসছে ক্রমশ?
এবার আসুন একজন বোকা আর্টিস্টের কথা বলি! ওর নাম নীলয় রায়হান। এতিমখানায় ছবি আকার জন্য বেদম মার খেয়েছিল। ওকে হুজুর আলটিমেটাম দিয়েছিলো, যেন আর কখনোই না আঁকে! তবু কিভাবে একজন শিল্পী হয়ে উঠলো ও? ক্রমশ গভীর এক ভালোবাসা তাকে ঘিরে বেড়ে উঠছে, সেকি তা টের পেয়েছিলো? আর রূপন্তী? তারই বা কি হলো শেষমেশ?
মা-বাবার মাঝখানে প্রতিদিন ঝগড়া করা এখন রোজকার নিয়ম হয়ে গেছে! সারাক্ষণ তাই মন খারাপ থাকে জ্যোতির। তার কোনও বন্ধু নেই। এমন একদিন আচমকা কোথায় থেকে একটা ছেলে এসে হাজির হয়। দুইজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় ওরা। জ্যোতির বন্ধুর একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। ওর মনের কথা পড়তে পারে সে। অথচ নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে না জ্যোতিকে। জ্যোতির বন্ধু আসলে কে? কোথা থেকে এসেছে সে? জ্যোতি ছাড়া আর কেউ কেনো দেখতে পায় না তার বন্ধুকে?
অনেকগুলো জিজ্ঞাসা মনের মধ্যে তিড়িংবিড়িং করে লাফাচ্ছে না দাদা? সব কৌতূহলের অবসান হবে ১১২ পৃষ্ঠার একটি বই পড়লে। বইটির নাম ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’।
ঢাক তো অনেকক্ষণই পেটানো হল! বাজনা শুনে যদি কৌতূহল হয়, আর তা মেটাতে চান তাহলে প্রি-অর্ডার টা এইবেলা সেরেই ফেলুন। নাকি?
প্রি অর্ডার দিতে লিংক-এর পেজে ম্যাসেজ দিন।
প্রি অর্ডারের ঠিকানাঃ নহলী বুকস (http://www.facebook.com/noholibooks)
প্রি অর্ডার মূল্যঃ ১৪০/- টাকা (৪০% ছাড়; মুদ্রিত মুল্য- ২৩০ টাকা)
প্রি অর্ডারের শেষ তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
বি-কাশ নাম্বারঃ ০১৭৩০-৫৯-১৫-৮০ (মার্চেন্ট) ০১৭০০-৭৪-৩৯-৮৪ (পার্সোনাল)
বইঃ পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম
লেখকঃ অমিতাভ অরণ্য
প্রকাশনীঃ বদরুল মিল্লাত, নহলী।
ধরণঃ মিক্সড (রহস্য-মনোস্তাত্ত্বিক-সমসাময়িক)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪