ইউনিলিভারের প্রোডাক্ট।
ঢাকায় অনেক গায়ক গায়িকা আছেন যারা অনেক চেষ্টা করছেন মিডিয়ার মই বেয়ে উঠতে, পারছেন না। আর কোথ্থেকে কে বাথরুম, রেলষ্টেশনে গান গেয়ে বিরাট একটা কিছু হয়ে গেল???
আসা যাক মূল কথায়
শিল্পী মিউজিশিয়ানরা সবার থেকে আলাদা, তাদের একটা ব্যাপার ছিলো। অনেক সাধনা, অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে সংগীত জগতে। অনেক ত্যাগ, অনেক না পাওয়া আছে তাদের। শুধু মানুষের গান (কাভার সং) করে শিল্পী হওয়া নয়, নিজের গান করে বড় হতে হয়েছে তাদের। আইয়ুব বাচ্চু কিংবা আজম খানের ইতিহাস টা জানলেই হবে। অনেক কষ্ট এবং ত্যাগ আছে তাদের বিখ্যাত হবার পেছনে।
ইউনিলিভারের এবং বাংলাদেশের কয়েকজন শিল্পীর হঠাৎ মনে হলো এখানে শিল্পীর বড় অভাব, ইমিডিয়েট কিছু শিল্পীর প্রয়োজন, তুলে আনতে হবে হোক সে রেল ষ্টেশনে কি বাথরুমে। হলোও। লাভ হলো ঐ মিডিয়ার, ইউনিলিভারের, মোবাইল ফোন কোম্পানীর যারা আয়োজন করেছিলো, শিল্পীদের কপালে জুটলো বিদেশ ভ্রমন, বিদেশি স্পাউস যা তাদের কল্পনায়ও ছিলো না। বাংলাদেশে এসে জুটলো, বাড়ি গাড়ি। ওয়াও। অথচ সাবিনা ইয়াসমিনের চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হলো। কোনো ইউনিলিভার কোনো মিডিয়া এলো না, বললো না আমারা উনার চিকিৎসা ভার গ্রহন করলাম।
এইসব প্রোডাক্ট বানিয়ে তারা প্রমান করলো, শিল্পী????? ধুরু!!!!!! চাইলেই বানানো যায়।
অশ্রদ্ধা করা হলো ঐসব শিল্পিদের যারা অনেক কষ্টে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বা হতে চলেছেন। পায়ের নিচে নিয়ে আসা হলো তাদের। কিন্তু এরা কেউ কেদে কেটে শিল্পী হয়নি, বাথরুমে কিংবা রেলষ্টেশনে গাজাও খায়নি । আফসোস, বাংগালী বড়ই ভালো মানুষ, তাই মাফ পেয়ে গেল টুথপেস্ট, দাতের মাজনরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৪