প্রশান্ত ভূষণ যখনই মুখ খোলেন তখনই তৈরী হয় বিতর্ক৷ কাশ্মীর বিষয়ে মুখ খোলায় তার সঙ্গে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছিল৷ সেই সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের এক বিতর্কিত টুইটের কারণে ফের তিনি শিরোনামে৷
দেশের একটা বড় অংশ মনে করে যে, দেশে মুসলমানদের অবস্থা গুরুতর৷ তাদের প্রায় দিন নানা বাহানায় হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে৷ সংসদ ভবনে ‘মব লিঞ্চিং’ এর নামে শোরগোল হলেও সুরাহা মিলেছে না৷ দেশজুড়ে গো-রক্ষার নামে নিরীহ মুসলমানদের খুন পর্যন্ত হতে হচ্ছে৷ এমতাবস্থায় প্রশান্ত ভূষণের এই টুইট খুবই গুরুত্বপূর্ন৷ এই টুইটটি গত ২৩ জুলাইয়ে তিনি করেছিলেন৷ নিজের টুইটে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, স্বাধীনতার সময়ের বেশিরভাগ স্লোগান ও দেশাত্মবোধক গান মুসলিম বুদ্ধিজীবীরাই লিখেছিলেন এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তখন এ বিষয়ে কোনো অবদান রাখেনি৷ প্রশান্ত ভূষণের এহেন মন্তব্যের কারনেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক৷ নিজের টুইটে তিনি লেখেন, ১৮৫৭ সালে আজীম উল্লাহ খান ‘মাদারে-ওয়াতান, ভারত কী জয়’ এই স্লোগান দিয়ে ছিলেন৷ এ ছাড়া ‘জয়হিন্দ’ স্লোগান আবিদ হাসান সাফরানি, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান মাওলানা হসরত মোহানী, ‘ভারত ছাড়ো’ ও ‘সাইমন গো ব্যাক’ স্লোগান ইউসুফ মেহের আলি, ১৯২১ সালে ‘সারফোরোশি কি তামান্না, আব হামারে দিল মে হ্যায়’ স্লোগান বিসমিল আজীমাবাদী প্রমুখ মুসলিম লেখক ও বুদ্ধিজীবীরাই দিয়েছিলেন৷ নিজের টুইটে তিনি আল্লামা ইকবালের তারানা-এ-হিন্দ ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থা হামারা’র পাশাপাশি সুরাইয়া তৈয়েবজীর জাতীয়পতাকায় তিন রং প্রদানের কথাও উল্লেখ করেন৷
এই সমস্ত উদাহরণ দেওয়ার পর তিনি লেখেন, ‘উল্লেখ্য যে এদের মধ্যে কেউই আরএসএস, বিএইচপি বা বিজেপির সদস্য ছিলেন না৷’
কিন্তু বর্তমানে আরএসএস, বিএইচপি বা বিজেপির সদস্যরা মুসলিমদের অবদানকে একেবারেই অস্বীকার করছেন।
সূত্র : TDN
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০