গতকাল রাত থেকে মেজাজ বেশ গরম হয়ে আছে। মাথা থেকে একটা ব্যাপার মোটে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না।
আমার মনে হয় কিঞ্চিৎ শোভিনিজম আছে। বাঙালি বা বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কিছু বললে আমার খুব গায়ে লাগে।
প্রবাসী যেসব বাঙালি বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে নিজেদের মেধা আর শ্রম দিয়ে এবং দিনশেষে নিজের পরিচয় বাঙালি হিসেবেই দেয়, তাদের আমি মাথায় তুলে রাখি। লোকেদের সাথে কথা বলতে গেলে নানাছুতোয় তাদের কথা তুলে গর্ব প্রকাশ করি।
তদ্রুপ বিদেশে কেউ বাংলাদেশের দুর্নাম করলে বা বাঙ্গালি সম্পর্কে উল্টাপাল্টা কথা বললে মাথায় রক্ত চড়ে যায়।
নাদিয়া হোসাইন। বাঙালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ প্রতিযোগিতার উইনার। এমনকি ব্রিটেনের রানীর জন্মদিনের কেক বেক করার সম্মানটাও পেয়েছিল। নিঃসন্দেহে আমাদের গর্ব করার মত একটা মহিলা হতে পারত।
কিন্তু তার নাক এই পরিমান উঁচু হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশের কালচার সম্পর্কে কটূক্তি করতে ছাড়েনি ব্রিটিশ মিডিয়ার সামনে। গার্ডিয়ান কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “There were no chairs back in Bangladesh and Dad wanted to keep the tradition, so we never owned a dining table.”
“The concept of dessert doesn’t exist in Bangladeshi cuisine… I have a senseless love affair with cheese. My mother never bought any because there was none in Bangladeshi cuisine.”
আপু, আপনি কয়বার বাংলাদেশে এসেছেন? দূর থেকে দেখে কতটুকু বাংলাদেশকে চিনেছেন? আপনাকে এত অধিকার দিল কে বাংলাদেশকে নিয়ে কটূক্তি করার? ক্ষির, দই, পায়েশ, রসের জাও, সেমাই চিনেন; এদের ডেজার্ট বলে কিনা, তা জানেন? পনির বলে বাংলায় একটা শব্দ আছে তা জানেন এবং সেটা আমাদের কালচারে তৈরি করা হয় কিনা তা জানেন?
নাদিয়া, ব্রিটিশদের জন্য যত কিছুই করুন না কেন; দিন শেষে তাদের অধিকাংশের কাছেই আপনি তৃতীয় বিশ্ব থেকে আসা এক ‘কালা আদমি’। পরিচয়টা ভুলতে চাইলেও পারবেননা।
আর বিদেশি মিডিয়ার সামনে এসব ফালতু কথাবার্তা বলা বন্ধ করে, যেহেতু রান্নাবান্না ভাল পারেন সেদিকে মনোযোগ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৮