শীত প্রায় এসেই গেছে। অনেকে তো এর মধ্যেই কাথা-কম্বল গায়ে জড়ানো শুরু করেছে। আর এমন রাত পাঠ্যবইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে গল্প পড়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত!
চলুন আজ তেমন একটি বইয়ের খোঁজ জানিয়ে দেই আপনাকে।
উপন্যাসটির নাম ‘ইচ্ছে হলে ছুঁয়ে দিও বেপরোয়া রোদ্দুর’। নাম বড় হলেও আকারে-আয়তনে বেশ ছোট। লিখেছেন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল লেখক এবিএস রুমন। উপন্যাসের দুটি জুটি ‘বেলা আর রাশেদ’ এবং ‘মায়া আর রোদ’ এর মধ্যকার নানান ঘটনাপ্রবাহ বইটিকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। এই চারজনের মধ্যে বন্ধন বা যোগসুত্র হিসেবে এসেছে আবীর। সে সবগুলো চরিত্রের মধ্যে একটি ফ্লো তৈরি করেছে। একটি সুখপাঠ্য লেখা। পরিণত বিন্যাস এবং পরিমিতিবোধ যথেষ্ঠ।
বেলার বাবা এবং তার মধ্যকার পিতা-কন্যার রসায়ন খুব অল্প সময়ের জন্য আসলেও তা খুবই প্রভাব বিস্তার করেছে। পিতার অন্তঃ দ্বন্দ্ব নিপুণতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লেখার মাঝের কবিতাগুলো একটি অতিরিক্ত প্রাপ্তি। লেখনীর আরেকটি ভালো দিক এই যে, বাক্য গঠনে লেখক ছোট ছোট সরল বাক্য ব্যবহার করেছেন। সবমিলিয়ে ছোট্ট পরিসরের এই লেখাটি পাঠকের জন্য তৃপ্তিদায়ক হবে। স্বল্প পরিসরে লেখক সূচনা, ঘটনার বিন্যাস, নাটকীয়তা এবং সমাপ্তি বেশ দক্ষভাবে টেনেছেন। ধর্মের প্রসঙ্গ আনলেও মোটামুটি দক্ষতার সাথে সামলিয়েছেন।
তবে উপন্যাসের নামটি ঠিক যুতসই হয়নি। এত বড় নাম- ব্যাপারটি আরেকটু মুনশিয়ানার দাবী করে। আর উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট খুবই সংক্ষিপ্ত। যদিও এটি কোনো দোষ নয়- তবে পাঠকে আরেকটু দীর্ঘ পরিসর আশা করবে। এটাই স্বাভাবিক।
বইটি প্রকাশ করেছে নহলী প্রকাশনী। এই ফাকে বলে রাখি, প্রকাশক ব্রিগেডিয়ার অব. বদরুল মিল্লাত নহলী প্রকাশনীর মাধ্যমে লেখালেখি জগতে একটি বিপ্লব গড়ে তোলার ধনুক ভাঙ্গা পণ করেছেন। সেই পণ তরুণ লেখকদের খুজে বের করে আনা। স্যারের জন্য অভিবাদন রইলো।
তাহলে আর কি? হাতে কিছুটা সময় থাকলে শীতের আমেজে পড়ে ফেলুন ‘ইচ্ছে হলে ছুঁয়ে দিও বেপরোয়া রোদ্দুর’।
উপন্যাসঃ "ইচ্ছে হলে ছুয়ে দিয়ো বেপরোয়া রোদ্দুর"
লেখকঃ এ বি এস রুমন
প্রকাশনীঃ নহলী
প্রকাশকঃ বদরুল মিল্লাত
পৃষ্ঠাঃ ১২৮
মূল্যঃ ২৫০৳
প্রাপ্তিস্থানঃ fb/noholibooks/ অথবা রকমারী ডট কম
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৫