আসুন একটা কবিতা লিখি (২য় অংশ। প্রথম অংশে ৫০জন কবির ৫০টি অংশ আছে।)
প্রথম অংশ:
Click This Link
রচনাকাল শুরু: ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫৮
(সম্পাদকীয়: আমরা অনেকে মিলে এই কবিতাটি লিখবো..। মন্তব্যের ঘরে আপনিও লিখে ফেলুন এর অংশ হিসেবে কটি লাইন। যা সংযুক্ত হবে মূল লেখায়। মুক্তিকামী মানুষ যেমন লিখেছে বাংলাদেশ। এটি সেরকম একটি প্রয়াশ। আপনিও সামিল হন...............)
( মূলভাবনা: সেবু মোস্তাফিজ)
[sb( লেখক: (২)জীবনানন্দদাশের ছায়া ,(৩) রাজসোহান ,(৪)মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্,(৫) পাহাড়ের কান্না , (৬)লুতফুল বারি পান্না, (৭)সোমহেপি, (৮)দেহপূজা, (৯)রিমঝিম বেষ্ট , (১০) রাজিবুল ইসলাম , (১১)অন্ধ আগন্তুক , (১২) শ্রীমান, (১৩) স্বপ্ন সওদাগর, (১৪)ওরাকল ,(১৫)ইলিয়াস সাগর ,(১৬) বাবুল হোসেইন , (১৭)কোয়ানটাম সায়েনস ,(১৮)শাওন ইমতিয়াজ , (১৯)জাফর বায়েজীদ,(২০)মনপবন , (২১)এবং অথবা আমি,(২২) মনিরুল হাসান, (২৩)নিভৃতচারী ,(২৪) অদ্ভুত শূন্যতা,(২৫) অসময়ের আমি ,(২৬)নুরুন নেসা বেগম ,(২৭) আদনান ফারাদী,(২৮)মুহসিন,(২৯) নীল ভোমরা,(৩০)তানভীর চৌধুরী পিয়েল,(৩১)নাঈম (৩২)জলকমল , (৩৩) নিস্সঙ্গ যোদ্ধা, (৩৪) আর.এইচ.সুমন , (৩৫)প্লাস_মাইনাস(৩৬)দুরন্ত স্বপ্নচারী ,(৩৭)ফকির ইলিয়াস, (৩৮)মাসুম আহমদ ১৪, (৩৯) কালপুরুষ ,(৪০)সৈয়দ নূর কামাল, (৪১)রাঙ্গাকলম,(৪২)সাইফ সামির,(৪৩)আসাদ /পারেভজ,(৪৪)আকাশদেখি, (৪৫)পঙ্খিরাজ,(৪৬) সজল হাজারি , (৪৭) রক্ত রঙ ,(৪৮) জুন, (৪৯) কাঠফুল , (৫০)শাহেদ খান , (৫১)ইসমাইল চৌধুরী , (৫২)আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়, (৫৩)শামীম শরীফ সুষম, (৫৪)হারুন আল নাসিফ (৫৫)ফকির আবদুল মালেক , (৫৬)জিয়া চৌধুরী ,(৫৭)আজম মাহমুদ,(৫৮) আজাদ আল্-আমীন,(৫৯) মাধব ,(৬০)জাভেদ জামাল,(৬১)প্লেটো,(৬২)সাদাকালামন,(৬৩) আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন,(৬৪)হোদল রাজা,(৬৫) ১৯৭১স্বাধীনতা,(৬৬) অগ্নিলা, (৬৭)মিয়াজী, (৬৮)আবদুর রহমান (রোমাস),(৬৯)আবদুল্লাহ তানভীর,(৭০)সাজেদা সুলতানা,(৭১)হতাশার স্বপ,(৭২)রাষ্ট্রপ্রধান,(৭৩)মিটন আলম , ,(৭৪)নীল_পরী ,(৭৫) মাহবুবুল আজাদ , (৭৬) ভিজামন, (৭৭) রেজওয়ান মাহবুব তানিম, (৭৮) সত্যবাদী মনোবট (৭৯) বাদশা মিন্টু, (৮০) বেলায়েত মাছুম (৮১) মাহামুদ রাহি, (৮২) সকাল রায়, (৮৩)মোশতাক আহমদ, (৮৪)নাহিয়ান বিন হোসেন (৮৫)কবিরাজ_কুশল,.................(৯৯) আবদুল্লাহ আল মনসুর,(১০০)এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল ।)
মূল অংশ
সেবু মোস্তাফিজ
আসুন একটা কবিতা লিখি।
সকলের সম্মিলিত চেষ্টায়
একটা কবিতা; শেষ কবিতা,
যার পর আর কোন কবিতা লেখার দরকার হবেনা।
দক্ষিনের কবি আপনি আসুন
আসুন পশ্চিমের কবি,
পূর্বের যারা আছেন তারাও আসুন
আর উত্তরের আমি এবং আমার প্রস্তুত।
কবিতার দীর্ঘতা নিয়ে ভাববেন না
এই বাংলার এক ইঞ্চি জমিনও ফাঁকা রবেনা।
পুরো মানচিত্র ভরে যাবে বর্ণ শব্দ আর বাক্যে,
তারপর গোটা বাংলাদেশ নিজেই একটা কবিতা হয়ে যাবে।
আসুন দক্ষিনের ভাব-ভালোবাসা নিয়ে
পশ্চিমের গোধলী এবং চিরন্তন সূর্যাস্ত,
উত্তরের সাওয়াতাল বিদ্রোহ আর
তারপর পূর্বের নতুন সূর্যোদয়।
এ আমন্ত্রন নয় এ মিনতি হে কবি
আসুন কবিতায় আঁকি সাহসী বাংলার ছবি।
কবির জেল হয়, হাজত হয় কবিরও হয় ফাঁসি
কবে কোথায় কবিতার ক্ষয় হয়েছে যুগে যুগে?
তাই আসুন সম্মিলিত প্রচেষ্টায়
বাংলার উর্বর গাভিন জমিনে একটা কবিতা লিখি।
অংশ: ৫১
২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১১:৩২
ইসমাইল চৌধুরী
কবিতা লিখবো বলে গাঁট বেঁধে বসে পড়েছি ল্যাপটপে
ভুলতে বসেছি নাওয়া খাওয়া আর প্রিয়তমার মুখ,,. দিনাতিপাতের
ক্লান্তি কিংবা ছোট্ট সোনামনির আদুরে ডাক.. "বাবা খেতে আসো... আমি
না খেয়ে বসে আছি তোমার জন্য" সবই বিস্মৃতির অতলে
ক্রমশ:ই বিলীন হয়ে যাচ্ছে।.
আজ কবিতা লিখতেই হবে... নজরুলের ভোরের পাখির মতো
ডেকে ঘুমের বাড়িতে লাগাতে হবে আগুন,.. না খেয়ে একটি শিশুও ঘুমের
নিবিঢ় কোলে ঢলে পড়বে না... তার বাবা দু'' মুঠো ভাতের জোগাড়
করতে পারেনি ভাগাড় থেকেও...
জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে অনেক আগেই... মহাশুন্য
ছাড়িয়ে যাবে- এই তার চাওয়া.
তোমার আদুরে ডাকে আমি সাড়া দেই কি করে বলো.. বাবা আমার
তোমায় কোলে তুলে নিয়ে গোগ্রাসে গিলবো সুস্বাদু
সব আয়োজন. মনোহর তরকারী.. পায়েস... পোলাউ... কোর্মা
ভাবতেই ঘেন্না লাগছে...
এতো নীচে নামবো বলে মহান প্রভু আমাদের গড়েছেন
মানুষ করে! আশরাফুল মাখলুকাত!!
না বাবা মানুষের কবিতা আজ আমায় লিখতেই হবে।.
অংশ: ৫২
২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৩৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়
কত শত ইচ্ছেরা লুকিয়ে রয়
মুখে না বলি, কবিতায় কেন নয়?
ভুলে যাই কেনো কবিতার আবেদন
প্রতিটি কবিতা ই বায়ান্ন, একাত্তরের জাগরণ!
এখানে যারা খুঁজে চলে জীবনের মানে
জীবন মানেই ধুকে ধুকে মরা দিন রাত্রি
তাদের কন্ঠে ও কবিতা হোক, শত দাবী'র
কবিতার মিছিল শক্তিতে কোথা হার মানে!
অংশ: ৫৩
২৮ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১৬
শামীম শরীফ সুষম
একটি কবিতা হয়ে উঠুক একটি বাঁধনভাঙ্গা গান
আমার ভায়ের শেকল ছেঁড়া রাঙা দু'চোখ
একটি কবিতা বলুক আমার বুকে জমানো না বলা শব্দগুলি
আমার সব সত্যগুলি অক্ষরে মুক্ত হোক
অংশ:৫৪
২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:৫৯
হারুন আল নাসিফ
আসুন একটি কবিতা লিখি
যে কবিতা আমাদের আশান্বিত করবে
শেখাবে মুর্খতা থেকে মুক্তির মন্ত্র
যে কবিতা আমাদের ভেতরে বপন করবে
মনুষ্যত্বের বীজ
অংশ: ৫৫
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১
ফকির আবদুল মালেক
আসুন কবিতায লিখি....
গণতন্ত্র! এক উল্লাসিত আর আনন্দঘন গান আমার।
গনতন্ত্র! এক উল্লাসিত আর আনন্দঘন গান আমার।
আমাদের সন্তানেরা যারা আমাদের নাগালের বাইরে বা ভিতরে
যারা এখানে বর্তমান আর যারা ভবিষ্যতের
তাদের প্রতি একটি গান গাইতে আমি প্রস্তুত-
বলিষ্ট আনন্দ সংগীত-অহংকারী, বহু আকাঙ্খিত।
আমি আমার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি উইল করে যাব সন্তানে
যার উচ্চারণে তারা পথ চলবে এবং
হে প্রতিক্রিয়াশীল! তোমার গানতো ডাকাতিয়া
আর অপরাধী তোমার পদচারণা,
আমি তোমাকে ছেকে নিব আমার আপন ছাকুনিতে
আর আমি তোমাকে সাথী করব অন্যদের যেমন করি।
আমার কবিতা সত্যিকারের ঐশ্বর্য্য তৈরী করবে
আমার শরীর আর আত্মার অনুগত থাকবে,
এগিয়ে যাবে আর মৃত্যুজয়ী হবে।
আমি আমার আমিত্ব সকলের মাঝে বিলিয়ে দেব
এবং অনন্য ব্যক্তিত্ব রূপে আবির্ভুত হব।
এবং আমি দেখাব-
নারী-পুরুষ সমান ছাড়া অন্য কিছু নয় সম্পদে আর যৌনতায়।
এবং হে আমার মত-বিরোধকারী! আমার ভিতর জাগরিত হও
আমি তোমার মাহত্ম প্রতিষ্ঠা করতে উচ্ছ্বসিত গান গাই।
আমি দেখাব, যা কিছু প্রকাশিত হয় সকলের ঐক্যমত হতে
অনন্য ফলাফল এনে দেয় সফলতার,
আমি দেখাব, অন্যের মত প্রকাশের জন্য আমি মরে যেতে পারি
এবং আমি দেখাব, মৃত্যুর চেয়ে সুন্দর ঘটনা ঘটে না কিছুই।
এবং আমি আমার কবিতার প্রতি এক সতর্কবাণী পৌছে দিব-
সময় আর জীবন সমার্থবোধক
এবং মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই এক একটি অলৌকিক বিস্ময়।
আমি খন্ডিত উচ্চারণ করব না
আমি আমার কবিতা, গান, চিন্তাকে সামগ্রিক আকার দিব
এবং আমি শুধু আজকের গান গাইব না,
আমি গাইব চিরকালীন সংগীত।
আমি আমার কবিতায় আমার হৃদয়ের নির্দেশ খুজি,
সমগ্র মহাবিশ্বে মেলে দিয়ে আমার প্রখর তীক্ষ্ম দৃষ্টি
আমি দেখি পুরোটাই একটি নির্দেশ মাত্র।
অংশ: ৫৬
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬
জিয়া চৌধুরী
কবিতাটি লিখবো বলে
প্রস্তুতি নিচ্ছি অনেক দিন ধরে
অন্যায় অসত্য শোষনের বিরুদ্ধে লিখব
এবার আর কোন কিছুতেই পিছিয়ে যাবোনা।
কবিতাটি লিখবো বলে
খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে লিখতে বসেছি।
হঠাৎ দেখি খাকি পোশাক দুদ্দাড়
কেড়ে নিল আমার লেখার কলম খাতা
আমি আর কি লিখব।
ওরা কেড়ে নিয়েছে আমার লিখার কলম
ওরা কেড়ে নিয়েছে আমার লিখার কাগজ
ওরা কেড়ে নিয়েছে আমাকেও
আমি এখন কিভাবে লিখব।
অংশ: ৫৭
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫
আজম মাহমুদ
একটা কবিতা কিন্তু শুধুই কবিতা নয়,
কবিতা মানে জীবনেরই কথা কয়।
খন্ড খন্ড কবিতা দিয়ে সাজিয়ে দিবো মন,
আমাদের এই কবিতা লেখা চলবে আমরণ।
অংশ: ৫৮
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৮:০৫
আজাদ আল্-আমীন :
তোমরা কী চাও; অসময়ে আমাকে করছো বিরক্ত
সভ্যতা তোমাদের কিছুই দেয়নি?
নাকি এখনো না খেয়ে আছো সহ্য করতে পারছো
না ক্ষুধার অসহ্য যন্ত্রণাকে।
এই নাও কবিতা দিলাম।
কি বিনিমার্ণ করলে তবে? নষ্ট পৃথিবীর ভূ-পৃষ্টে
কালে কালে দিয়েছো ব্যাথা, কেড়ে নিয়েছো সুখ
দাওনি যন্ত্রণাবিহিন একটি সেকেন্ডও
তারচেয়ে আমাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করো
লোনা পানির সাথে মিশে অনেক ভালো থাকবো।
দুঃশাষণের ধুসর আবরণে আমাকে আবদ্ধ করো না
তাহলে আমার চিৎকার সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দেব
তারপর এর আওয়াজ পৌছে দিবো প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্রে
তখন আমাকে কী করে ঠেকাবে?
যখন আপদামস্তক কবিতা হবো?
অংশ: ৫৯
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১০:২১
মাধব :
আজ কবিতায় ভালবাসার কথা বলব,
ভাই ও বোনেরা আমার, আপনারাও সামিল হোন।
ভালবাসি মা কে, ভালবাসি বাংলা মা কে,
প্রেমিকার জন্য ভালবাসাও থাকবে কবিতার অন্তরালে,
একটি ছোট কিশোরীর কথাও আজ মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে মন ভোলানো কণ্ঠস্বর,
সম্পর্ক নিয়ে তাড়নাবোধ কাজ করে সময়ে অসময়ে।
এইতো বেশ আছি, ভাল আছি
ভালবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা দায়
চলে যেতে হবে আর সবার মত ঐ ওপারে।
শুধু রেখে যাব ভালবাসা তোমাদের জন্যে
আমার ভাল লাগা কবিতার মাঝে।
অংশ:৬০
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১০:৩৪
জাভেদ জামাল :
আসুন
একটা কবিতায় লিখি
"আমি যে দেশে জন্মেছি,
সেই দেশ কোন পাপের ফল নয়;
আমি জন্মেছি যে মা’র গর্ভে,
তাঁর আঁচল ছায়ায় এই সবুজ শ্যামল।
তোমরা কি হায়েনা নাকি হানাদারের ফসল ?
তোমার রক্ত চক্ষু অকার্যকর,
মরে যাওয়া এই পুণ্যভূমির ভেতর
মুখ ফস্কে গালি আসে,
গলা টিপে,চেপেও লাভ নেই।
আমি আজ বেপরোয়া,
ধরন পালটে গেছে প্রতিবাদের,
ভয় পেলে ?"
অংশ: ৬১
০৩ রা জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৫
প্লেটো :
কবিতা লিখতে এসেছি, ঝিনুক দিয়ে
কবিতা লিখব আজ, সোনা মাখা রোদ দিয়ে
কবিতা লিখতে এসেছি, পেয়ারা কদবেল নিয়ে
কবিতা লিখব আজ, সোনার বাংলা নিয়ে।
অংশ: ৬২
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১২:২৮
সাদাকালামন:
আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা হবে একাত্তরের সাহসী বুলেট
রক্তের অক্ষরে লেখা আমাদের বীর শহীদদের নাম
অপেক্ষায় ক্লান্ত আমাদের মায়েদের মুখচ্ছবি
প্রিয়তমার হাতে লাল গোলাপের বদলে রক্তমাখা শার্ট
আসমান ভারী করা ক্রন্দনের আহাজারি।...
আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা আগামী প্রজন্মকে শিখাবে
বীরের দেশে কিভাবে অশুভকে প্রতিহত করতে হয়
কিভাবে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়
সাহসী যোদ্ধাদের সম্মান করতে হয়
দেশের দুর্দিনে সামনে এসে হাল ধরতে হয়।
ক্লান্ত পথিকের পদভারে মুখরিত আমার স্বদেশ
আসুন আমরা একবার তার কাঁধে রাখি স্পর্শের হাত
সকল মৌনতা ডিঙ্গিয়ে আমরাও হয়ে যাই
বুকের উষ্ণ জমিনে এক একটা বাংলাদেশ।
অংশ: ৬৩
০৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১১
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন :
কবিতা লিখতে হবে,
সময়ের গায়ে আঁচড় কাটবার প্রতিজ্ঞায়,
আত্মঘাতী বয়ানের শোকে,
প্রয়াত অতীতের ক্রোধে,
মরচে' পড়া কাগজ কলমে
ভারী শ্বাসে আগুন জ্বেলে,
শব্দগুলো লিখতে হবে।
চেতনার প্রতিটি ফাটলে
গজিয়ে ওঠা বিষবৃক্ষের মূল
স্নায়ুর মোচড়ে উপড়ে ফেলে,
লিখতে হবে
কবিতা লিখতে হবে......
অংশ:৬৪
০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৫
হোদল রাজা :
হটাৎ করে, একদম হটাৎ করেই যেন লিখার সামর্থ্যটা হারায়ে ফেললাম!
অনন্ত সময় বসে থেকে, দেয়ালে মাথা ঠুকি
মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের ব্যর্থতাটা চিৎকারের পিছনে আড়াল করি!
আমি লিখতে চাই, আমি অনেক ভালো লিখতে চাই! পারি না।
অথচ এই আমাকেই লিখতে হতো অনেক চিঠি, কার্ড ইভেন কবিতা
ছয় বছরের প্রেম টিকাতে বা সেলিব্রেটের উছিলায় বা হয়তো অনেক ভালোবাসায়!
লেখায়, পাতার পর পাতায় বা হয়তো ফোনে কথায়!
সেই আমি কত কি বলে যেতাম আবোল-তাবোল বা গোছানো স্বপ্ন!
তারপর একদিন সব হারালাম যে দিন আমাদের মধ্যে চলে আসলো আরেকজন
আরো একজন তৃতীয় পক্ষ!
আর হয়তো তার পর তাই ভালোবাসা শুকায়ে গেলো আমাদের?
না কি কিছু ভালোবাসা চুরি করে নিয়ে গেলো থার্ড পারসন? জানি না।
শুধু জানি আমি লিখতে পারি না আর!
তবুও আহবান আসুন বন্ধু একটা কবিতা লিখি....
অংশ: ৬৫
. ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১:৫৫
১৯৭১স্বাধীনতা:
কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং করে যে শিশু
বাংলায় লিখতে শিখেছে -মা
তার জন্যে একটা কবিতা,যে জেলেনী
শাড়ির বদলে গায়ে জড়িয়েছে জাল-সেজেছে
ডাঙ্গায় তুলে আনা ছটফটে মাছ-
তার জন্যে একটা কবিতা-
একটি কবিতায় উচ্চারিত হবে
সাহসের বীজমন্ত্র,বিরানে ফোটাবে ফুল
যে কবিতা-তার ডাকে জাগতিক বিষাদ হোক ম্লান।
ডুরে শাড়ি গাছকোমরে বাঁধা কিশোরীর প্রাণ
যে কবিতার সাথে গাঁটছড়া বাঁধে,
অযান্ত্রিক জন্ম আজ হোক তার।
অবলীলায় যে কবিতা শোনাবে সত্যের সাতকাহন,
শোষণের বিলাসিতাকে করবে শাসন-
তেমন কবিতা হোক,
যেমন হয় নববধূর নাকছাবিতে পবন-কাঁপন
যেমন ঋষিত্ত্ব হয় সাধন-মগন-
তেমনই কবিতা হোক।
একটা কবিতা যদি ষোল কোটি আওয়াজের
ঝঙ্কার তোলে,ক্রুদ্ধ স্বভাব যদি পার্থিব ভোলে-
তেমনই জ্বলুক এক কাব্য-মশাল।
ঘোড়াশালে ঘোড়া আর হাতিশালে হাতি যদি নাহয়
না হোক,একটি কবিতা যেন খুলে দেয়
ষোল কোটি বিষণ্ণ ঘুমঘুম চোখ।
অংশ: ৬৬
১২ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
অগ্নিলা :
কাব্যের বাগানে..
আমি চোখ বুজি,
কত পাপ বুনেছি রক্তে?
যে আমি কবিতা লিখি?
আমি চোখ বুজি,
সনির রক্তের স্রোত
অথবা বকরের মিষ্টি হাসি?
আমি চোখ বুজি
শোনিত হৃদয় আমার
অভিমানী, অভিযোগী
আমি তাকাতে চাই,
তবু তীব্র ঘৃণা অপমানে
আমি চোখ বুজি।
কথাগুলো পংতি মালায় সাজাই
আমি কবি
শত বর্ষের না বলা কথার ডালি,
পরতে পরতে জমে থাকা ধুলা, ব্রীড়া মুছি
আমি আঁকি ছবি।
আমি চোখ বুজি
আমি স্বপ্ন দেখি
যে স্বপ্নে সিগ্ধ বাতাস, ফুলে বসে
(শুধু) প্রজাপতি
নীল আকাশ, হাজার পাখি
আর নদী নিরবধি.......
রিক্ত বুকে আশা, স্বপ্ন দেখব, হ্যাঁ স্বপ্ন
তাই চোখ বুজি।
সেই স্বপ্নকে বাঁচাতে, আজ আমি কবি
আসুন কবিতায় আঁকি শুভ্র স্বপ্নের ছবি।
অংশ: ৬৭
১২ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
মিয়াজী :
রক্তের আখরে লেখা যে কবিতা
হৃদয়ের ঘাম দিয়ে লেখা যে কবিতা
শত কবির চিন্তায় লেখা যে কবিতা
বাংলার প্রতিটি হৃদয়ে দোলা দিক সে কবিতা
প্রতি হদয়কে জাগিয়ে তুলুক সে কবিতা
সমৃদ্ধির শেষ প্রান্তে পৌছে দিক সে কবিতা।
কবিরাও চিৎকার করে ঊঠুক সমস্বরে
দিকে দিকে বাংলার প্রান্তরে.......
অংশ: ৬৮
১৪ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৫০
আবদুর রহমান (রোমাস):
কতগুলো অক্ষর দিয়ে শব্দের জট পাকিয়ে
রং-তুলির আঁকা-আঁকিতে ক্যাম্পাস সাজিয়ে
কিছু কথা অথবা না বলা কথা,
সেগুলো মিলিয়েই হয়তো হবে একটি কবিতা।
হয়তো বাঙলা-মা তোকে অনেক ভালবাসি
অথবা এও হতে পারে নিজেকেই অনেক বেশি ভালবাসি
দিনে দিনে আরো অনেক বেশি স্বার্থপর হয়ে উঠেছি
না হয় তোকে ছেড়ে কেন আজ হাজারো মাইল দুরে?
মা বিশ্বাস কর আমি স্বার্থপর ঠিকই কিন্তু তোকে সত্যিই ভালবাসি
আজো এই মুল্লুকে কোথাও তোর পতাকা দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়
এই মুল্লুকে বিনদেশীদের কাছে নিজেকে বাঙালী বলতে পেরে আমি গর্বিত
আমি যখন ওদের কে ভাষার জন্য তোর ছেলেদের বীরত্বের গল্প বলি
জানিস মা আমি যখন গর্বের সাথে তোর স্বাধীনতার গল্প বলি
এখানের কালো-সাদা বিনদেশীগুলো তোর প্রতি সম্মানে ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়
মা তোকে অনেক ভালবাসি এই জন্যে তোর একটু দুরাবস্থায় অনেক বেশি কষ্ট পাই
মা তোর বুকে যখন তোর নিস্পাপ সন্তান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তখন খুব দুখ: হয়
তোর কোন ছেলে যখন অবিচারে, অত্যাচারে জর্জরিত হয় তখন বড়ই কষ্ট পাই।
মা এমন কি হতে পারে না? তোর একটি বানী, একটি শপথ না হয় একটি কবিতা
শুধুই একটি কবিতা যে কবিতাই হবে একটি বানী, একটি শপথ একটি বাস্তব
যেখানে থাকবে তোর প্রতিটি বর্গমাইলের ন্যায় আর সাম্যের কথন যাকে ধারন করবে তোর সকল সন্তান
যে কবিতায় তোর অনাগত সন্তান খুজে পাবে তোর বীরত্ব গাঁথা কথন
যে কবিতায় গড়বে সে তার আদর্শ খুজবে তার ভবিষ্যত সম্ভাবনা
তুই মা হয়ে দেখবি তোর সন্তানের উজ্জল, আনন্দময় জীবন
যা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে তোর সন্তানের পাপ্য
মা তুই দে, একটি বার দে এমন একটি কবিতা……….
অংশ: ৬৯
২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০৯
আবদুল্লাহ তানভীর :
কবিতা
আমাদের ভালবাসা, আমাদের প্রণয়
আমাদের স্বেদ মিশ্রিত কাম
আমাদের পবিত্রতা অপার;
মিশে থাকা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রীতে
বিলীন আমাদের বোধ ও বোধহীনতায়-
কবিতা।
আমাদের প্রশ্ন কবিতা
উত্তর আমাদের কবিতা
আমাদের সংগ্রাম কবিতা
শান্তি আমাদের কবিতা
আদি ও অন্তে খুঁজে পাওয়া
আমাদের নতুন ঠিকানা-
কবিতা।
অংশ: ৭০
২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৮
সাজেদা সুলতানা :
নিসর্গ আমায় উপহার দেয় কবিতার মমতা
সেই মুগ্ধতায় আমি গড়ে তুলি কবিতা।
নয়ন মেলে শত মমতায় আমি দেখি তারে
যত তারে ভালবাসি আরো যায় বেড়ে।
আমি র চি কবিতা, সে রচে আমায়
আমি তার সে আমার একাকার হয়ে যাই।
সে আমার দুরন্ত অনুভব,
অনুপম আকর্ষণে মানি পরাভব।
নিসর্গ আমার স্বর্গ, সে বুঝবেনা কেউ
হয়ত একটু হেসে বলবে পাগল, কেউ।
সে আমায় দেয় অফুরান ভাবনা
সুখ দেয়, মন কাড়ে, নেই ছলনা।
আমি এক শিক্ষিকা,
কবিতায় নেই কোন ভূমিকা।
শুধুই হৃদয়ে অনুভব খেলা করে
সে কথাই বলি আমি কবিতা করে।
কবিতায় নেই কোন শৃঙ্খলিত শাসন
নেই কোন কাব্যরীতি, মানে না বারণ।
অপক্ক শিল্পীর মত কল্প ছবি এঁকে
হৃদয়ের কাব্য লিখে যাই রেখে।
কখনও বিষন্ন ধরা, কখনও প্রসন্ন
বিস্ময়ে বৈচিত্রে হয়ে উঠি অনন্য!
চোখ ভরে সাতরঙে প্রশ্ন থাকে চুপ,
ভাবতেই থাকি আলো আঁধারের রূপ।
হৃদ্যতা, অভিমান, গান আর সুরে
ধরণীকে ধরে রাখি হৃদয় জুড়ে।
অংশ: ৭১
২১ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৫
হতাশার স্বপ্ন :
একটা কবিতা লিখি , বসন্তের কবিতা
ফুলে ফুলে সুশোভিত সহজ প্রঞ্জল ভাষায়
যে কবিতায় প্রাণ আছে, হৃদয় আছে ,
আছে হৃদয় এর ভালবাসা।
লাজুকতার মত ছুয়ে দিলেই নুয়ে যাবেনা,
থাকবে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট। ""
অংশ: ৭২
২১ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:১৪
রাষ্ট্রপ্রধান :
আমাদের এই কবিতা
হাজার জড়ানো পাতা ।
কত মানুষের ভালবাসা
আর নিয়ে শত আশা ।
লেখা হলো অবশেষে
একসাথে মিলেমিশে ।
তবু রইলো বাকি হাজার কথা
শেষ হইয়াও হইলো না যা।
অংশ: ৭৩
০৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৪
মিটন আলম
শাসনতন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে দাও আদিগন্ত অন্ধকারে, বিবিধ বিধান
উত্থান প্রণেতার ভুল করেনি কবুল কেউ তবু সিদ্ধান্তে পৌঁছাই,
বাঁধি আট-ঘাট, প্রসঙ্গ ও প্রেক্ষিত ফেলে উঠে চলে যাই
সাংকেতিক লিপি পাঠ শেষে একটি কবিতা লিখব বলে মিলে সকলেই।
অংশ: ৭৪
৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৩
নীল_পরী
একটি কবিতা,
হাজারো রঙের রাংতা সুতোয় বোনা কোন স্বপ্ন
বুকের ওমে তিল তিল করে বেড়ে উঠা কোন আবেগ
মনের নিভৃত কোণে পরম মমতায় আগলে রাখা তোমার স্মৃতি
মান অভিমানে ভরা আমাদের খুনসুটি।
আবার একটি কবিতা, একটি ইতিহাস
নিপীড়নের ঝান্ডাতলে পিষ্ট হওয়া
আমাদের প্রেমের ইতিহাস
শৌর্য ও বীর্যের উন্মত্ত ইতিহাস
অজানার স্রোতে ভেসে চলা কোন তরুনীর-
সম্ভ্রমের ইতিহাস
রক্ত আর হাজারো লাশ,ভয়াবহ ভয়ংকর সেই আর্তনাদ
আমাদেরকে আগলে রাখা মায়ের বুকের ঢিপঢিপ শব্দ
এই কবিতা তারই ইতিহাস,
যৌতুকের যাতাকলে পিষ্ট হয় যে গৃহবধূ
ইভ টিজিং এর ভয়ালথাবায়, অপমানে
আত্মহত্যা করতে হয় যে কিশোরীকে
এ তাদেরই ইতিহাস।
তাই আজ লিখতে এসেছি
আজ কোন মিথ্যা নয়, কোন আবেগ নয়
আজ শুধু সত্য
আজ আমি পিছন থেকে সামনে আসবো
বদলে যাব বৃক্ষের বুকে হেঁটে
শামিল হব শতদের দলে।
অংশ: ৭৫
৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৬
মাহবুবুল আজাদ
বসন্তের চোখ জুড়ে বিন্দু বিন্দু অশ্রু,গ্রীষ্ম নিঃস্বাসে কুয়াশার আচল।
এ কোন কালের ভেলা।
আজ জোত্স্নার আলোতে লিখে রাখব কবিতা রুপোলী পালকে,
পূর্ণিমা রাতে পড়ে নিও চাঁদের সাথী হয়ে।
একদিন পেছনে ফেলে আসা বীজে আজ
বিশাল বৃক্ষ আনন্দের ডালপালা নিয়ে।
নিঃসঙ্গতায় জৌলুস হারায় সব,শুকনো পাতা,
তবুও তুমি একফোটা জল দিলেনা।চোখের জলের সাধ্য নেই,বিদায়।
ওগো বর্ষা ভাসিয়ে নিও
ভালবাসা বানের জলে। শুধু একটা কবিতা দিয়ে যেও,ইতিহাস সাজাব বলে।
অংশ: ৭৬
৩১ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
ভিজামন
আজ কোন পাপের কথা নয়
নয় কোন পূর্ণের কথাও আজ ;
দেশে চলমান অস্হিরতা কিংবা
শ্রাবণের অঝোর বারিধারা
কোন কিছুই বলতে চাই না আর।
প্রাচ্য অথবা মধ্যপ্রাচ্য
মিলবে কি হিসাব আর্য না অনার্য,
বৃথাই তবে কেন রোদন, অহিংসা
স্বহিংসার নিস্বফলা অধ্ব:ক্ষেপণ ।
আজন্ম লালিত ভালোবাসা
আর, ইতিহাস কে পাতিহাস বানিয়ে
খেয়ে ফেলবার গল্প,শোনার বা শুনাবার
মানিসিকতাও গ্যাছে শেষ হয়ে ।
প্রিয়ার ধূসর চোখে মানবতার
অ্যালকোহল ঢেলে রচে যেতে চাই
শুধু এক অসম্ভব কবিতা
"সিন্ধু সেঁচে, বিন্দু গেঁথে
পূর্ণ করো শুদ্ধতা : বন্ধুতা।
অংশ: ৭৭
রেজওয়ান মাহবুব
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৯
আমি আজ কবিতা লিখেত এসেছি
আমি আজ কবিতা লিখেত এসেছি
মহাকালের পাতায়, একটি রাস্ট্রের উথ্থান
একটি আশা, একটি স্বপ্নের জাগরণ-যার মূল বক্তব্য।
আমি লিখতে এসেছি
বারুদ উত্তেজনায় ঠাসা একাত্তর, বায়াণ্ন কিংবা
ঊনসত্তরের দিনগুলোর কথা ।
যখন প্রাণের মূল্য হয়েছিল তুচ্ছ,দু’শ বছরের
বিভেদ ভোলা বাঙালী এসেছিল প্রানের টানে-
মিছিলে, মিটিঙে কিংবা রণাঙ্গনে।
দৃপ্ত কণ্ঠে বলছিল স্লোগানে স্লোগানে-
“বীর বাঙালি অস্ত্র ধর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর”
আমি সেই কবিতা লিখব আজ,
যে কবিতার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে;
বেদনার অশ্রু,হারানোর মোড়কে মোড়ানো
প্রাপ্তির মালা।সে কবিতার খাতায় চিত্রিত হয়-
বাংলা মায়ের ধর্ষিত বিধ্ধস্ত মুখের
চাপা গোঙ্গানি,হায়েনাদের কাটাকুটির জলন্ত ক্ষতগুলো
যেখানে চিৎ কার করে বলে “যুদ্ধ চলছে” !
সন্তান হারানোর বিষণ্ন সিম্ফনী
বেজে ওঠে মনের বিউগলে।মনে পড়ে-
সেই মায়ের কথা,যে আজও পথ চেয়েই থাকেন
স্বপ্ন দেখেন, খোকা ওই এল বলে!
তাকে আমি বলতে পারিনা-তোমার খোকা এখন
স্বর্গ থেকে চেয়ে দেখে, নির্ঘুম চোখের ব্যাকুল দৃষ্টি,
কষ্ট পায় তোমার তুলে রাখা ভাত আর
ডালের বড়ি নষ্ট হওয়া দেখে।
আমি আজ কবিতা লিখি, স্বাধীন বাংলায়
চোখে এখনো ভাসে-হে স্বাধীনতা,
কত তিতিক্ষার ফসল তুমি, কত মুক্তিসেনার
তাজা রক্ত,যুবতী রমণীর বেঁচে থাকার অবলম্বন
সম্মানটুকু তুলে নিয়েছ অবলীলায়
তবু তোমায় স্বাগত জানাই আজ আমি
লিখি কবিতা, বলে যাই-স্বাধীনতা তুমি আমার
স্বাধীনতা তুমি বাংলার, সাড়ে সাত কোটি জনতার
দিয়েছ হারানো সম্মান,জাগ্রত অহঙ্কার।
স্বাধীনতা ,তুমি হিরন্ময়!!
অংশ: ৭৮
সত্যবাদী মনোবট
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৪
প্রলাপ
আজ আমার কোন ইচ্ছে নেই
নেই আমার কবিতার,গল্প গানের শিরোনাম
আজ আমি এক নিকোশ আঁধার
এপিটাফে লিখা এক নাম
আমার চোখে বর্ষা নেই
নেই ফাগুন কিংবা বসন্তনের কুহু কুহু
নেই চৈত্রের তপ্ত অগ্নি শিখা
আজ আমি শুধুই আমার
সবার মাঝে থেকেও আমি, সবার অদেখা
আমার যত সুখ ছিল
ছিল যত কষ্ট, ভালোবাসার প্রলাপ
সবি আমি বিকিয়ে দিয়েছি ভবের হাটে
অবুঝ সময়ে জন্ম-ই বুঝি ছিল বড় পাপ......
ঐ তো আকাশের গর্জন শুনলাম
ভূমির মাঝে মিলিতো হবার প্রবল ইচ্ছায়
আজো তেমনি বারি ঝরে যায়
ভেজা কাকা, শাপলা ,কদম, কৃষ্ণচূড়ায়
সবি আছে আগের-ই মতো
আমার হিয়ার মাঝে শুধুই হায় হায়.....
কেন আমি আজ সব ছেড়ে এতো দূরে
যোজন যোজন দূরত্ব ভূমির এপাশ ওপাশে
বল কি পার্থক্য প্রাণ পাখি আর লাশে?
কেন আজ নিশ্চুপ হয়ে নিঝুম নিরালায়
স্বাধীনতা... বলো তুমি কি দিলে আমায়?
আজও আকাশে বক উড়ে তখন না হয় ছিল শকুন
তাও তো ছিলাম ভালোই
হয়তো ছিল শূণ্য হাঁড়ি , তাও তো হাতে হাত ধরে দেখতাম
ভালোবাসার জ্বলন্ত উনুন
আজও উনুন জ্বলে পাঁজর দেশে
জ্বলে দ্বিগুন। না না হাজার, লক্ষ, কোটি গুন
স্বাধীন.... হ্যাঁ, , হ্যাঁ স্বাধীন আমি আজ নিথর হয়ে
স্বাধীনতারে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে আজ
হায়নার দল আর শকুন.........
অংশ: ৭৯
বাদশা মিন্টু
৩১ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এক হাতে মাছ ধরা পলো, অন্য হাতে হারিকেন, খালুই
কোমরে রাখা লাল গামছা, মাছ ধরিতে যায় বালুই।
ছুটে চলে পুঁটি, খলসে হুড়োহুড়ি, ফেরার নেই তাড়া
বৌ গেছে বাপের বাড়ি, মনটা উদাস ছাড়া।
বালুই মাছ ধরে, বর্ষার মাছ, বউ নেই বাড়ি
এই মাছ রাধবে কে? উত্তর দাও তাড়াতাড়ি।
কেনো আছেনা বাড়ির পাশের কালো মেয়েটি সিতি
সেই রাধবে মাছ, বর্ষার উনুনে ভেজা ভেজা খড়ি
ভালোবাসা সবখানেই এক,বড়ো শক্ত
আমাদের দেশে ভালোবাসা এমনই, সবাই ভক্ত।
সেই বর্ষার রাতে বউ নেই ঘরে হিম হয়ে ওঠে দেহ
সিতি ধরে কাথা দিয়ে আর নেই কেহ
এভাবেই ভালোবাসা অন্তহীন....
অংশ: ৮০
বেলায়েত মাছুম
৩১ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
একদিন গল্প হবে অনেক দিন আগের
সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়তাম
আলতো করে ছুয়ে দিতাম বৃষ্টির শরীর।
কত হৈ চৈ ভেসে যেত ধূলোর ভিতর
ক্ষয়ে যাওয়া জুতো ফেলে এসে
পায়ে হেটে চলা, চাওয়া যত দূর।
রোদ মেখে সারা গায়
ঘামের গন্ধে বাতাস বিভোর,
ক্লান্ত চোখের শরীর মিত্র
ঝিম ধরা সময় জেগে উঠত হুংকারে,
মাঠের শরীর "আলগে" দিত
"চোকা" শিং নিয়ে তেড়ে আসা ষাড়।
আমরাও দৌড়ে পেরিয়ে যেতাম
সবটুকু ভয়ের সীমানা।
হয়তো একদিন কেউ বলে বেড়াবে
সেই হেটে চলা, ভয়, নির্মম জয়
কাজ ফেলে আসা মানুষের গল্প,
বিশাল ভিড়ের মাঠে গড়ে উঠা
ইট-পাথরের দখল শেষে
মনে পড়ে যাবে
মাঠ ছিল "ধর্মিনশা"
আর "বিছালের" নাম ছিল "রংবাজ"
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭