somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপন্যাস - নাটকের মেয়ে (পর্ব -০৪)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই রেজা ভাই আমার পেছনে আঠার মতো লেগে আছেন। আঠা মানে তো কঠিন আঠা - সুপার গ্লু। সকাল বিকাল ফোন। কখনও ফোন ধরি, কখনও ধরি না। আবার ফোন না ধরলে তিনি মাইন্ডও করেন না। পরের বার ফোন ধরলে এমনভাবে কথা বলেন, যেন আগে তিনি কোন ফোনই দেন নাই। তিনি আমাকে তার হোটেলে দাওয়াত দেন। আমি জানি এই দাওয়াত আসলে কিসের দাওয়াত। প্রকাশ্যে এই ব্যাটাকে ‘রেজা ভাই’ বলে গলে পড়লেও মনে মনে এই শালাকে ‘আঠা আঙ্কেল’ বলে ডাকি। শালায় আসলেই একটা সুপার গ্লু।
আমার সিক্সথ সেন্স বলছিল, পাঠা আঙ্কেল আমাকে ফোন দেবে। রাতে আঙ্কেলের ফোন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পেলাম ঠিক রাত ১২টায়। কেমন আছি, ভালো মতো বাসায় পৌঁছেছি কি না এই সব কথা বললেন। আমি হু হ্যা করে গেলাম। তিনি শুরু করলেন আমার প্রশংসা পর্ব। আমি মেধাবী (জানি না)। আমি সুন্দরী (কয় কী !)। আমি সম্ভাবনাময়ী (হতে পারে)। আমি অভিনয় ভালো জানি (এটা সত্য কথা, নইলে পাঠা আঙ্কেলকে তার মুখের দুর্গন্ধের জন্যই চড় মেরে চলে আসতাম।) সুতরাং তিনি আমাকে হেল্প করতে চান। আমি যেন মিডিয়ায় তোলপাড় করতে পারি, সেটা তিনি দেখভাল করতে চান। যার নিজেরই কোন তোলপাড় নাই, সে কিভাবে অন্যকে তোলপাড় করে দেবে বুঝলাম না।
তিনি আমাকে আশ্বাস দিলেন, বাংলাদেশের সিনেমা জগতের সব দিকপাল তার বন্ধু, সুতরাং আগামী বছরখানেকের মধ্যে আমি দেশের সেরা নায়িকা হয়ে যাচ্ছি - কনফার্ম। কেবল আমি যেন উনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। আর উনি যা যা বলবেন, সেটা যেন অন্ধের মতো অনুসরণ করে চলি।
আমি উনাকে নিশ্চিত করলাম, উনি যে কত বড় মানুষ সেটা আমি জানি এবং আমি ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন যোগাযোগ রাখব। আর তার সব কথা অনুকরণ করার জন্য পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাব। অবশেষে তার আঠালো প্যাচালে আমি যখন ত্যাক্ত বিরক্ত তখন তিনি ফোনটা কেটে দিলেন। বুঝলাম, আরেকটা নতুন আঠা জুটল। আঠা নয়, পাঠা আঙ্কেল।
কিন্তু আমার কপাল ভালো না। গানের বাকি অর্ধেক আর শুটিং হল না। টাকা পয়সা নিয়ে ডিরেক্টর ও পাঠা আঙ্কেল কী এক গন্ডগোলে জড়িয়ে গেল। দু’জনই দু’জনকে বলে, শালা বাটপার। পাঠা আঙ্কেল আমাকে নানা জায়গায় যেতে বলত, আমি বরাবরই এড়িয়ে গেছি। এই ব্যাটার মতলব আমি বুঝি। এক সময় পাঠা বোধ হয় হয়রান হয়ে গেল। তারপর ফোন করা কমিয়ে দিল। ইদানিং আর কোন ফোন পাই না।
হঠাৎ ফোনের শব্দে সম্বিৎ ফিরে এল। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি ফাপড়বাজ। আমাদের নাটকের দলের প্রভাবশালী সদস্য। কল ব্যাক করেছে।
আমি ফোন ধরলাম, ‘হ্যালো, ভাইয়া।’
‘তুমি ফোন করেছিলে।’
‘হ্যা, কেমন আছেন ?’
‘ভালো না। ব্যবসাপাতি খারাপ । শেয়ার ব্যবসার কথা তো জানই। বিরাট ধরা খাইছি।’
আমি মনে মনে খুশি হয়ে উঠলাম। উচিত শিক্ষা হয়েছে। না জেনে শেয়ার ব্যবসা করতে যায় কেন ? এত লোভ ভালো না।
‘তা তুমি ফোন করেছিলে কেন ?’, ফাপড়বাজ জিজ্ঞেস করল।
‘ডিরেক্টর সিরাজের একটা নাটকে চান্স পেয়েছি। তিনি যেতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, কেবল আপনি বলে দেয়াতেই উনি আমাকে চান্স দিচ্ছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দিতে ফোন করেছিলাম।’
‘তাই নাকি ! আমি তো জানি না।’
‘আপনাকে হয়তো বলতে ভুলে গেছে।’
‘ভালো হয়েছে। তুমি তো স্টার হয়ে যাবে। আমাদের কথা মনে রেখ।’
‘আপনার এই হেল্প আমার মনে থাকবে। কিন্তু রানা ভাইকে যেন বলবেন না।’
‘কী বলো ! আমার কি ব্রেইন নষ্ট নাকি ?’
ফাপড়বাজ আরও কিছু কথা বলে ফোন কেটে দিল। ফাপড়বাজকেই আমি কেমন সুন্দর করে ফাপড় মেরে দিলাম। আসলে তো ডিরেক্টর সিরাজের সঙ্গে আমার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন রিমা আপা। রিমা আপারও খুব ইচ্ছা টিভি নাটকে কাজ করবেন। কিন্তু রানা ভাইয়ের জন্য পারছেন না।
বাস ঝিম মেরেই আছে। আমার পাশের আঙ্কেল ঘুমাচ্ছেন। তবে আঙ্কেলের পাশে দাঁড়ানো কিছু ইয়াং ছোকড়া ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ছে। টি শার্ট জিন্স পরা মেয়ে দেখে তাদের দীর্ঘশ্বাসের শেষ নাই। তাদের দীর্ঘশ্বাসে বাস ফেটে যায় অবস্থা।
বাসের জানালা দিয়ে দেখলাম, একদল পুলিশ সামনের দিকে ছুটে গেল। দাঙ্গা পুলিশ। হেলমেট, ঢাল ও লাঠি নিয়ে মারামারির জন্য পুরো প্রস্তুত। কিছুক্ষণ পর শুনলাম কাঁদানো গ্যাস ছোড়ার শব্দ। এই শব্দেই লোকজন ভয় পেয়ে হুড়মুড় করে বাস থেকে নেমে গেল। আমিও তাদের সঙ্গে নেমে গিয়ে একটা ছাপড়া দোকানের পাশে আড়াল করে দাঁড়ালাম।
সামনে কী ঘটছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তবে লোকমুখে সংবাদ আসছে। সামনে ট্রাক ড্রাইভাররা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ তাদের পিটিয়ে ট্রাক সরিয়ে দিচ্ছে।
অল্প কিছুক্ষণ পরই বাস ছেড়ে দিল। আমরা আবারও হুড়মুড় করে বাসে উঠলাম। বাসে উঠে একটা সিটে কোন রকমে বসে পড়লাম। এবার পাশে বসল একটা ইয়াং ছোকড়া । এই ছোকড়া তো ঝামেলা করবে। সমস্যা নেই, বুক বরাবর হাত চালালেই গাল বরাবর রাম চড়।
আমি মোবাইল বের করে সময় দেখলাম। পৌনে পাঁচটা। আর গিয়ে কী হবে? এতক্ষণে বোধহয় রিহার্সেল শেষ হয়ে গেছে। আমার আর টিভি নাটকে চান্স পাওয়া হল না। রিমা আপা মাইন্ড করবে। আমি কি ডিরেক্টর সিরাজকে একটা ফোন দেব ? কিন্তু উনার নাম্বার যে আমার কাছে নেই। রিমা আপার থেকে চাওয়া যায়, না থাক।
বাস ছুটে চলেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ডিরেক্টর সিরাজের অফিসের সামনে পৌঁছে গেলাম।
তার অফিস তিন তলায় । সিঁড়িতে এসে ওপরের শার্টটা খুলে ফেললাম। গামছাটা ও শার্টটা ভাজ করে ব্যাগে ভরে নিলাম। ব্যাগে একটা লেডিস পারফিউম ছিল। ভালো করে স্প্রে করে নিলাম। গলার কাছটায় ডাবল স্প্রে মারলাম। ফুর ফুর করে সুগন্ধ বেরুচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, পুরুষ পটাতে সুগন্ধের কোন জুড়ি নেই। সুগন্ধির মধ্যে একটা মাদকতাময় নেশা আছে।
আমার পরনে টাইট টি শার্ট আর জিন্স। ভি গলার টি শার্ট লেপ্টে আছে গায়ের সঙ্গে। ৩৪-২৬-৩৬ ফিগার এবার বোঝা যাচ্ছে। গলার কাছটা কি আরেকটু টেনে নামিয়ে দেব ? না থাক, ভেতরে হয় তো অনেক লোক থাকতে পারে। অনর্থক পাবলিককে গরম করে লাভ নেই। ব্যাগ থেকে একটা বড় লকেটের মালা বের করে গলায় ঝুলিয়ে নিলাম। খেয়াল করলাম, বেশ মানিয়েছে লকেটটা। এবার মাংকি ক্যাপ ডিরেক্টর কাত হবেই।
ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। দরজার সামনে লাগানো নেমপ্লেট - সিরাজ সব্যসাচী, পরিচালক, সিনেমা ও টিভি । রিহার্সেল কি শেষ হয়ে গেছে ? সবাই কি চলে গেছে ? আমি দ্বিধা নিয়ে কুণ্ঠিত ভঙ্গিতে কলিং বেল টিপলাম। দরজা খুলে দিলেন ডিরেক্টর সিরাজ স্বয়ং।
খেয়াল করলাম, লোকটা অনেক লম্বা। তার দৃষ্টিতে বুঝতে পারলাম, তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন।
‘আসুন’, বলে তিনি দরজা থেকে সরে গেলেন। আমি ভেতরে ঢুকলাম।
প্রথমে রিসেপসনের মতো ছোট একটা রুম। রুমটা আলো আঁধারি। তার পাশের রুমে তিনি গেলেন। আমিও তার পেছনে পেছনে ওই রুমে গিয়ে ঢুকলাম।
পেছন থেকে খেয়াল করলাম, তার হিপ মরা। আমার মা বলে, হিপ মরা পুরুষ নাকি খুব বদমাশ হয়। তার উপর এই লোক ফিল্ম ডিরেক্টর। আলুর দোষ না থেকেই পারে না। আর আমি তো আলুর দোষওয়ালা একটা ডিরেক্টরই খুঁজছি।
একটা মাঝারি মানের রুম। রুমের মাঝখানে একটা ডেস্ক। তার বিপরীতে একটা রিভলভিং চেয়ার। আর টেবিলের এপাশে দুটা চেয়ার। পাশের দেয়ালে একটা বুক শেলফ ভর্তি বই। টেবিলের একপাশে ছড়ানো অনেকগুলো ডিভিডি বক্স। এক কোণায় একটি টিভি ট্রলির উপর টিভি ও ডিভিডি প্লেয়ার।
তিনি গিয়ে রিভলভিং চেয়ারে বসলেন। তার সমানে একটা ল্যাপটপ খোলা। তিনি লেখায় মনোযোগ দিলেন। সামান্য লিখে তারপর আমার দিকে তাকালেন। তার মাথায় মাংকি ক্যাপ নেই। ভালোই তো লাগছে।
আমি হাসলাম। তিনি বললেন, আপনি কেমন আছেন ?’
‘ভালো। আপনি ?’
‘আমি ভালো আছি। তবে খুব ব্যস্ত। একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে ছেড়াবেড়া অবস্থা। ’
‘ও’ বলে আমি চুপ করে গেলাম। আর কথা খুঁজে পেলাম না। উনাকে কি জিজ্ঞেস করব, রিহার্সেল কি শেষ হয়ে গেছে কিনা। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে সাহস পেলাম না।
আমি রুমের দেয়ালে সাটা তার একটা বিশাল ছবির দিকে তাকিয়ে রইলাম। চমৎকার একটা ছবি। একটা মনিটরের সামনে ডিরেক্টর সিরাজ। আলো ছায়ায় লোকটাকে দারুণ দেখাচ্ছে। বাস্তবে আবুল মার্কা চেহারা হলেও ছবিতে চৌকশ বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা । ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি ও চশমায় দারুণ মানিয়েছে এই লোকটাকে। বোধ হয় কঠিন মেক আপ করে এই ছবিটা তুলেছে।
তিনি উসখুশ করতে লাগলেন। বললেন, ‘আপনার কি আসার কথা ছিল আজ ?’
আমি বলার সুযোগ পেলাম। বললাম, ‘আজ নাকি রিহার্সেল ?’
‘রিহার্সেল !’, তিনি অবাক হয়ে গেলেন, ‘আজকে আবার কিসের রিহার্সেল ?’
আমি বোকা হয়ে গেলাম। বললাম, ‘রিমা আপা তো তা-ই বলল।’
‘ও, হ্যা, আজ তো রিহার্সেল ছিল। কিন্তু ওটা তো ক্যানসেল হয়ে গেছে।’
আমি আকাশ থেকে পড়লাম। উনি ল্যাপটপে লিখে যাচ্ছেন। বসে থাকব না চলে যাব ভাবছি। সবচেয়ে বিরক্ত লাগছে লোকটা আমার দিকে ভালো মতো তাকাচ্ছেও না। তাহলে আমি টাইট জিন্স আর টি শার্ট পরে এলাম কেন ? আর সুগন্ধি মেখে মাদকতা ছড়িয়েই বা কী লাভ হল ?
ল্যাপটপের মনিটরে চোখ রেখেই প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি অভিনয় কেমন জানেন ?’
‘পাঁচ বছর ধরে রিমা আপার দলে আছি।’
‘তাহলে তো অভিনয়ে ভালো হওয়ার কথা।’
আমি মিষ্টি করে হাসলাম। তবে এবার হাসার সময় গা দুলিয়ে দিলাম। দেখি, ব্যাটাকে ফাঁদে ফেলা যায় কি না। উনি চোখ তুলে তাকালেন না পর্যন্ত। শালা তো হেভি খাটাশ। বুঝলাম, লোকটা অহংকারী। বড় ডিরেক্টর তো, এই জন্য বোধ হয় কাউকে পাত্তা দেয় না। মানুষ তার অহংকার দেখিয়েই প্রকাশ করতে চেষ্টা করতে সে কত বড় এবং অন্য লোকেরা তার অহংকার দেখে বুঝতে পারে সে কতটা ছোটলোক। দুঃখজনক হলেও সত্য মিডিয়ায় ছোটলোকের অভাব নাই।
উনি খানিকটা লিখলেন। ঝিম মেরে তাকিয়ে রইলেন ল্যাপটপের মনিটরের দিকে। হঠাৎ বললেন, ‘আপনাকে চা খাওয়াতে পারছি না। আমার পিয়নটা আজকে আসেনি। আমার এসিস্ট্যান্টগুলোকেও আজ ছুটি দিয়েছি। আমি আবার একা না হলে লেখালেখিতে মনোযোগ দিতে পারি না।’
আমি তৎক্ষণাৎ বললাম, ‘তাহলে আজ আমি উঠি।’
‘না, না, আপনাকে উঠার জন্য বলছি না। আপনি বসুন। আপনার সঙ্গে তো কথাই শেষ হয়নি।’
আমি মনে মনে হাসলাম। ভি গলার টি শার্টের প্রতিক্রিয়া বোধ হয় শুরু হয়ে গেছে। ভেতরে উনি একা আছেন জানলে ভি গলাটা টেনে আরও নিচে নামিয়ে দিতাম। করব কি ? না থাক, উনি টের পেয়ে যাবেন।

(চলবে...... )


প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব পঞ্চম পর্ব

যদি এই উপন্যাসটি কিনতে চান :
তাহলে যোগাযোগ করুন :
উপন্যাস : নাটকের মেয়ে
প্রকাশক : চারুলিপি প্রকাশন
যোগাযোগ : ০১৯১২৫৭৭১৮৭

গল্প সংক্ষেপ :
পিংকি নামের মেয়েটি থিয়েটার কর্মী। তাদের নাটকের দলের পরিচালক রানা ভাই। রানা ভাই বলে রেখেছে, তার দলের কেউ টিভি বা সিনেমায় অভিনয় করলে তাকে দল থেকে বের করে দেয়া হবে। কিন্তু তার দলের সবাই গোপনে গোপনে টিভি বা সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। পরিচালক রানা কি তাদের ঘাড় ধরে বের করতে পারবে ?
নাটকের দলে পিংকির আরেক সহকর্মী রিমা আপা। তারও ইচ্ছা টিভি স্টার হওয়া। নাটকের জন্য সে তার প্রথম স্বামীকে ত্যাগ করে। কিন্তু পরের স্বামীও তাকে অভিনয় ত্যাগ করতে বলে। কী করবেন রিমা আপা ? এই স্বামীকেও ত্যাগ করবেন ?
সিরাজ সব্যসাচী ওরফে মাংকি ক্যাপ টিভি নাটকের পরিচালক। একটা নতুন নাটকের জন্য নতুন অভিনয় শিল্পীদের সুযোগ দেন। পিংকি নামে থিয়েটারের অভিনেত্রী ঢুকে পড়েন তার দলে। পিংকির ধারণা, টিভি নাটকে সুযোগের বিনিময়ে পরিচালক সিরাজ তার কাছে অনৈতিক কিছু দাবি করবে। তার ধারণা কি সত্যি ?
নিজেকে প্রযোজক বলে পরিচয় দেয় আজিজুর রহমান ওরফে টাকলু। পিংকির সঙ্গে খাতির জমাতে চায়। পিংকিকে বিরাট অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু এই লোকটিকে সহ্য করতে পারে না পিংকি। তার বিরক্তি চরমে ওঠে যখন জানতে পারে লোকটি ভুয়া প্রযোজক। এখন কী করবে পিংকি ?
শেষ ভেজালটা লাগায় পিংকির গোপন প্রেমিক রফিক ওরফে অগামারা। অগামারা তাকে বিয়ে করার জন্য তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়। পিংকিকে দান করে দেয় তার ফ্ল্যাট। কিন্তু পিংকি তাকে বিয়ে না করে সব গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়। কেন ?
পিংকি চায় যে কোন মূল্যে টিভি স্টার হতে। কিন্তু একের পর এক বাধা তার স্বপ্ন পূরণের পথে দেয়াল তৈরি করে। পরিবারের বাধা, আত্মীয়দের বাধা, সহকর্মীদের বাধা, সমাজের বাধা। সে টপকাতে থাকে, টপকাতে থাকে। দেয়ালের পর দেয়াল। কতগুলি দেয়াল সে টপকাবে ? তার কি আর স্বপ্ন পূরণ হবে না ?

এক কথায় বইটি সম্পর্কে তথ্য :
নাম : নাটকের মেয়ে
লেখক : শাহজাহান শামীম
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
প্রচ্ছদের আলোকচিত্র : কামরুল হাসান মিথুন
লেখকের আলোকচিত্র : এটিএম জামাল
প্রকাশক : হুমায়ূন কবীর, চারুলিপি প্রকাশন, ৩৮/৪ বাংলা বাজার, ঢাকা।
বই মেলায় স্টল নং-৩৫৩,৩৫৪ এবং ৩৫৫ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
মূল্য : ২৫০ টাকা ( $ 10 only )
U.K Distributor : Sangeeta Limited, 22 Brick Lane, London.
U.S.A Distributor : Muktadhara, 37-69, 2nd floor, 74 St. Jackson Heights, N.Y. 11372
Canada Distributor : ATN Mega Store, 2970 Danforth Ave, Toronto
Anyamela, 300 Danforth Ave (1st floor, Suite 202), Toronto

অনলাইনে বই কিনতে পারেন রকমারি ডট কম থেকে। বই মেলা উপলক্ষে ২৫% ডিসকাউন্ট চলছে। ডিসকাউন্ট মূল্য ১৮৮ টাকা। এখানে অর্ডার দিন। বই পৌঁছে যাবে আপনার বাসায় :
http://rokomari.com/book/75811





যারা ঢাকার বাইরে :

ঢাকার বাইরে থাকেন ? বই মেলায় আসতে পারছেন না ? কোন সমস্যা নাই।
লেখকের অটোগ্রাফসহ উপন্যাস 'নাটকের মেয়ে' কুরিয়ারে পেতে হলে ০১৯১২৫৭৭১৮৭ নাম্বারে ২০০/- টাকা বিকাশ করুন। আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে বই।

বইটি সম্পর্কে আপডেট সংবাদ জানতে নিচের পেজটিতে লাইক দিন। নিজে লাইক দিন, আপনার বন্ধুদেরকেও লাইক দিতে বলুন।

https://www.facebook.com/natokermeye
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইনডিয়ান মিডিয়া, র এবং সংখ‍্যালঘু প্রসঙ্গ

লিখেছেন মোরতাজা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫৭



১.
ইন্ডিয়ান মিডিয়াকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র বঙ্গে গীতা/বাইবেল জ্ঞান করা হতো। ৫ আগস্টের পর এই দেশটির মিডিয়া আম্লীগ এক্টিভিস্ট সুশান্তের আমার ব্লগের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে প্রমানিত হয়েছে—জানায়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪১

আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×