রাজকণ্যার পড়ন্ত বিকেল পছন্দ হলেও একটু আধটু ভালোলাগা আমার ঝুলিতেও দিয়েছে।
কাজল কালো দীঘির তরঙ্গায়িত জলের মতো চোখ আর অমাবশ্যার অহংকার চূর্ন করা দীঘল কালো চুল আমার ঝুলিতে ভালোলাগা দিতে পারে, ভালোবাসা নয়।
কোন এক ভোরের শুরু হয়েছিল শুধু আমার জন্য। চুক্তি হয়েছিল শর্ত সাপেহ্মে।
ঐ চুল আমি ছুঁয়ে দেব কিন্তু সুযোগ পলে আমার অমসৃণ গালে সজোড়ে চপেটাঘাত করতে ভুলবে না সে।
বিধাতার প্রতি অবাক বিস্ময়।
আমার ফুটো কপালে যে আমার স্বপ্নকণ্য়ার হাতের ছোঁয়া আছে তা স্বপ্নেরো অতীত।
সেই মহেন্দ্রহ্মণের সরব আগমন
কম্পিত হাতে আলতো করে ছুঁয়ে দিলাম।
এক অদ্ভুত ভালোলাগা।
মনের ফ্রেমে ক্যাপচার করা সেরা মুহূর্ত।
কিন্তু কে জানতো
ফিরে তাকাবে।
ঐ আজন্ম আরাধ্য ঠোঁটে লেপ্টে ছিল হাসি।
আমি যেন হারিয়ে গেছি কোথায়।
থমকে গেছে সময়।
খোঁচা খোঁচা দাড়ি ভর্তি মুখে কি যেন ছুঁয়ে গেল। বুঝে ওঠার আগেই রাজকণ্যার চলে যাওয়া।
আমি একরাশ ভালোলাগা বুকে নিয়ে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে।
রাজকণ্যা তার কথা রেখেছে।