ক. পিটার ট্রেভার্স একজন নামকরা চলচ্চিত্র সমালোচক। লেখেন রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে। এখানে তার মতে সেরা ১০ ছবির তালিকা দেওয়া হল।

১. দেয়ার উইল বি ব্লাড
২. চিলড্রেন অব ম্যান
৩. মুলহল্যান্ড ড্রাইভ
৪. এ হিস্ট্ররি অব ভায়োলেন্স
৫. নো কান্ট্রি ফর ওল্ডম্যান
৬. দি ইনক্রেডিবলস
৭. ব্রকব্যাক মাউন্টেন
৮. দি ডিপারটেড
৯. মিসটিক রিভার
১০. দি লর্ড অব দি রিংস (ট্রিলজি)
খ. টাইম ম্যাগাজিন মানেই বিশেষ কিছু। তারাও একটি তালিকা দিয়েছে শূন্য দশকের সেরা ১০টি ছবির।

১. ওয়াল-ই (২০০৮)
২. দি লর্ড অব দি রিংস (২০০১-০৩)
৩. টক টু হার (২০০২)
৪. স্ল্যামডগ মিলিওনিয়র (২০০৮)
৫. ক্রচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন (২০০০)
৬. মুলান রুজ (২০০১)
৭. দি হার্ট লকার ২০০৯)
৮. হোয়াইট ডায়মন্ড (২০০৫)
৯. ফারেনহাইট ৯/১১ (২০০৪)
১০. আভাটার (২০০৯)
গ. রজার এভার্ট আরেকজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক। এবার তার তালিকাটি দেখতে পারি।

১. ব্যাড লেফটেনেন্ট
২. ক্রেজি হার্ট
৩. অ্যান এডুকেশন
৪. দি হার্ট লকার
৫. ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড
৬. নোয়িং
৭. প্রেসিয়াস: বেসড অব দ্য নোবেল পুশ বাই সেপিরে
৮. এ সিরিয়াস ম্যান
৯. আপ ইন দি এয়ার
১০. দি হোয়াইট রিবন
ঘ. আইএমডিবি মূলত দর্শকদের ভোটের মাধ্যমে তালিকা করে। সে হিসেবে এর একটি আলাদা মূল্য আছে। এই তালিকাটি হচ্ছে-

১. দি ডার্ক নাইট
২. দি লর্ড অব দি রিংস: রিটার্ন অব দি কিং
৩. সিডেড ডি ডিউস (সিটি অব গড) (২০০২)
৪. দি লর্ড অব দি রিংস : ফেলোশিপ অভ দি রিং
৫. মেমেন্টো
৬. আভাটার
৭. দি লর্ড অব দি রিংস: দি টু টাওয়ার্স
৮. ওয়াল-ই
৯. এমেলি
১০. দি লাইভস অব আদারস
ঙ. মেটাক্রিটিক হলো চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়ে তৈরি একটি সাইট। শূন্য দশকে সমালোচকরা সবচেয়ে বেশি নম্বর দিয়েছেন এই দশটি ছবিকে-

১. প্যানস ল্যাবিরিন্থ
২. ৪ মান্থস, ৩ উইকস অ্যান্ড দু ডেজ
৩. র্যাটাটুইলি
৪. স্পিরিটেড অ্যাওয়ে
৫. দি হার্ট লকার
৬. লর্ড অব দি রিংস: দি রিটার্ন অব দি কিং
৭. সাইডওয়েজ
৮. ওয়াল-ই
৯. ক্রচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন
১০. ৩৫ শটস অব রাম
চ. এবার সেরা ব্যবসা সফল ছবির তালিকা। শূন্য দশকের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবির একটি তালিকাও করা যায়। সর্বশেষ হিসেবে-

১. আভাটর-১,১৩১,৭৫২,৪৬৪ ডলার
২. লর্ড অব দি রিংস: দি রিটার্ন অব দ্য কিং-১,১১৯,২১৯,২৫২ ডলার
৩. পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড ম্যানস চেস্ট-১,০৬৬,১৭৯,৭২৫ ডলার
৪. দি ডার্ক নাইট-১,০০১,৯২১,৮২৫ ডলার
৫. হ্যারি পটার অ্যান্ড দি ফিলোসফারস স্টোন-৯৭৪,৭৩৩,৫৫০ ডলার
৬. পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: এট ওয়ার্ল্ডস এন্ড-৯৬০,০০৬,৪৯২ ডলার
৭. হ্যারি পটার অ্যান্ড দি ওর্ডার অব দি ফিনিক্স-৯৩৮,২১২,৭৩৮ ডলার
৮. হ্যারি পটার অ্যান্ড হাফ ব্লাগ প্রিন্স-৯৩৪,২১২,৭৩৮ ডলার
৯. দি লর্ড অব দ্য রিংস: দি টু টাওয়ার্স-৯২৫,২৮২,৫০৪ ডলার
১০. স্রেক টু-৯১৯,৮৩৮,৭৫৮ ডলার।
ছ. এবার আমার তালিকা। ক্রমানুসারে না। প্রথম বা দ্বিতীয় করা সম্ভব না। তালিকাটা সম্পূর্ণ বলা যাবে না। লেখার সময় যেগুলোর কথা মনে পড়েছে সেগুলো নিয়েই এই তালিকা।

১. হোটেল রোয়ান্ডা-যুদ্ধ, সংঘাত, রাজনীতি-এসব নিয়ে সিনেমা আমাকে সবসময়েই বেশি টানে। সেই দিক থেকে হোটেল রোয়ান্ডা আমার অনেক পছন্দের ছবি। আমার কাছে শূন্য দশকের অন্যতম সেরা ছবি এটি।
২. বর্ণ সিরিজ- আমার ধারণা স্পাই থ্রিলার ঘরানার এটাই সেরা ছবি। এমনকি অবাস্তব জেমস বন্ড সিরিজের চেয়েও। সমালোচকরাও মানেন এই ছবির পর জেমস বন্ড ছবির স্টাইলও পাল্টে যেতে বাধ্য হয়েছে।
৩. লস্ট ইন ট্রান্সসেলেশন-ছবিটা অন্যরকম। নাটকীয়তা নাই, একের পর ঘটনা ঘটে না। শান্ত একটা ছবি। অসম বন্ধুত্বের। স্কারলেট জোহানসনকে যারা পছন্দ করেন তাদের অবশ্যই দেখা উচিৎ
৪. দি রিডার-২০০৮ সালের ছবি। কেন উইনস্লেট এ থেকে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পেয়েছিল। অসাধারণ অভিনয়, ছবিটাও চমৎকার।
৫. ৪ মান্থস, ৩ উইকস অ্যান্ড দু ডেজ-রুমানিয়ার ছবি। চচেস্কুর সময় রুমানিয়ায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ ছিল। সেই সময়ে গর্ভপাত করানোর একটি ঘটনা নিয়ে এই ছবি। অন্যরকম এক ছবি। এই ছবির রেস সহজে যায় না।
৬. দিল চাহাতা হ্যায়-তালিকায় একটি হিন্দী ছবি দিলাম। ফারহান আখতারের এই ছবি হিন্দী ছবির জগৎকে অনেকখানি আধুনিক করে দিয়েছে বলে মনে করি। আমি আবারও এটি দেখতে আগ্রহী
৭. ডিপারচারস- জাপানের এই ছবিটি আমাকে দারুণ ভাবে অবাক করে দিয়েছিল। আমি কোনো ধরণের উচ্চাশা ছাড়াই ছবিটা দেখতে শুরু করেছিলাম। ছবি শেষ করার পর মুগ্ধতা আমার এখনো কাটেনি। মৃত্যু যাত্রা নিয়ে এই ছবি।
৮. ফ্রস্ট/নিক্সন-সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট আর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন নিয়ে এই ছবি। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ করেছেন নিক্সন। নবীন সাংবাদিক ফ্রস্ট তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিতে আগ্রহী। সেটি নিয়ে ছবি। আমার খুবই প্রিয়।
৯. মুলহল্যান্ড ড্রাইভ: ছবিটা দেখে প্রথমে বুঝাই যায় না শেষ পর্যন্ত কি হলো। কোনটা আসল আর কোনটা কল্পনা। দর্শকদের দারুণভাবে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে এই ছবি। একেকজন একেক ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই ছবির। আমি তো মুগ্ধ।
১০. দি পারস্যুট অব হ্যাপিনেস-ভীষণ আবেগি একটি ছবি। সত্যি ঘটনা নিয়ে ছবি। অসাধারণ অভিনয়। উইল স্মিথের জীবনে সেরা ছবি।