প্রেমে প্রতারণা ও তার প্রতিকার
প্রায়ই অভিভাবকদের বলতে শুনি, ইদানিং প্রেমের হার ও ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এদু'টো জিনিস যে বেড়েছে, তা বুঝতে পারি আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যত্রতত্র অসংখ্য জুটিদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে। রাজশাহীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের প্রেম করার সবচেয়ে নিরাপদ, মনোরম, উপযুক্ত ও পছন্দের স্থান আমার মতিহারের সবুজ চত্বর !!!
প্রেমের নামে অবাধ মেলামেশা বেড়েছে কারণ বেঁধে রাখা গরু দড়ি ছিঁড়লে ক্ষেত খায় সবচেয়ে বেশী। এর কারণ ছেলে ও মেয়েদেরকে আলাদা রাখা, মেয়েদেরকে লোভনীয় বস্তু হিসেবে লুকিয়ে রাখার মানসিকতা, ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই 'মানুষ' হিসেবে বিবেচনা না করে মেয়েমানুষ ও পুরুষমানুষ হিসেবে বিবেচনা করা, আলাদা স্কুল- কলেজ, এমনকি একই ক্লাসে ছেলেমেয়েদের আলাদা বসা, আলাদা খেলা... ইত্যাদি।
পশ্চিমা দেশগুলোতে আঠার বছর বয়স হলেই ছেলেমেয়েরা সেক্স করার অবাধ স্বাধীনতা পায়। কেউ তাদের বাধা দেয়না। তার আগে কিছুটা বাধা থাকে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী স্কুল-কলেজ থেকে ফ্রি দেওয়া হয়।
আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ধর্ম ও সমাজের নিষেধের কারণে বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। তাই প্রেমিক-প্রেমিকাদের আপত্তিকর মেলামেশা বা শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমে প্রতারণা এবং শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমের সমাপ্তি - এসব এখন খুব বেশী চোখে পড়ে।
আমাদের নাতিশীতোষ্ণ অন্চলের আবহাওয়ার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা অল্পবয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে যায়। ফলে অবধারিতভাবেই তাদের শারীরিক চাহিদা তৈরী হয় অল্পবয়সে, যার ফলশ্রুতিতে আজকাল স্কুলের ছেলেমেয়েদেরকেও আমরা প্রেমে জড়িয়ে পড়তে দেখি। সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়মনীতি ও সুযোগের অভাবে ছেলেমেয়েরা শারীরিক চাহিদাকে অবদমন করে রাখে। যদিও প্রেমে শারীরিক সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।
পশ্চিমা দেশগুলোতে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়না। তবে তার জন্য তাদের প্রেম ভাঙ্গে না। কারণ তারা জানে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওসব দেশে বিয়ের আগে সেক্স করাকে পাপ মনে করা হয়না। মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। তাই সেক্স, লিভ টুগেদার, কুমারী মাতৃত্ব - এসবকে ওদের ধর্ম ও সমাজ অনৈতিক মনে করেনা।
আমরা করি। আমাদের ধারণা, বিয়ের আগে যত প্রেমই থাকুক, ধর্মীয় বাধার কারণে শারীরিক সম্পর্ক অনুচিত, অবৈধ, অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া মেয়েদের ভার্জিনিটি আমাদের দেশের নারী-পুরুষ তথা সমাজের কাছে খুবই কাংখিত।
বিদেশে ছেলেমেয়ের বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড না থাকলে বাবামা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এই ভেবে যে, নিশ্চয় তাদের ছেলেমেয়েদের কোন সমস্যা আছে। আমাদের দেশে ঘটে উল্টা। আমরা আশা করি আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রেমে না পড়ুক। তাতে বিবাহ পূর্ব প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্ক, ভার্জিনিটি হারানো, অবৈধ সন্তান, লোকনিন্দা ইত্যাদির ঝুঁকি থাকে।
বিদেশে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমকে গাঢ় করে। আমাদের দেশে শারীরিক সম্পর্ক হলে প্রেম উবে যায়। কেন? কেন মানুষ একাধিক প্রেমে জড়ায়? আসুন জানি।
- মানুষ প্রকৃতিগতভাবে বহূগামী। সেজন্যই একাধিক প্রেম, শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকার শরীরের প্রতি আগ্রহের অবসান, অন্য কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার আগ্রহ, বহূবিবাহ, পরকীয়া, পতিতালয়,.. এসবের জন্ম।
- যেসব পুরুষের মধ্যে ডিআরডিফোর জিনের উপস্থিতি বেশী, তারের মধ্যে একাধিক সম্পর্কে, এমন কি বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশী থাকে।
- মানসিক সমস্যার কারণেও মানুষ বাড়তি সম্পর্কে জড়ায়। বাইপোলার মুড ডিজর্ডার রোগে আক্রান্ত রোগীরা কোনকিছুর মধ্যে স্থিরতা খুঁজে পায়না। এসব ছেলেরা সহজেই একাধিক প্রেমে জড়ায়।
- আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে মনের সৌন্দর্যের চেয়ে শারাীরিক সৌন্দর্য বেশী প্রিয়। তাছাড়া মানসিক সৌন্দর্য সহজে দেখা যায়না। কারো সাথে মিশলে জানা যায়। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় ছেলেমেয়ের মেলামেশার সুযোগ কম। ফলে চেহারা বা শরীরটাকে তারা মূল বিবেচ্য বিষয় মনে করে। ফলে অধিকাংশ ছেলে প্রেমিকার মনের সৌন্দর্য না খুঁজে তার সাথে সেক্স করতে বেশী আগ্রহী। ফলে তাদের কাছে প্রেমের সম্পর্ক তেমন কোন গুরুত্ব বহণ করেনা। ফলে তারা একাধিক প্রেমে জড়ায়।
- অনেক মেয়ে, বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েরাও একাধিক প্রেম করে বা কোন ছেলেকেই দৃঢ়ভাবে 'হ্যাঁ' বা 'না' বলেনা, ঝুলিয়ে রাখে। সুন্দরী মেয়েরা একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণ হল পরে সবচেয়ে যোগ্য কোন একজনকে বিয়ে করবে। তবে এক্ষেত্রে ছেলেদের দোষ বেশী। কারণ সুন্দরী মেয়েদের পিছনে ছেলেরা লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অপশন বেশী থাকলে মানুষ সবচেয়ে ভালটা বেছে নেবে, এটাই স্বাভাবিক।
- সুন্দরী মেয়েদের হাজারটা প্রেমিক আছে জেনেও তাকে বিয়ে করতে ছেলেদের আপত্তি হয়না। কারণ তারা জানে সুন্দরী মেয়েদের পিছে ছেলেদের লাইন সবসময়ই লম্বা হয়, তা সে মেয়ে প্রেম করতে রাজী হোক বা না হোক, তাতে প্রস্তাবদাতাদের আগ্রহে ভাটা পড়েনা।হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, "সুন্দরী মেয়েদের দোষ খুঁজতে আমার লজ্জা হয়।"
- অনেক ছেলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্যও একাধিক প্রেম করে। একাধিক প্রেম করতে পারা, রেপ করতে পারা, সুন্দরী মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারা, প্রেমিকার সাথে সেক্স করতে পারাকে অনেক ছেলে 'কৃতিত্ব' মনে করে। তাই এসব করেও।
- আবার কোন কোন পুরুষ একইসাথে একাধিক প্রেম বা একাধিক রেপ করতে পারাকে 'যোগ্যতা' মনে করে। যেদিন ধর্ষণে সেঞ্চুরীর পর মিষ্টি বিতরণের খবর জানতে পারি, লজ্জা-ঘৃণা-অপমান-রাগ-হতাশা- ক্ষোভ- কষ্টে কুঁকড়ে গেছিলাম। কি নিদারুণ মানসিক দৈন্যতা !!! ছিঃ!!! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মানসিকতা যদি এমন হয় তাহলে অশিক্ষিত পুরুষের আর দোষ কি? এ ধরণের বিকৃত মানসিকতার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, প্রকৃত শিক্ষার অভাব, মেয়েদের প্রতি হীন মানসিকতা, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব, অবদমিত শারীরিক চাহিদা... ইত্যাদিকে দায়ী করা যায়।
- কিছু কিছু অপরাধপ্রবণ পুরুষ মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাদেরকে নানা হয়রানি ও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে। একারণে তারা একাধিক প্রেম করে। নানা সাইবার ক্রাইমগুলো এর প্রমাণ। কোন কোন ছেলে প্রমিকার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও নিয়ে রাখে, যাতে বদনামের ভয়ে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যেতে না পারে।
- কৌতুহল মেটাতে বা নিজের স্বক্ষমতা যাচাই করার জন্য ও অনেক ছেলে প্রেমিকার সাথে সেক্স করে।
সেক্স করার পর প্রেমিকাকে বেশীরভাগ প্রেমিকরা আর বিয়ে করতে চায়না। এর কারণ হল, আমাদের দেশের ছেলেরা মনে করে বিয়ের আগে সেক্স সামাজিক ও ধর্মমতে যেহেতু অবৈধ, সেহেতু স্ত্রী হিসেবে সে ভাল হতে পারেনা। কারণ বিয়ের আগেই যেহেতু সে অনৈতিক, নিষিদ্ধ ও পাপ কাজ করে ফেলেছে, সেহেতু বিয়ের পরেও যে সে এমন কাজ করবেনা, তার নিশ্চয়তা কি? তাছাড়া আমাদের পুরুষরা ভার্জিন মেয়ে বিয়ে করতে চায়। যেহেতু সে জানে যে তার প্রেমিকা আর ভার্জিন নয়, তাই তাকে বিয়ে করার আগ্রহ পুরুষরা হারিয়ে ফেলে। তাই তারা জেনে শুনে বিষ পান করার মত গাধামো করেনা। গাধামো করে আমাদের গবেট মাথামোটা মেয়েগুলো। পুরুষের মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলে মহাউদার হয়ে নিজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ উজার করে দিয়ে শেষে অতিপ্রিয় প্রেমিকের ছ্যাঁকা খেয়ে চোখের জলে বুক ভাসায়।
সবসময় মেয়েদেরকেও দোষ দেয়া যায়না। কারণ প্রিয় মানুষকে বিশ্বাস না করে ভালবাসা যায়না। ভালবাসা মানেই বিশ্বাস। তাছাড়া প্রিয় মানুষের স্পর্শ ভাল লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা শারীরিক চাহিদাতো শুধু ছেলেদের একার থাকেনা, মেয়েদেরও থাকে। সুতরাং যা হয়, উভয়ের সম্মতিতে হয়। হয়তো ভূমিকাটা বেশী থাকে ছেলেদের। আর তাছাড়া মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। মেয়েরা জানবে কি করে যে, যে প্রেমিক একবেলা তাকে না দেখে থাকতে পারেনা, "আই লাভ ইউ" বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলে, প্রেমিকার একটু মন খারাপ দেখলে যার পুরো দুনিয়া তছনছ হয়ে যায়, সেই প্রেমিক তার চাহিদা মিটে গেলে একসময় সেই প্রেমিকার প্রতিই তার সব ভালবাসা কর্পুরের মত হাওয়া হয়ে যাবে???
মানুষ প্রেমে না পড়ে থাকতে পারেনা, আবার প্রেমে ব্যর্থতার ঝুঁকিও কম নয়। তাহলে এর থেকে বাঁচা যাবে কিভাবে???
মাথা ব্যথার ভয়ে যেমন মাথা কেটে ফেলা যায়না, তেমন ছ্যাঁকা খাবার ভয়ে লোকে প্রেম করা ছেড়ে দিতে পারেনা। তাই মধ্যপন্থা অবলম্বন করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই মেয়েদের বলছি -
প্রেম করুন। তবে কখনোই বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে সেক্স করবেন না। সে জোড়াজুড়ি করলেও না। কারণ সেক্স করলে আপনি তার কাছে সস্তা হয়ে যাবেন। এমন কি, বিয়ে করলেও সে আপনাকে বাজে মেয়ে বলেই জানবে, কোনদিন শ্রদ্ধা করবেনা। তাই নিজেকে নীচে নামাবেন না। আপনার আত্মসম্মানবোধ কখনও হারাবেন না। আপনার প্রেমিক আপনাকে সত্যি সত্যি ভালবাসলে আপনি তার সাথে সেক্স করতে রাজী না হলেও ভালবাসবে। কারণ ভালবাসা ব্যাপারটা বেশীরভাগ মানসিক।
কখনোই ভুলেও আপনার প্রেমিককে আপনার ন্যুড ছবি, ভিডিও তুলতে দেবেননা বা পাঠাবেননা। আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকুন, যখন আপনার সাথে কোন কারণে তার মনোমালিন্য হবে (হবেই), তখন সে এগুলোর অপব্যবহার করবে। সাইবার ক্রাইমের এমন হাজার হাজার উদাহরণ আপনার চারপাশেই আছে। আমাদের দেশের বেশীরভাগ পুরুষ মেয়েদেরকে শ্রদ্ধা করতে জানেনা। তাই আপনাকে সবার সামনে ভয়ংকরভাবে অপমান করতে তাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা হবেনা।
আমার পরিচিত এক স্যারের মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ের প্রেমিকের একাধিক মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানার পর মেয়েটি সরে আসে। এই কারণে ছেলেটি হুমকি দেয়, মেয়েটি ও তার প্রেমিকের অন্তরঙ্গ ছবিগুলো সে মেডিকেলের হোস্টেলে ছড়িয়ে দেবে। মেয়েটি সাহসের সাথে কথাগুলো তার বাবাকে জানায়। তখন স্যার তাঁর পরিচিত এক পুলিশ অফিসারকে বিষয়টি জানান, অভিযোগ করেন। সাথে সাথে ছেলেটি গ্রেফতার হয়। পুলিশ সব ছবিগুলো উদ্ধার করে। ছেলেটিকে সাইজ করে।
বেশীরভাগ পুরুষরা এরকম অন্যায় করে পার পেয়ে যায়। তার কারণ আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করিনা, সামাজিকভাবে হেয় হবার ভয়ে। কারণ মেয়েদের মান যায়, ছেলেদের কিছুই হয়না।
বিয়ের আগে সেক্স করলে গর্ভবতী হবার ঝুঁকি থাকে। বিয়ে না হলে বদনাম হবার ভয় তো থাকেই। একটি মেয়ের সম্ভ্রম চলে যাওয়া মানে সমাজে সে অপাংতেয়। পচে যাওয়া খাবারের মত, যা কেউ খেতে চায়না। মেয়েটিকেই সবাই অস্পৃশ্য মনে করবে, তার ভাল বিয়ে হবেনা, তার পরিবারের বদনাম হবে। পুরুষ রেপ করলে, পতিতালয়ে গেলে, পরকীয়া করলে, প্রেমিকার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করলেও...তার মান যায়না, তাকে কেউ খারাপ বলেনা। দিব্বি আবার বিয়ে করতে পারে, তার সামাজিক মর্যাদা এতটুকু কমেনা। কিন্তু মেয়েরা সমাজের চোখে একবার ভ্রষ্টা খেতাব পেলে তার বেঁচে থাকা দায় হয়ে যায়।
মেয়েরাও প্রতারণা করে। তবে সবসময় স্বেচ্ছায় করেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের চাকরী পেতে বা প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগে। মেয়ের পরিবার ততদিন অপেক্ষা করতে চায়না। জোর করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
আপনার প্রেমিকের শরীরে কি জীন (ডিএনডিফোর) আছে, আপনি জানেননা। সে কোন মানসিক রোগে (বাইপোলার মুড ডিজর্ডার) আক্রান্ত কিনা আপনি জানেন না। তাছাড়া মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়ে আপনার প্রেমিকের বিশ্বাস-মূল্যবোধ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার গণ্ডী পেরুতে পারবে কিনা, আপনি কিভাবে যাচাই করবেন?
একটা কথা আছে, "মানুষ চিনতে ভুল করলে নিজেকে বোকা ভাববেন না। কারণ অমানুষগুলোও দেখতে অবিকল মানুষেরই মত।"
খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা.....
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫