রেপের মনস্তাত্ত্বিক কারণ ও প্রতিকার
গত ৫ এপ্রিল, বুধবার, দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার দারুল তালিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কাচারী পাড়াা জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মতিউর (৫০) তার মাদ্রাসার এক ছাত্রকে রেপ করার পর স্থানীয় জনতা তাকে পুলিশে দেয়।
রেপের ভয়াবহতা যে কতটা ব্যাপক তা আমরা জানি। জানিনা এটি কি পরিমাণে রোজ ঘটছে। কারণ রেপের বেশীরভাগ ঘটনাই ধামাচাপা দেয়া হয়। যেমন - এই প্রিন্সিপাল মহোদয় ও মহামান্য ইমাম সাহেব ইতোপূর্বে একাধিক রেপ করলেও তার কোন শাস্তিই হয়নি। আমরা জানতেও পারিনি। বিচ্ছিন্নভাবে দুএকটি ঘটনা মিডিয়াতে এলে আমরা দু'চার কথা বলি। তারপর যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই।
আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে জানার, কেন মানুষ রেপ করে? এর প্রতিকারইবা কি? আসুন জানি রেপের মনস্তাত্ত্বিক কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে।
রেপের কারণসমূহ:
১। অপরাধী মানসিকতার লোকেরা খুব সহজে, বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ না থাকার কারণে নির্দিধায় রেপসহ যেকোন অপরাধ করতে পারে, করে। এটি রেপের প্রধান কারণ।
২। আমাদের দেশের পুরুষরা বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা সমাজের নিষেধের কারণে। সবার প্রেমিকা থাকেনা, থাকলেও পূর্ণ তৃপ্তির সুযোগ থাকেনা। পতিতালয় আছে। সেখানে যাবার মানসিকতা, সুযোগ, সামর্থ সবার থাকেনা। পরকীয়া বা রেপ করাও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। ফলে তারা সুযোগ খোঁজে। যেকোন মেয়ে, শিশু এমন কি অতি নিকট কোন আত্মীয়কে একা পেলে রেপ করে।
৩। ধর্ষকদের মধ্যে যৌন ধর্ষকাম প্রবৃত্তি ( Sexual Sadism বা অন্যকে নির্যাতন করে যৌনসুখ লাভের মানসিকতা) থাকতে পারে, থাকে যা রেপের আরেকটি কারণ।
৪। সাইকোপ্যাথিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী লোকেরা রেপ করে। ধারাবাহিক রেপের কারণও এটি।
৫। মাদকাসক্তি মানুষের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ লোপ করে। এটিও রেপের আরেকটি কারণ।
৬। ধর্ষকদের মনে মেয়েদের প্রতি তীব্র অশ্রদ্ধা, ক্রোধ, আক্রমনাত্বক মনোভাব ও প্রতিহিংসা পরায়নতা (যার কারণ হতে পারে অতীতে কোন মেয়ে দ্বারা প্রতারিত, অপমানিত প্রত্যাখ্যাত হওয়া, ইত্যাদি) , ইত্যাদি থাকলে তারা রেপ করে।
৭। একাকীত্ব বোধ, অক্ষমতাবোধ, রাগ, অপমানজনক অনুভূতি, প্রত্যাক্ষাত হওয়া, হতাশা, ব্যর্থতা বা ব্যাক্তিজীবনে কষ্ট, অপ্রাপ্তি .. এসব থাকলে ধর্ষণের আকাঙ্খা বৃদ্ধি পায়।
৮। যে সমাজে দ্বন্দ্ব ও সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য বলপ্রয়োগ বা প্রচণ্ডতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়, সে সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বেশী ঘটে। তাই সামাজিক প্রতিরোধ ও আইনের শাসনের অভাব রেপসহ সব ধরণের অপরাধের জন্য দায়ী।
৯। যেসব পর্ণোচিত্রে মেয়েদের সাথে জবরদস্তিমূলক যৌন সম্ভোগে মেয়েদেরকে তা উপভোগ করতে দেখানো হয় বা মেয়েদের প্রতিবাদ করতে দেখানো হয়না, সেসব দেখে অনেক পুরুষ রেপে উৎসাহিত বোধ করে।
১০। কোন মেয়ে প্রেমে বা বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে রাজী না হলে মেয়েটির 'না' - কে সহ্য করতে না পেরে রেপ করে।
১১। মেয়েদের উপর আধিপত্যবিস্তার ও ভয় দেখিয়ে নিয়ণ্ত্রণ করার মানসিকতাও রেপের অন্যতম কারণ। কখনও কখনও রেপকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় রেপকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে যুগে যুগে দেশে দেশে। যেমন - ব্রাউনমিলার (Brownmiller, 1975) তাঁর বইতে দেখিয়েছেন যে, ইতিহাসের বিভিন্ন যুগে বিজেতারা বিজিতদের শাস্তি দিতে বা ভয় দেখাতে ধর্ষণকে রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেছে। একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ক্রুসেডের সময় ক্রুসেডররা ইউরোপের মধ্য দিয়ে ভ্রমনের সময় জেরুজালেমকে মুসলমানদের দখলমুক্ত করার সময় প্রচুর রেপের ঘটনা ঘটে।প্রথম মহাযুদ্ধের সময় জার্মান সৈন্যরা বেলজিয়ামের মহিলাদের, আমেরিকান সৈন্যরা ভিয়েতনামে আগ্রাসন চালানোর সময় ভিয়েতনামী মহিলা ও বালিকাদের, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যরা আমাদের মেয়েদের, সার্বীয় সৈন্যরা বসনীয় মেয়েদের, ১৯৯০ সালে কুয়েত দখলের পর ইরাকী সৈন্যরা কুয়েতী মেয়েদের রেপ করে। এখনও ভারত, আফগানিস্তান, সিরিয়া, বার্মা,... এসব দেশে প্রচুর রেপ হয়।
১২। ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি সুযোগ পেয়ে কোন দূর্বল মেয়ে, শিশু বা ছেলের উপর ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় রেপের মাধ্যমে।
১৩। কখনও কখনও বন্ধুবান্ধবরা একসাথে হয়ে বা শক্তিশালী হয়ে আকষ্মিক ভাবে কোন অসহায় মেয়েকে একা পেয়ে আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য রেপ করে।
হুজুররা কেন রেপ করে?
সাধারণ মানুষদের মধ্যে যেমন অনেক ধর্ষক আছে, তেমনি হুজুরদের মধ্যেও অনেক সমকামী আছে যেকারণে হুজুরদের (এমনকি হাফেজদের) দ্বারাও মাদ্রাসা ছাত্রদের রেপ হবার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও ধর্ম ও সমাজের ভয়ে হুজুররা সেটা প্রকাশ করেনা।
মাদ্রাসার বা এতিমখানার কোমলমতি অসহায় শিশুগুলোর উপর বর্বর নির্যাতন করেলেও হুজুরদের বিরুদ্ধে সহজে কেউ মুখ খোলেনা বলে তারা এসব জঘণ্য অপরাধ করতেই থাকে।
তাদের দাম্পত্য জীবনের যৌন অতৃপ্তি কখনও কখনও রেপের কারণ হতে পারে।
ধর্মে ও সমাজে বহুগামিতা জায়েজ হবার কারণে হুজুররা বহুগামিতাতে আসক্ত। এটািও কারণ।
মাদ্রাসার বা এতিমখানার আবাসিক পরিবেশ, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব ও হুজুরদের প্রতি তীব্র আনুগত্য হুজুরদের সাহস বাড়ায়। ফলে তারা এমন অপকর্ম করতে ভয় পায়না।
ধর্মীয় অনুশাসন ভাংগার ইচ্ছা কখনও কখনও রেপের কারণ।
আমরা বিভিন্ন মুসলিম দেশের, বিশেষ করে সৌদী আরবের মানুষদের জীবনপ্রনালী অনুকরণ করি। তারা যেহেতু বহুগামী এবং যৌন জীবনে খুনই অসংযমী, তাই আমরাও তাদের মত হবার চেষ্টা করি।
ধর্মীয় আইনের ভুল ব্যাখ্যাও দায়ী। অনেক হুজুর মনে করে, আল্লাহর কাছে তওবা পড়ে মাফ চাইলেই বা হজ্জ্ব করলেই যেকোন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমন ধারণাও রেপের জন্য দায়ী।
ধর্মীয় বাধার কারণে হুজুররা সহজে মেয়েদের সাথে মিশতে পারেনা, পতিতালয়ে যেতে পারেনা, প্রকাশ্যে প্রেম করতে পারেনা। ফলে তাদের অবদমিত যৌন চাহিদার কারণে কখনও কখনও তারা ছেলেদের রেপ করে।
অসহায় শিশুগুলোর উপর জুলুম করা সহজ। কারণ এরা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক দিক থেকে দূর্বল। তাই ভয় দেখিয়ে বা জোর করে এদের রেপ করা যায়। ইত্যাদি।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
- প্রতিটা শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম প্রতিষ্ঠান হল তার বাড়ী, তার পরিবার। এটিই তার আচরণ, মূল্যবোধ, ধারণা, বিশ্বাস, নৈতিকতা, সাহস, শিক্ষা.. ইত্যাদির ভিত্তি তৈরী করে দেয়। এই ভিত্তিই তার সারাজীবনের আচরণের মূল চাবিকাঠি। এখান থেকে সে যা শিখবে, সারাজীবন সে তাই করবে। পরিবারে সে ভাল কিছু শিখলে সে ভাল হবে, নাহলে খারাপ। তাই ছোটবেলা থেকে আমাদের উচিত আমাদের শিশুদের প্রতিবাদ করতে শেখানো । কখনো যেন তারা কোন অন্যায় মেনে না নেয়। তাহলে তারা ভয় পাবেনা, কিছু গোপন করবেনা, সাহসী হবে, যেকোন অন্যায়ের শুরুতেই প্রতিবাদ করতে শিখবে। এটা খুব জরুরী। আরো জরুরী শিশুকে নিজে অন্যায় না করতে শেখানো যাতে বড় হয়ে সে নিজে যেন অপরাধী না হয়।
- পরিবারের উচিত, এরকম যেকোন জঘণ্য অপরাধ গোপন না করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই প্রিন্সিপালের করা প্রথম রেপের শাস্তি হলে পরের রেপগুলো সে করতে পারতোনা। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর ও সচেতন থাকা দরকার। কারণ সেখানে তাঁদের বাচ্চারাও পড়ে। তাঁদের বাচ্চারাও এমন অপরাধের শিকার হতে পারে।
- মাদ্রাসা বা এতিমখানাগুলোতে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই অভিভাবকদেরও উচিত সচেতন হওয়া।
- অপরাধীরা শক্তিমান হলেও ওসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের উচিত সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করা।
- মাদ্রাসায় বা এতিমখানাগুলোতে পড়তে আসে সাধারণতঃ দরিদ্র, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানেরা যারা সন্তানকে কোরানে হাফেজ বা আলেম বানানোর জন্য মরীয়া। তাহলে বেহেশত নিশ্চিত। বেহেশতের লোভে জেনেশুনে সন্তানকে এমন কিছ জালেমদের হাতে তুলে দিতে এদের আপত্তি হয়না। আর এই সুযোগটাই নেয় কিছু হুজুররূপী জানোয়াররা। হুজুরদের দয়ালু ও খোদাভীরু হবার কথা। তাঁরা হাদিস কোরান বেশী মানেন- জানেন। তারা কেন এমন হিংস্র পশুর মত সন্তানতূল্য এসব শিশুদের ভয়ংকর নির্যাতন করেন? তাদের এমন জঘন্য পাপে খোদার আরশ কেঁপে ওঠার কথা। অথচ এদের দয়া হয়না কেন? এদের মনে পাপবোধ জাগেনা কেন? কারণ মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারী কম। তাই নজরদারী বাড়াতে হবে।
- সর্বোপরি, হুজুর বা অহুজুর, অপরাধ যেই করুক, এরকম বিকৃত মানসিকতার শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা:
কোন অপরাধ সংঘঠিত হবার পর প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার নিকট জনেরা তাকে সাহায্য করুন, চিকিৎসা দিন, মানসিক শক্তি যোগান। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভুলতে সাহায্য করুন। কিছু করতে না পারলে অন্তত মন দিয়ে সহানুভূতির সাথে তার কষ্টের কথা শুনুন, সমব্যথী হোন। ভিকটিমকে সান্তনা দিন। বলুন যে দূর্ভাগ্যজনক হলেও এমন ঘটনা আরো অনেকের সাথেই ঘটেছে। দরকার হলে পরিবেশ বদলানো দরকার। এতে ঘটনার তীব্রতা কম অনুভূত হয়। পজিটিভ ভাবতে সাহায্য করুন। যাই ঘটুক, তাকে কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দিন। সর্বোপরি, প্রতিবাদ করার জন্য মানসিক শক্তি যোগান ও প্রতিবাদের উপায় দেখিয়ে দিন, সাথে থাকুন।
কেন অপরাধের প্রতিবাদ ও প্রতিকার হওয়া জরুরীঃ
* অন্যায়ের প্রতিকার না পেলে মানুষের মনে যে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তা সারাজীবন তাকে কষ্ট দেয় যার যণ্ত্রণা শুধু সেইই জানে।
* অন্যায়ের প্রতিকার না পেলে বা প্রতিবাদ করতে না পারলে তা মানুষের
মনের উপরে চাপ ফেলে, মানুষ নিজেকে অপমানিত বোধ করে, ঐ কষ্টকর বা অসম্মানজনক অবস্থার কথা ভুলতে পারেনা। ফলে স্বাভাবিক ও আনন্দময় জীবন ব্যাহত হয়।
* নিকটজনদেরকে তার প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার করতে না পারার অপরাধে কখনো ক্ষমা করতে পারেনা। কোনদিন শ্রদ্ধা করবেনা।
* আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক শক্তি, ক্ষমতা বা সৃজনশীলতা, কাজ করার স্পৃহা, জীবনে কিছু করার বা হওয়ার স্বপ্ন, স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার আনন্দ.. এগুলো চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। কেউ কেউ অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। কেউ না মরে বেঁচে থাকে।
* অপরাধীকে বুক উঁচিয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে দেখে ভিকটিমের কষ্ট আরো বাড়ে।
* অপরাধী শাস্তি পায়না বলে আরো অপরাধ করার স্পর্ধা ও সুযোগ পেয়ে যায় এবং বীরদর্পে অপরাধ করে।
* তাকে দেখে অন্যরাও অপরাধ করতে উৎসাহিত বোধ করে। আরো মানুষ অপরাধ করে। এভাবে সমাজ, দেশ কলুষিত হয়।
* ভিকটিম ন্যায়বিচার না পাওয়ার কারণে আত্মগ্লানিতে ভোগে, নিজেকে অসহায় ও অপরাধী ভাবে, আত্মহত্যা করে, কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা, মানুষের প্রতি আস্থা হারায়, অনেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়।
* ভিকটিমের মনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট, ভয়, লজ্জা, আতংক, ঘৃণা,... ইত্যাদি সৃষ্টি হয় যা তাকে প্রতিনিয়ত মানসিক যণ্ত্রণা দেয়।
* মানুষ স্বভাবগতভাবে ন্যায়পরায়ণ। তাই তার প্রতি ঘটে যাওয়া অপরাধ দগদগে ঘায়ের মত চিরস্থায়ীভাবে থেকে যায় যা কোনদিনও শুকায়না, ভিকটিম কখনোই তা ভুলতে পারেনা।
* অপরাধী শাস্তি পেলে ভিকটিম সান্তনা পায়, কষ্ট চলে যায়, নতুন করে বাঁচার উদ্যম সৃষ্টি হয়, মানসিক ভারসাম্য ফিরে আসে।
উপসংহার:
চোর-ডাকাত পকেটমারকে যখন লোকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তখন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া উচিত হয়নি বা চোর-ডাকাত-পকেটমারের মানবাধিকার লংঘন করা ঠিক হয়নি... এমন কথা বলেনা। বরং খুশী হয় এই ভেবে যে, অন্তত কিছু পাপীর তো শাস্তি হল! পুলিশে দিলে ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেতো। কোন বিচারই হতোনা। আবার অপরাধ করতো। ওসব অপরাধের চেয়ে নারী বা কোমলমতি শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন কি কম অন্যায় ??? আমি মোটেই অখুশী হবনা যদি দিনে-দুপুরে এসব জানোয়ারদেরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
৯ মে ২০১৭ তারিখে ভোরের কাগজে লেখাটি ছাপা হয়। লেখাটি ব্লগেও আছে।
http://www.bhorerkagoj.net/epaper/2017/05/09/4/details/4_r4_c2.jpg
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৯