কেন ঘুরছ এই ঘরপোড়ার পিছে, নিয়ে মিথ্যে মায়ার ঝুড়ি ?
হাতের মাঝে তোমার পুষ্পবাণ , সারা বদন ঘর্মাক্ত।
ধুপকাঠির সুভাস ছড়িয়ে করতে চাও শাসরুদ্ধ ,
কৃত্তিম ভালবাসার মোহে আমি নিজেকে হারাতে চাই না।
যদি পার রৌদ্রজ্জল আকাশে ঘটাও পুষ্পবৃষ্টি।
তোমার কালোকেশে ছড়াচ্ছে বিদঘুটে অন্ধকার ,
লাল লিপস্টিকেই বলে দিচ্ছে তুমি কোনো রক্ষনপুরীর।
শীতল চঞ্চুতে নেই রক্তচোষা ছাড়া কোনো কামের দাগ।
কৃত্তিম সৌন্দর্যে আমি হতে চাই না দৃষ্টিক্ষুধার্ত,
যদি পার কাবিনবিহীন হাতে দাও দৃঢ়মূল বিশ্বাস।
তোমার লজ্জাহীন বসনে সবার দৃষ্টি আজ কাকচক্ষুর মত।
আড় চোখে তাকানোর ভঙ্গিমাটা দেখে হাসি আসে অনেক,
তোমার কাঁকনের ঝঙ্কার শুনলে মনে হয়, তুমি নারী কাঁসারি।
তোমারতো কোনো আচল নেই, কোথায় মুখ লুকাবো ?
যদি পার দাও মায়ের আচলের মত নিরাপদ আশ্রয়।
তুমি জোত্স্না জোত্স্না বিলাপে আমাকে বধির করো না।
কল্পিত জোত্স্নার মোহে আমাকে বধ করা যায় না।
সাতার না জানা আত্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী আমি,
শৈশবে কলমির ডগাকে আকড়ে ধরে বেচে গিয়েছিলাম।
কল্যাণবতীকে আমি ঠিকই খুঁজে নিব শত কৃত্তিমতার ভিড়ে।