ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন প্রতিটি বাঙ্গালীর স্বপ্ন, কিন্তু বাংলাদেশ কে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়াটা ডিজিটাল মনে করলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে। এমন কোন ডিজিটাল সুইচ নাই, যেটা চাপলেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে, আমাদের স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে আমাদের কে অবশ্যই এর জন্য কাজ করতে হবে। এ জন্য আমাদের দরকার কিছু দিক নির্দেশনা, কিছু নীতিমালা যা সর্বজন গৃহীত, সর্বজন স্বীকৃত।
"বাগেরহাট হবে ডিজিটাল" - এর মূল উদ্দেশ্যই বাগেরহাট জেলাকে ডিজিটাল করার জন্য দরকারী সব দিক নির্দেশনা, নীতিমালা প্রণয়ন করা, আপামর জনসাধারনকে ডিজিটাল বাগেরহাটের জন্য উদ্বুদ্ধ করা। সর্বপ্রকার নির্দেশনা, নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সেখানে উপস্হিত থাকবে সর্বজন বিদিত, আমার শ্রদ্ধে্য় জাফর স্যার, মুনীর স্যার, কায়কোবাদ স্যার এবং আরও অনেক গুণীজন আর জনগণকে অনুপ্রানিত করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে নানারকম কর্মসূচির। এইখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন কি কি কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আর এইখানে ক্লিক করে আপনি যেতে পারেন "বাগেরহাট হবে ডিজিটাল" - এর অস্হায়ী ওয়েব সাইট।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে শুধু বাগেরহাট ডিজিটাল হলেই কি বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে? না, তা হবে না, কিন্তু বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার ১টি জেলা ডিজিটাল হবে যা পাইলট হয়ে আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পৌছাতে পারে। একজন বিমানের পাইলট যদি ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে সবাইকে পৌছে দিতে পারে, তাহলে ডিজিটাল বাগেরহাট পাইলট হয়ে বাকি ৬৩ টি জেলাকে ডিজিটাল গন্তব্যে পৌছে দিতে পারবে, আমি এটা মনে প্রানে বিশ্বাস করি এবং আমার মত যারা আছেন, সবাই এটা বিশ্বাস করবে।
আসুন সবাই মিলে "বাগেরহাট হবে ডিজিটাল" - কে সফল করি, দলে দলে সবাই যোগ দিই, যদি নিজে উপস্হিত থাকতে পারি তাহলে দূর থেকে একাত্মতা প্রকাশ করি। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের পাইলটকে আমরা খুবই দক্ষ করে গড়ে তুলি - যেন সেই পাইলট আমাদেরকে সুনিপুনভাবে, কোনরম যান্ত্রিক গোলযোগ ছাড়াই আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পৌছে দিতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২১