আমি জানি তুমি আসবেই ,
মাঝরাতে ঘুমন্ত আমাকে আচম্বিত বার্তা তুমি পাঠাবেই ,
বৃষ্টিস্নাত দীপ্তিতে কদম্বের ভেলায় চড়ে জানি তুমি আসবেই।
ত্বড়িৎ গতিতে ধেঁয়ে আসবে অভিমানের নীল বরফ গলিয়ে,
জানি তুমি আসবেই পূঁজা মণ্ডপে, অজস্র কণ্টকশষ্যা পদদলিয়ে।
আমি জানি তুমি আসবেই,
পুঞ্জীভূত স্মৃতির বাণে মরিয়া হয়ে, আজ ভিড়াতেই হবে তরণী,
সিঁধুর মুছে তোমাকে আসতেই হবে যদিও তুমি পরপুরুষের ঘরণী।
জানি শরদিন্দু রজনীতে তুমি আসবেই মনোহর পুষ্পাবৃত বসনে,
শতরঞ্জে হেরে বারবার তোমাকে বসাবো শিশিরধৌত তৃণাসনে।
আমি জানি তুমি আসবেই,
তোমাকে আজ আসতেই হবে পূর্ণগর্ভা হয়ে পূর্ণগ্রাসের সব বিধি ভুলে,
সাপুড়ে বাঁজায় স্মৃতিরক্ষার বীণ, আজ নাঁচবেই তুমি খোলা চুলে।
আজ তুমি আসবেই জানি, উঁড়াবে আমায় শরৎ-এর নীল আকাশে,
লাজুক ঘোমটা আজ খুলবেই তুমি, নির্লজ্জ দুপুরের শনশন বাতাসে।
আমি জানি তুমি আসবেই,
তোমাকে আসতেই হবে, পুরন্ত যৌবনের তরঙ্গে আমাকে ভাসাতেই হবে,
ভাঁটা পড়া বিশ্বাসে বসন্তদূত হয়ে তুমি আসবেই, তোমাকে আসতেই হবে।
থরথরে কম্পিত আড়ষ্ট কলেবরে আজ আসতেই হবে নিরাপদ কাঁথাতলে,
যজ্ঞনলে পুড়ে বারবার আমি তোমাকে করাব পুণ্যস্নান হিমসাগরের জলে।
আমি জানি তুমি আসবেই,
তোমাকে আজ আসতেই হবে, হৃদয়ের বটমূলে বসিয়েছি বৈশাখী মেলা,
ঝাঁজরা পাঁজরে আয়োজিত বরণোত্সবে আসবেই জানি করবেনা হেলা।
ঝঞ্ঝানিলে খুলে যায় কপাট ,সম্বিৎ ফিরে হন্তদন্ত হয়ে তোমায় খুঁজি।
জানি চেতনায় তুমি আর কোনদিন আসবেনা ,পরক্ষণে এই এলে বুঝি।