লাল , নীল , হলুদ কোনো গোলাপই পেলাম না
ভালবাসা দিবসটাও অনেক সন্নিকটে,
সব নার্সারী আজ ভরা কালো গোলাপে,
রঙের অধিক মিশ্রনের প্রতিফলনে
পরলাম লাল গোলাপের সংকটে।
সবাই কেমন জানি উন্মাদ লাল গোলাপের খোজে ,
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিকে উপেক্ষা করেই
খোঁজছে বিলুপ্ত লাল গোলাপকে।
আমিও ফিরে আসি ব্যার্থ হয়ে পুরোনো গলিতে ,
তুলে দেই তার হাতে বসন্তের কৃষ্ণচূড়াকে।
আজ সূর্য উঠেছে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের,
যদিও দেখা নেই কোথাও একটি গোলাপের।
বসন্তের ফুল আমাকে বাঁচিয়ে দিল
রঙের প্রতিফলন আজও তাকে গ্রাস করেনি ,
পেলনা কোনো ছোবল বিষাক্ত সর্পের।
নদীর কূল ধরে হেটে যাচ্ছি, নিরবতা দুজনেরই
দূরের নদীর স্রোতে করছে দুটি হৃদয় খেলা।
তার স্রোতে মুগ্ধ হয়ে ভাবি
সেদিন কেন ছিল তার এই ঢেউয়ের খেলা,
যেদিন আমি প্রথম এসেছিলাম একলা?
ভালবাসার এই দিবসে আরো কিছু
প্রেমিক যুগল এসে জুড়েছে এই তীরে।
নিরবতার মাঝেই হচ্ছে শত আলাপন ,
সবার চোখ যেন বলে দিচ্ছে অজস্র আকাঙ্খা
জানি ভালবাসা খুব কষ্টের শত কালো গোলাপের ভীড়ে।
কারো কাছেই কোনো প্রতুত্তর নেই
কেন লাল গোলাপে এই রঙের মিশ্রন আজ ?
কেন নেই নদীর তীরে শত যুগলের ভিড় ?
কেন একটি ভোরই হয় ভালবাসা দিবস ?
কেন এলোমেলো হয় খোলা আকাশের নিচে
নারীর কালো কেশ, শরীরের বসনের ভাজ?
গোলাপ তুমি যথার্থই রূপ নিলে
ভালবাসার মাঝে ঢেকে দিলে শোকের কালো ছাপ।
যদি ভালবাসা দিবস বাড়ায় কামের আগুন ,যদি
ঝোপের আড়ালেই বসে শত মেলা,
তবে এই দিবসের সূর্য উঠাই পাপ।