খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’ নামে একটি বই। বইটির লিখেছেন অমিতাভ অরণ্য।
প্রতিবছরই অসংখ্য বই ছাপা হচ্ছে, তার মধ্যে এই বইটির বিশেষত্ব কী? এই বইটি কেনো আপনি পড়বেন?
আমি আপনাকে পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম বইটি পড়ার জন্য বলব, কারণ বইটি পড়লে আপনি বইয়ের মধ্যে ডুবে যাবেন। নিজেকে ঘোরলাগা অবস্থায় আবিষ্কার করবেন আপনি!
এটি লেখকের প্রথম বই! পেশায় খুলনা মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র অমিতাভ অরণ্য লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ফিকশন এবং নন-ফিকশন দুই ধারাতেই স্বচ্ছন্দ এই তরুণ লেখক দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, মিথোলজি, ভ্রমণ নিয়ে লিখে চলেছেন রো্র বাংলা, ট্রিপ জোন সহ আরো কিছু পোর্টালে, ক্বচিৎ-কদাচিৎ পত্রিকার পাতায়ও। নিজস্ব ঢং-এ প্রভাবমুক্ত হয়ে লেখার একটি সচেতন প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় তার লেখার মধ্যে।
এবার বইয়ের কথায় আসি! ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’ একটি রহস্য-মনোস্তাত্ত্বিক ঘরানার গল্পগ্রন্থ। এতে রহস্য, মনস্তত্ত্ব, পরাবাস্তব-অধিবাস্তব, সমসাময়িক ঘরানার মোট দশটি গল্প রয়েছে।
পরাণ ডোম একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষ ডোম। মৃত্যু তার কাছে ছেলেখেলা! পিছুটান বলে কিছু নেই তার জীবনে। কিন্তু পরাণ ডোম ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার স্নেহার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। অফিসার্স কোয়ার্টারে একা একা থাকেঙ ডাক্তার স্নেহা। মোহগ্রস্থ পরাণ ডোম ডাক্তার স্নেহার প্রতিটি পদক্ষেপ সন্তর্পণে অনুসরণ করে তার অজান্তে! কী চায় পরাণ ডোম?
মা-বাবার মাঝখানে প্রতিদিন ঝগড়া করা এখন রোজকার নিয়ম হয়ে গেছে! সারাক্ষণ তাই মন খারাপ থাকে জ্যোতির। তার কোনো বন্ধু নেই। এমন একদিন আচমকা কোথায় থেকে একটা ছেলে এসে হাজির হয় তার সামনে! দুইজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় ওরা। জ্যোতির সেই বন্ধুর একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। জ্যোতির মনের মধ্যে কি চলছে, সব কিছু কিভাবে যেন জেনে ফেলে তার বন্ধু! অথচ নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে না জ্যোতিকে। জ্যোতির বন্ধু আসলে কে? কোথা থেকে এসেছে সে? জ্যোতি ছাড়া আর কেউ কেনো দেখতে পায় না তার বন্ধুকে?
তরী আর শৌনক- আপাত দৃষ্টিতে খুব সুখী দম্পতি! তরীর সৌন্দর্যে অবসেসড শৌনক কেনো খুন করার পরিকল্পনা করে তার স্ত্রীকে? কোন ভয়ানক অতীত তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত?
নিজের জন্মভিটে ছেড়ে যাওয়ার বহুকাল পরে সেখানে পা দিলে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সমীরণের? একদা প্রাণের বন্ধুরা কি আদৌ মনে রেখেছিলো তাকে? কৈশোরে যে মেয়েকে যে বিয়ে করতে চেয়েছিলো, সে কি আদৌ চিনতে পেরেছিল তাকে?
নিজের স্ত্রীকে ক্রমাগত প্রতারণা করে যাওইয়া ইশতিয়াক কি ভুল বুঝতে পেরেছিলো? ফিরে এসেছিলো তার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া স্ত্রীর কাছে?
ভোলা ময়রার রান্নাঘরের ভেতর কি এমন মহার্ঘ বস্তু আছে, যার লোভে কেউ একজন নিঃশব্দে ঘুরঘুর করে সেখানে?
এমন আরো অনেক প্রশ্ন উদয় হবে পরাণ ডোমের পাতায় পাতায়! উত্তেজনার পারদ চড়তেই থাকবে! তারপর শেষ মুহুর্তে আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে, আহ! এমনটাও হতে পারে!
বিশ্বাস রাখুন, দশটি গল্প নিয়ে সাজানো ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’ আপনাকে একটি উত্তেজনাময় রাইড উপহার দেবে! তাহলে আর কী? অপেক্ষা করুন প্রি-অর্ডারের।
(অনুপম সানার টাইমলাইন থেকে
বি দ্রঃ 'পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম' বইটি একটি গল্প সংকলন, যেটিতে দশটি পরাবাস্তব, অতিপ্রাকৃত ও সমসাময়িক থিমের গল্প রয়েছে। এটি নহলী প্রকাশনী থেকে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২