আসিফ গোল্ডেন মিস করেছে.....বাসায় কেউ কিছুই বলেনি।সবাই মোটামুটি সাহস দিচ্ছে।আসিফ যখনই একটু সাহস পেয়ে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে যাবে,তখনি একজন ফোন দিল তার বাবাকে,
-ভাই,ছেলে এবার মেট্রিক দিলো না?কি পেয়েছে?
-জী ভাই,গোল্ডেন।
আসিফ ধাক্কা খেলো....তার জন্য তার বাবা মিথ্যা বললো??
কয়েকদিন পর একটা বিয়েতে গেলো স্বপরিবারে.....একজন জিজ্ঞেস করলো,
-বাবা,কি পড়ো?
-জী আন্টি,ফার্স্ট ইয়ার।
-কোন কলেজ??
আসিফ কিছু বলার আগেই পাশ থেকে তার মা বলে উঠলো,
-চিটাগাং কলেজে ভাবি।
'
একদিন আসিফ কলেজ থেকে বের হল.....দেখে একজন পরিচিত।আসিফকে দেখে এগিয়ে এলো,
-কি ব্যাপার?তুমি না চিটাগাং কলেজে?এখানে কি?
আসিফ এরপর কেমন যেন হয়ে গেলো.....সাহস হারিয়ে ফেললো।বাসায় দরজা বন্ধ করে বসে থাকে।মানুষ থেকে পালিয়ে থাকে।বাসার সবাই বিরক্ত.....বাবা জিজ্ঞেস করে আসিফের মাকে,
-কি ব্যাপার?ও সারাদিন রুম বন্ধ করে বসে থাকে কেন?
-জানি না।বোধহয় রাগ।
-কিসের এত রাগ?মেট্রিকে এরকম রেজাল্ট করেও তো কিছু বললাম না।এরপরও এরকম কেন?
'
পাশ থেকে তার আপু বললো,
-আব্বু,বোধহয় ডিপ্রেশনে আছে কিছু নিয়ে?
-কি বললি?
-ডিপ্রেশন...একটা মানসিক ডাক্তার দেখালে।
-কি বললি?ওকে পাগলের ডাক্তার দেখাতাম?কত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়,আর ওরে দরজা বন্ধ করার জন্য ডাক্তার?দুইটা থাপ্পড় দিলে ঠিক হয়ে যাবে!
...............
অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভোগা একটা মানসিক রোগ......বাহিরের অনেক দেশে ছেলেমেয়ে সকালে ব্রেকফাস্ট একটু কম করলে বা একটু বিমর্ষ দেখালেই তাকে ধরে বেঁধে মনরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়.....অতঃপর কাউন্সিলিং চলে,আরো কত কি!
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।এখানে এতকিছুর ধার ধারা হয় না....অধিকাংশ পরিবারের চিত্র উপরের পরিবারের মত।এখানে সাইক্রেটিক্স মানেই বদ্ধ পাগলের ডাক্তার বলে ধরা হয়,যারা রাস্তায় ন্যাংটা হয়ে হাঁটে।
বাংলাদেশে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন ডিপ্রেশনে ভোগে.....এটা এমন এক মানসিক রোগ,যা একজন মানুষের বাইরের সব কিছু ঠিক রেখেই ভেতরটা বিকলাঙ্গ করে ফেলে।
মানুষ মায়ের পেট থেকে ডিপ্রেশন নিয়ে আসে না......তার মধ্যে ধীরে ধীরে এটা তৈরি করা হয়,আশেপাশের মানুষেরা তৈরি করে।জন্মের পর ভালো একটা স্কুলে চান্স পেলো না,তাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তার সামনেই সে শহরের শীর্ষস্থানীয় স্কুলে পড়ছে বলে বলা হয়,ফাইভ আর এইটে বৃত্তি পেলো না,এখানেও মিথ্যা বলা হয়,গোল্ডেন পেলো না,কথিত ভালো কোথাও আসলো না,এখানেও মিথ্যা!
মারাত্মক বিশ্রী একটা অবস্থায় আছি.....ডিপ্রেশনের ডালপালা ছড়ানোর সময় এখন।অনেকে গোল্ডেন মিস করেছে,অনেকে এ+।অনেকে আগামী দুইবছর সবকিছু থেকে হারিয়ে যাবে,নিজেকে গুটিয়ে নিবে,বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় আসবে না।
এদেরকে কোন সান্তনা দেওয়া উচিত না....একদমই উচিত না।কেন দিব সান্তনা?কি করছে ভাই এরা?কি হয়েছে এদের??
এরা কাউকে মার্ডার করেছে?এদের কারো ফাঁসির আদেশ হয়েছে?কারো হাত পা ট্রেনে কেটে গেছে?কেউ অন্ধ হয়ে গেছে?কারো দুরারোগ্য কোন রোগ হয়েছে?
না....এদের শরীরের সবকিছু ঠিকঠাক মত আছে,মাথার ব্রেন ঠিকমত আছে।
সব ঠিকঠাক আছে.....শুধু একটু হিম্মতের অভাব আছে....সেটা নিয়ে আসতে হবে।
ব্যাপার নাহ....নিজে যে অবস্থানে আছি,তার থেকে দুই এক ধাপ নিচের কারো কথা চিন্তা করলেই জিনিশটা অটোমেটিকলি চলে আসে.....নতুন করে শুরু করলে এক্সিলেন্ট কিছু যে হবে না,তার গ্যারান্টি কি??
হিম্মত রাখ.....নিজের উপর বিশ্বাস রাখ....আল্লাহর উপর ভরসা রাখ!!!
যিনি তোমাকে মায়ের পেটের এক পরিবেশ থেকে বের করে সম্পূর্ণ অন্য এক পরিবেশে এনে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন,তিনি এখানেও তোমাকে সাহায্য করবেন.....মার্ক মাই ওয়ার্ডস!
আজকের দিনটায় হিম্মত রাখো....পরের প্রতিটা দিন তোমার হবে!
আসিফ গোল্ডেন মিস করেছে.....বাসায় কেউ কিছুই বলেনি।সবাই মোটামুটি সাহস দিচ্ছে।আসিফ যখনই একটু সাহস পেয়ে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে যাবে,তখনি একজন ফোন দিল তার বাবাকে,
-ভাই,ছেলে এবার মেট্রিক দিলো না?কি পেয়েছে?
-জী ভাই,গোল্ডেন।
আসিফ ধাক্কা খেলো....তার জন্য তার বাবা মিথ্যা বললো??
কয়েকদিন পর একটা বিয়েতে গেলো স্বপরিবারে.....একজন জিজ্ঞেস করলো,
-বাবা,কি পড়ো?
-জী আন্টি,ফার্স্ট ইয়ার।
-কোন কলেজ??
আসিফ কিছু বলার আগেই পাশ থেকে তার মা বলে উঠলো,
-চিটাগাং কলেজে ভাবি।
'
একদিন আসিফ কলেজ থেকে বের হল.....দেখে একজন পরিচিত।আসিফকে দেখে এগিয়ে এলো,
-কি ব্যাপার?তুমি না চিটাগাং কলেজে?এখানে কি?
আসিফ এরপর কেমন যেন হয়ে গেলো.....সাহস হারিয়ে ফেললো।বাসায় দরজা বন্ধ করে বসে থাকে।মানুষ থেকে পালিয়ে থাকে।বাসার সবাই বিরক্ত.....বাবা জিজ্ঞেস করে আসিফের মাকে,
-কি ব্যাপার?ও সারাদিন রুম বন্ধ করে বসে থাকে কেন?
-জানি না।বোধহয় রাগ।
-কিসের এত রাগ?মেট্রিকে এরকম রেজাল্ট করেও তো কিছু বললাম না।এরপরও এরকম কেন?
'
পাশ থেকে তার আপু বললো,
-আব্বু,বোধহয় ডিপ্রেশনে আছে কিছু নিয়ে?
-কি বললি?
-ডিপ্রেশন...একটা মানসিক ডাক্তার দেখালে।
-কি বললি?ওকে পাগলের ডাক্তার দেখাতাম?কত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়,আর ওরে দরজা বন্ধ করার জন্য ডাক্তার?দুইটা থাপ্পড় দিলে ঠিক হয়ে যাবে!
...............
অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভোগা একটা মানসিক রোগ......বাহিরের অনেক দেশে ছেলেমেয়ে সকালে ব্রেকফাস্ট একটু কম করলে বা একটু বিমর্ষ দেখালেই তাকে ধরে বেঁধে মনরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়.....অতঃপর কাউন্সিলিং চলে,আরো কত কি!
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।এখানে এতকিছুর ধার ধারা হয় না....অধিকাংশ পরিবারের চিত্র উপরের পরিবারের মত।এখানে সাইক্রেটিক্স মানেই বদ্ধ পাগলের ডাক্তার বলে ধরা হয়,যারা রাস্তায় ন্যাংটা হয়ে হাঁটে।
বাংলাদেশে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন ডিপ্রেশনে ভোগে.....এটা এমন এক মানসিক রোগ,যা একজন মানুষের বাইরের সব কিছু ঠিক রেখেই ভেতরটা বিকলাঙ্গ করে ফেলে।
মানুষ মায়ের পেট থেকে ডিপ্রেশন নিয়ে আসে না......তার মধ্যে ধীরে ধীরে এটা তৈরি করা হয়,আশেপাশের মানুষেরা তৈরি করে।জন্মের পর ভালো একটা স্কুলে চান্স পেলো না,তাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তার সামনেই সে শহরের শীর্ষস্থানীয় স্কুলে পড়ছে বলে বলা হয়,ফাইভ আর এইটে বৃত্তি পেলো না,এখানেও মিথ্যা বলা হয়,গোল্ডেন পেলো না,কথিত ভালো কোথাও আসলো না,এখানেও মিথ্যা!
মারাত্মক বিশ্রী একটা অবস্থায় আছি.....ডিপ্রেশনের ডালপালা ছড়ানোর সময় এখন।অনেকে গোল্ডেন মিস করেছে,অনেকে এ+।অনেকে আগামী দুইবছর সবকিছু থেকে হারিয়ে যাবে,নিজেকে গুটিয়ে নিবে,বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় আসবে না।
এদেরকে কোন সান্তনা দেওয়া উচিত না....একদমই উচিত না।কেন দিব সান্তনা?কি করছে ভাই এরা?কি হয়েছে এদের??
এরা কাউকে মার্ডার করেছে?এদের কারো ফাঁসির আদেশ হয়েছে?কারো হাত পা ট্রেনে কেটে গেছে?কেউ অন্ধ হয়ে গেছে?কারো দুরারোগ্য কোন রোগ হয়েছে?
না....এদের শরীরের সবকিছু ঠিকঠাক মত আছে,মাথার ব্রেন ঠিকমত আছে।
সব ঠিকঠাক আছে.....শুধু একটু হিম্মতের অভাব আছে....সেটা নিয়ে আসতে হবে।
ব্যাপার নাহ....নিজে যে অবস্থানে আছি,তার থেকে দুই এক ধাপ নিচের কারো কথা চিন্তা করলেই জিনিশটা অটোমেটিকলি চলে আসে.....নতুন করে শুরু করলে এক্সিলেন্ট কিছু যে হবে না,তার গ্যারান্টি কি??
হিম্মত রাখ.....নিজের উপর বিশ্বাস রাখ....আল্লাহর উপর ভরসা রাখ!!!
যিনি তোমাকে মায়ের পেটের এক পরিবেশ থেকে বের করে সম্পূর্ণ অন্য এক পরিবেশে এনে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন,তিনি এখানেও তোমাকে সাহায্য করবেন.....মার্ক মাই ওয়ার্ডস!
আজকের দিনটায় হিম্মত রাখো....পরের প্রতিটা দিন তোমার হবে!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:০২