৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে বিক্রম ভাট পরিচালিত ছবি ‘লাভ গেইমস’। বরাবরই ভাট পরিবারের প্রোডাকশন হাউস ‘বিশেষ ফিল্মস’ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে যৌনতাকে উপজীব্য করে ছবি নির্মাণ করা হয়। লাভ গেইমসও এর ব্যতিক্রম নয়, তবে থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে অনবদ্য এক কাহিনীও রয়েছে।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছে গৌরব আরোরা, পত্রলেখা এবং তারা আলিশা বেরি। ছবির কাহিনী আবর্তিত হয় রামোনা রিচান্ডকে(পত্রলেখা) ঘিরে যে কিনা শহরের এক বয়স্ক ধনী ব্যবসায়ীর স্ত্রী থাকে। ছলে সে তার স্বামীকে খুন করে, যদিও এভাবে প্রতারণা এবং খুন করার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন কিছু না। তাই কোন না কোন ভাবে এই ব্যাপারগুলো সে পাশ কাটিয়ে উঠতে পারে। এদিকে রামোনা ভালোবাসে সামির সাক্সেনাকে(গৌরব আরোরা) যদিও এই ভালোবাসা মনের ভালোবাসা নয়, এই ভালোবাসা শরীরভিত্তিক ভালোবাসা। এক সময় রামোনা এবং সামির এক অদ্ভুত খেলার সৃষ্টি করে নিজেদের ভেতর যেখানে তারা বিভিন্ন পার্টিতে সবচেয়ে সুখী দম্পতিদের টার্গেট করে তাদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে। আর অভিনয় করে যে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিছানা পর্যন্ত সম্পর্কটাকে নিয়ে যেতে পারবে সেই প্রকৃত বিজয়ী। এভাবে লাভ গেইমস খেলতে খেলতে রামোনা-সামিরের পরিচয় হয় গৌরব-আলিশা দম্পতির সাথে। পেশায় গৌরব একজন প্রভাবশালী আইনজীবী এবং আলিশা একজন ডাক্তার। আপাতদৃষ্টিতে গৌরব-আলিশা দম্পতিকে সুখী মনে হলেও সাংসারিক জীবনে তারা সুখী নয়। আলিশার উপর গৌরবের সন্দেহ এবং শারীরিক নির্যাতন আলিশাকে বিপর্যস্থ করে তোলে। কিন্তু সে ডিভোর্স দিতে পারেনা গৌরবকে সমাজের ভয়ে। আরেকটি কারণ হল আলিশা পরিবারের অনুমতি ছাড়া গৌরবকে বিয়ে করে যার ফলে শত নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে কারণ পরিবারের কাছে মুখ দেখানোর কিছু নেই তার। রামোনা-সামির যখন পৃথক ভাবে লাভ গেইমের অংশ হিসেবে গৌরব-আলিশা দম্পতির সাথে প্রেম করে তখন সামির প্রেমে পড়ে যায় আলিশার। কিন্তু এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারে না রামোনা। সম্পর্ক ভেস্তে দেবার পাঁয়তারা করে সে। কিন্তু কাহিনী মোড় নেয় অন্যদিকে। কোনভাবে আলিশা লাভ গেইমসের কথা জেনে যায়। আর সে রামোনার সাথে মিলে গৌরব এবং সামিরকে খুন করার কথা ভাবতে থাকে। নিজের স্বামীকে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে না হয় খুন করলো কিন্তু সামিরকে যাকে কিনা আলিশা সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিল তাকে কি সত্যি খুন করে আলিশা? নাকি এটা অন্য এক চাল? এ সবকিছু জানতে হলে দেখতে হবে ‘লাভ গেইমস’ ছবিটি।
‘লাভ গেইমস’ মডেল গৌরব আরোরার প্রথম ছবি হলেও অভিনেত্রীযুগলের পূর্বেই অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল। অভিনেত্রী পত্রলেখা এর আগে ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিটিলাইট’ নামের ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেছে। এছাড়াও আলিশা বেরি বেশ কিছু তামিল এবং তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেছে। অভিনয়ের কথা বলতে গেলে প্রত্যেকেই ভালো করেছে। তবে পার্শ্বচরিত্রের কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় ভালো লাগেনি।
২০ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটির গানগুলো বেশ ভালোই ছিল যদিও একমাত্র সুনিধি চৌহান ছাড়া ছবিতে আর কোন স্টার মার্ক লাগানো শিল্পী ছিল না।
১১৩ মিনিট ব্যাপ্তি ছবিটির কাহিনীকারও পরিচালক বিক্রম ভাট নিজেই।