ত্রিমুণ্ড এরাওয়ান ঐরাবত, হাতির পিঠে ইন্দ্র ফ্রা প্রাং এর ভাস্কর্য, ওয়াট অরুণের কেন্দ্রীয় মিনার, ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ড
হিন্দু ধর্মে স্বর্গ কে স্বর্গলোক বলা হয় যা সাতটি লোক বা তলের সমন্বয়ে গঠিত। পর্যায়ক্রমে এই লোকগুলো হচ্ছেঃ ভূ: পৃথ্বী লোক বা পৃথিবী, ভুবর্লোক, স্বর্লোক, মহর্লোক, জনলোক, তপোলোক এবং সব থেকে উপরে সত্যলোক বা ব্রহ্মলোক। হিন্দু পুরাণ এবং অথর্ববেদ এ ১৪ টি লোকের কথা বলা হয়েছে। এর সাতটি স্বর্গলোক ; বাকি সাতটি নরক বা পাতাল। সপ্ত স্বর্গের ঠিক নিচেই সপ্ত নরক অবস্থিত। স্বর্গের রাজধানী হচ্ছে অমরাবতী এবং ঐরাবত স্বর্গের প্রবেশদ্বার পাহারা দিচ্ছে।ঐরাবত হলো হিন্দু দেবতা ইন্দ্রের বাহন। এটি একটি সাদা হাতি।ঐরাবতের অপর নাম অর্ধ-মাতঙ্গ ,মেঘহস্তী, নাগমল্ল, যুদ্ধহস্তী,এবং অর্কসোদর,সূর্যের ভ্রাতা। ঐরাবতের স্ত্রীর নাম অভরামু। ঐরাবতের চারটি গজদন্ত এবং সাতটি শুঁড় রয়েছে। ঐরাবত ধবধবে সাদা, গায়ের রঙে কোথাও কোনো দাগ নেই। তামিল ভাষায় ঐরাবতের নাম হল ঐরাবতম এবং থাই ভাষাও এরাওয়ান বলা হয়।
ইন্দ্র বা শক্র, শচী পঞ্চমুণ্ড ঐরাবতের পৃষ্ঠে আসীন, জৈন ধর্মগ্রন্থ পঞ্চকল্যাণকের পুথিচিত্র, ১৬৭০ থেকে ৮০ সালের, এলএসিএমএ জাদুঘর, রাজস্থানের অম্বর থেকে সংগ্রহ।
হিন্দুপুরাণে স্বর্গের দেবতাদের রাজা। তার রাণীর নাম শচীদেবী এবং হাতীর নাম ঐরাবত। তার বাহন পুষ্পক রথ। মূলত ইন্দ্র কোন বিশেষ দেবতা নন যিনি স্বর্গের রাজা হন তিনিই ইন্দ্র। ইন্দ্রের বিশেষ অস্ত্র হল বজ্র বা বিদ্যুৎ। আর্যসভ্যতার ইতিহাসবেত্তাদের মতে ইন্দ্র সম্ভবত ভারতে আগত আর্যদের মধ্যে কোন এক রাজার নাম যা কালক্রমে দেবতাদের রাজা আখ্যান পেয়েছে হিন্দুধর্মে। তবে ঋকবেদে ইন্দ্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।মহাভারত অনুযায়ী ইন্দ্র অর্জুনের পিতা। পাণ্ডুপত্নী কুন্তী এক বলশালী পুত্রকামনা করে পুত্রেষ্টি মন্ত্রে ইন্দ্রকে আহ্বান করেন এবং অর্জুনের জন্ম দেন।
তথ্যসূত্র Click This Link
এবং উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৬